সারাদেশের সাথে এই রাজ্যের পরিবহন শ্রমিকরাও নানা সমস্যার সম্মুখীন। গোটা দেশে প্রায় ১০ কোটি পরিবহন শ্রমিক রয়েছেন। বিজেপি নেতৃতাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের শ্রমিক স্বার্থ বিরোধী নীতির ফলে পরিবহন শ্রমিকরা এখন দিশেহারা। যানবাহনের বীমা ১০০% বাড়িয়ে দিয়েছে সরকার। এছাড়া বেড়েছে যন্ত্রাংশের দাম। সঙ্গে রয়েছে পুলিশের নির্যাতন। এরকম একগুচ্ছ অভিযোগ এনে সর্বভারতীয় কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে শনিবার রাজ্যেও বার দফা জরুরী দাবি আদায়ের লক্ষ্যে রাস্তায় নামল পরিবহন শ্রমিকরা। সি আই টি ইউ অনুমোদিত অল ইন্ডিয়া রোড ট্রান্সপোর্ট ওয়ার্কার্স ফেডারেশন ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির উদ্যোগে এদিন পরিবহন দপ্তরের কমিশনারের নিকট প্রদান করা হলো গণডেপুটেশন। আগরতলা অফিস লেন স্থিত সিআইটিইউ রাজ্য কার্যালয় থেকে পরিবহন শ্রমিকদের এক মিছিল শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে পরিবহন ভবনের সামনে গিয়ে মিলিত হয়। সেখানে তারা প্রথমে দাবি গুলি আদায়ের লক্ষ্যে সংঘটিত করে প্রতিবাদ বিজ্ঞপ্ত কর্মসূচি। পরে এক প্রতিনিধি দল শ্রম দপ্তরের কমিশনারের সাথে মিলিত হয়ে তাদের দাবি সনদ সম্বলিত স্মারকলিপি তুলে দেন। সর্বভারতীয় এই আন্দোলন কর্মসূচিতে এদিন উপস্থিত ছিলেন সিআইটিইউ রাজ্য সভাপতি মানিক দে, রাজ্য সম্পাদক শংকর প্রসাদ দত্ত এবং অল ইন্ডিয়া রোড ট্রান্সপোর্ট ওয়ার্কার ফেডারেশন ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির সম্পাদক অমল চক্রবর্তী সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। এদিনের এই কর্মসূচি প্রসঙ্গে সিআইটিইউ রাজ্য সভাপতি মানিক দে বলেন, দেশের ও রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার শ্রমজীবী মানুষের বিরুদ্ধে কার্যত যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। বিশেষ করে এই রাজ্যে চলছে একটা অরাজকতা। পরিবহন শ্রমিকরা এখন দিশাহারা। রাজ্যে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর গত ৫-৬ বছরে ৬০ থেকে ৭০ হাজার পরিবহন শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে। কারণ অনেক গাড়ি বসে গেছে। যানবাহনে বীমা ১০০ গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে সরকার। এছাড়া প্রতিদিন বাড়ছে যানবাহনের যন্ত্রাংশের দাম। সঙ্গে প্রতিদিন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পুলিশের নির্যাতন। এই অবস্থায় রাজ্যের পরিবহন শ্রমিকদের বেঁচে থাকাই এখন অনেকটা কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। পরিবহন শ্রমিকদের সমস্যাগুলি সমাধানের জন্য বারবার দাবি জানিয়ে আসলেও কোন সুফল নেই। তাই ফের আরো একবার দাবি আদায়ের লক্ষ্যে রাস্তায় নামা। দাবি অনাদায়ে এই আন্দোলন কর্মসূচির ধারাবাহিকতা আগামী দিনেও বজায় থাকবে বলে জানান তিনি।