নামে নামে নাকি জমেও টানে। এরকম এক ঘটনা এবার উঠে এলো জনসম্মুখে। নাম নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে তালবাহখানার অভিযোগ উঠে এবার বাজাজ ফিন্যান্স কোম্পানির বিরুদ্ধে। আর এই অভিযোগের ভিত্তিতে এবার থানায় দায়ের করা হলো মামলা। ঘটনা বৃহস্পতিবার রাজধানী আগরতলা শহরে।বাজাজ ফাইন্যান্সের নামে এক বড়সড় অভিযোগ আনলেন রাজধানীর গান্ধীঘাট এলাকার বাসিন্দা দেবব্রত দাস। শ্রীদাস রাজ্য সরকারের হর্টিকালচার দপ্তরে কর্মরত। তাই সরকারি কর্মচারী হিসেবে ব্যাংকের নিয়ম মেনে সম্প্রতি তিনি বাড়ি তৈরি করার জন্য স্টেট ব্যাংক টিএলএ ব্রাঞ্চে ঋণের আবেদন করে। আবেদনপত্রের সাথে প্রয়োজনীয় নথিপত্রও দায়ের করেন তিনি। ঋণের আবেদন পত্র জমা দেওয়ার কিছুদিন বাদে ব্যাঙ্কে গেলে তাকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয় যে তার নামে বাজাজ ফাইন্যান্সে কোন এক লোন রয়েছে। তাও আবার সিভিল খারাপ। তার জন্য তাকে কোন ঋন দেওয়া হবে না। এই কথা শুনে অনেকটা হতভঙ্গ হয়ে পড়েন তিনি। কারণ বাজাজ কোম্পানি থেকে তার কোন ঋণ নেই। তাই সেই কথা জানার পর পেশায় সরকারি কর্মচারী দেবব্রত বাবু রাজধানীর শংকর চৌমনি স্থিত বাজাজ ফাইন্যান্স এর অফিসে এসে যোগাযোগ করেন। সেখানে বাজাজ ফিনান্সের কর্মকর্তাদের পরামর্শ অনুযায়ী লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলেও কোন সদউত্তর নেই। উল্টো তার সাথে বাজাজ ফাইন্যান্স তালবাহানা করতে থাকে। এভাবে কেটে যায় বেশ কিছুদিন।এর মধ্যেই তিনি জানতে পারেন বাজাজ ফিনান্সে দেবব্রত দাস নামে আরো এক ব্যক্তি ঋণ নিয়ে ডিফল্টার হয়ে আছে। এক্ষেত্রে সরকারি কর্মচারী দেবব্রত বাবু প্যান কার্ড নাকি ব্যবহার করা হয়েছে। আবার আধার কার্ড যা ব্যবহার করা হয়েছে সেটা দেবব্রত বাবু নয়। ওই ব্যক্তির নাম দেবব্রত দাস হলেও, পিতার নাম দুজনেরই আলাদা। আর সেখানেই তৈরি হয়েছে জটিলতা। এই অবস্থায় সমস্যার সমাধানের দাবি নিয়ে । বৃহস্পতিবার আবারো তিনি বাজাজ ফাইন্যান্সের অফিসে ছুটে গেলে একই তালবাহানার শিকার তিনি। তারপর বাধ্য হয়েই তিনি পশ্চিম থানায় ছুটে গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। থানার পুলিশ লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করে তাকে রামনগর ফাঁড়িতে পাঠানো হয়। তার অভিযোগ প্যান কার্ড বা আধার কার্ডের নাম যদি একই থাকে তাহলে বাবার নাম এবং ঠিকানা তো এক থাকবে না। তারপরও কিভাবে তারা লোন দিতে পারে। ঋণ মঞ্জুর করার সময় কেন কোন ভেরিফিকেশন করা হয়নি কোম্পানির তরফে। আর তা থেকেই অনেকটা স্পষ্ট যে প্রতারক সেই কোম্পানির মধ্যেই যুক্ত রয়েছে। তাই অবিলম্বে সমস্যার সমাধানের জন্য এবার পুলিশের দ্বারস্থ হলেন তিনি। বাজাজ ফিনান্স কোম্পানির মতো একটি খ্যাতনামা কোম্পানির বিরুদ্ধে গুরুতর এই অভিযোগকে ঘিরে বিভিন্ন মহলে তীব্র চাঞ্চল্য দেখা দেয়।