Friday, October 18, 2024
বাড়িখবররাজ্যদক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার তৃষ্ণা অভয়ারণ্যে বন বিভাগের তৈরি প্রজাপতি পার্ক সোমবার পরিদর্শন...

দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার তৃষ্ণা অভয়ারণ্যে বন বিভাগের তৈরি প্রজাপতি পার্ক সোমবার পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা

রাজ্যের চারটি অভয়ারণ্যের মধ্যে রাজনগর ব্লকের তৃষ্ণা অভয়ারণ্য অন্যতম। প্রকৃতির এক অনন্য নিদর্শন যেন রাজনগর ব্লক। এই প্রকৃতির সাথে কিছুক্ষণ সময় কাটালেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডঃ মানিক সাহা। তিনি অত্যন্ত আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন রাজনগর ব্লকের বাটার ফ্লাই‌ পার্ক পরিদর্শন করে । রং-বেরঙের অজস্র প্রজাপতি এবং তাদের খাবার ও বসার উপযোগী বিশেষ ধরনের ফুলের গাছ নিয়ে এই পার্কটি বর্তমানে পর্যটকদের কাছে একটি অন্যতম প্রধান আকর্ষণ হয়ে উঠছে বলে এদিন জানান মুখ্যমন্ত্রী। স্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও ইকোসিস্টেমের সূচক প্রজাপতির সংরক্ষণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন তিনি। একসময় মুখ্যমন্ত্রী অকপটে স্বীকার করেন, এখানে যে এতো সুন্দর বাটার ফ্লাই সংরক্ষণ এরিয়া আছে আমি জানতাম না। সেই ভাবে প্রচার হয় নি, তাই কেউ জানতে পারেনি। কেন যে মানুষ বাইরে যান । যখন শুনি ত্রিপুরার মানুষ পূজার সময় বাইরে যান। এখানে কেন আসে না। আমি বলবো , সবাই আসার দরকার। এদিন তিনি বিশেষ করে ছাত্রছাত্রীদের কাছে আবেদন রাখেন অন্ততঃ রাজনগর ব্লকের টুরিস্ট প্লেসগুলো ঘুরে দেখা দরকার। এখানে এসে ত্রিপুরাকে চিনতে চেষ্টা করার আহ্বান রাখেন তিনি। প্রসঙ্গত সোমবার ছিল রাজনগর ব্লকের তৃষ্ণা ওয়াইল্ড লাইফ সেঞ্চুরি বন্য প্রাণী সপ্তাহ দিবস উদযাপনের সমাপ্তি অনুষ্ঠান । রাজনগর ব্লকের জয়চাদ পুর মাঠে অনুষ্ঠিত হয় এই দিনের অনুষ্ঠান। সমাপ্তি অনুষ্ঠানে রাজনগর ব্লকে এসে মুখ্যমন্ত্রী প্রথমে বাটার ফ্লাই পার্ক পরিদর্শনে যান। সেখানে গিয়ে একেবারে অবাক হয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী। সাথে ছিলেন, সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া, বিধায়িকা স্বপ্না মজুমদার, জেলা শাসক সাজু ওয়াহিদ এ, পিসিসিএফ ,বন দফতরের সচিব সহ অন্যান্য অতিথিরা। এই সমাপ্তি অনুষ্ঠানের সুচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডক্টর মানিক সাহা । এরপর সংগীত পরিবেশনের পর মঞ্চে উপবিষ্ট অতিথিরা একের পর এক বন্য প্রাণী সপ্তাহের উপর আলোচনা রাখেন। উদ্ধোধক মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডক্টর মানিক সাহা আলোচনা রাখতে গিয়ে বলেন প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য গাছপালার পাশাপাশি বন্য প্রাণী সংরক্ষণ করার বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া দরকার। বনের সাথে সাথে বন্য প্রাণী সংরক্ষণের বিশেষ প্রয়োজন, সরকার সেই দিকেই হাটছে। তিনি এদিন বলেন মানুষ আধুনিক যুগে শুধু আধুনিক বিষয়গুলো দেখে। এই ধরনের অভয়ারন্যে আসার তাগিদ অনুভব করেন না। প্রকৃতিতে মিশে থেকে তাকে জানার জন্য চেষ্টা করলেই বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে অবহিত হওয়া যাবে। এদিন তিনি এই অভয়ারন্যে বৃক্ষ রোপণ করেন। বন্যপ্রানী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের বার্তা নিয়ে এদিন দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার জয়চাঁদপুর স্কুল মাঠে আয়োজিত বন্যপ্রাণী সপ্তাহ উদযাপনের সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলকে সম্বোধন করার পাশাপাশি, এই কার্য্যক্রমে দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলায় ই-অফিস উদ্যোগের সূচনা করেন তিনি। এছাড়াও বিতর্ক প্রতিযোগিতার পুরস্কার এবং খেলার সামগ্রী তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে স্থানীয় জনতার উৎসাহ ছিল এদিন চোখে পড়ার মত।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

3 × four =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য