সমাজের অন্তিম ব্যাক্তি পর্যন্ত সুযোগ সুবিধা পৌঁছানোর ব্যবস্থা প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় সম্ভব হচ্ছে। ডিজিটাল ভারত প্রধানমন্ত্রীর মস্তিষ্ক প্রসুত। সেই দিশায় রাজ্য সরকারও চলছে। স্বচ্ছতার সরকার যা প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজ্য সরকারও সে দিশায় চলছে, আর তা পঞ্চায়েত ও গ্রামীণ উন্নয়ন দফতরের আধিকারিক জনপ্রতিনিধি ও কর্মচারীদের উপর নির্ভর করছে। জনগণ সব কিছু দেখছেন। তারা সরকারের প্রতিটা মুহূর্ত লক্ষ্য করেন। কাজ করতে গেলে সমস্যা আসবে কিন্তু সবাই মিলে কাজ করলে তবেই রাজ্য এগিয়ে যাবে। রাজ্যে ই-ক্যাবিনেটের পর ত্রি-স্তরীয় পঞ্চায়েতের মধ্যেও তা এসে গেল। পেপার লেস কাজ। ত্রিপুরা রাজ্যই দেশে সর্ব প্রথম ত্রি স্তরীয় পঞ্চায়েতের মধ্যে ডিজিটাল প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এই বিষয়টি দেশের প্রধানমন্ত্রীর নজরেও নিয়ে যাবেন বলে জানান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা। এদিন তিনি বলেন কাজের মুল্যায়ন এই সরকার সব সময় করে। এদিন তিনি বিগত সরকারের প্রতি টিপ্পনী কেটে বলেন আগের সরকার সমস্যা তৈরি করে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছে। আর বর্তমান সরকার সমস্যার সমাধান করে সরকারে থাকতে চায়। এটাই হল পূর্বের সরকার আর বর্তমান সরকারের মধ্যে পার্থক্য। মঙ্গলবার আগরতলার অরুন্ধতীনগর ক্যাম্পের বাজার স্থিত পঞ্চায়েত রাজ ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের গ্রামীণ স্বরাজ ভবনে রাজ্যের সব কটি পঞ্চায়েতে ডিজিটাল প্রক্রিয়ার উদ্বোধন এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে রাজ্য স্তরীয় পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করে একথা বলেন তিনি।এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন উত্তর পূর্বের মধ্যে প্রথম রাজ্য হিসেবে কেন আসবে না ত্রিপুরা। আর তা রাজ্যের কর্মচারী ও আধিকারিকদের উপর অনেকটা নির্ভর করে। এদিন তিনি বলেন এতদিনের গতানুগতিক সরকারের চেয়ে কেন বর্তমান সরকার ভিন্ন হবে না। এই সরকার একটি ভিন্নরুপি সরকার। যা উপ নির্বাচনের ফলাফলের মধ্যে প্রমানিত হয়। এদিন তিনি বলেন নির্বাচন আসবে নির্বাচন যাবে। কিন্তু এতে বোঝা যাচ্ছে মানুষ এই সরকারের উপর আস্তা রেখেছে। সরকারের কাজকর্মে তারা খুশি। এদিন তিনি আধিকারিক এবং অন্যান্যদের উদ্দেশ্যে বলেন সব কাজ হবে তা নয় কিন্তু সরকারের প্রতিনিধি হয়ে জনগণের সমস্যাটা তো শুনতে পারা যায়। আর সব জায়গায় ডিজিটাল হয়ে যাবার ফলে মধ্যস্থতাকারি কেউ নেই। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন রাজ্যে ১১৭৬ টি গ্রাম পঞ্চায়েত এবং ভিলেজ কমিটি, ৮ টি জেলা পরিষদ, ৭৫ টি পঞ্চায়েত আছে। মাঝে মাঝে অনেক কিছু খবর সামনে আসে। তিনি এদিন উপস্থিত আধিকারিক ও অন্যান্যদের উদ্দেশ্যে বলেন তিনি এমনটা বলছেন না যে তারা কাজ করেন না। তারা কাজ করেন বলেই তো এই মঞ্চে পুরস্কৃত হলেন। কিন্তু এমন খবর আসলে ভগ্ন হৃদয়ে মনে হয় কেন এমনটা হল । তবে তিনি এদিন বলেন রাম রাজ্য তৈরি করতে না করতে পারলেও তাঁর কথা চিন্তা করে মডেল হিসেবে তো করা যায়। আর সেই প্রচেষ্টা করলে এই সরকারের স্থায়িত্ব এই রাজ্যে সাড়া জীবন হবে। তা অবশ্যই আধিকারিক এবং কর্মচারী জনপ্রতিনিধি উপস্থিত প্রমুখদের কাজের উপর নির্ভর করবে। তবে এদিন তিনি বলেন গায়ের জোরে কিছু হবে না।স্বচ্ছতা না থাকলে কিছু কাজ হবে না। মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মাইক সাহা এদিন বলেন ইতিহাস সৃষ্টি করে যেতে পারলে মানুষ মনে রাখবে। সেই কাজ করতে হবে যা ইতিহাস তৈরি করবে আর তবেই মানুষ মনে রাখবে। ত্রি স্তরীয় পঞ্চায়েত এর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই অনুষ্ঠানে এদিন মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মুখ্য সচিব জে কে সিনহা ও পঞ্চায়েত ডিপার্টমেন্টের সেক্রেটারি ডাঃ. সন্দীপ আর রাঠোড সহ বিভিন্ন জেলার জেলাশাসক জেলা সভাপতিরা সহ অন্যান্যরা।