জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিন বিগত দিনের মতো এবারও রাজ্যে যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে উদযাপিত। সরকারি ও বেসরকারিভাবে সোমবার গান্ধী জয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজন করা হয় নানা কর্মসূচি। কংগ্রেস দলের উদ্যোগেও এদিন নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে স্মরণ করা হলো গান্ধীজিকে। আগরতলা প্রদেশ কংগ্রেস ভবনে অনুষ্ঠিত হয় কংগ্রেস দল আয়োজিত গান্ধীজীর জন্ম জয়ন্তীর মূল অনুষ্ঠানটি। এদিন সকালে কংগ্রেস ভবন প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বরিষ্ঠ কংগ্রেস নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সমীর রঞ্জন বর্মন। দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আশীষ কুমার সাহা। এছাড়াও বিভিন্ন গণসংগঠনের পতাকা উত্তোলন করেন সংগঠনের পদাধিকারীরা। পতাকা উত্তোলন পর্ব শেষ হবার পর গান্ধীজীর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানান বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আশীষ কুমার সাহা, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সমীর রঞ্জন বর্মনসহ উপস্থিত নেতাকর্মী সমর্থকরা। কংগ্রেস ভবনের সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানের পর উপস্থিত নেতৃত্ব গান্ধী ঘাটে গিয়ে শহীদ বেদীতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান। এদিনের এই কর্মসূচি প্রসঙ্গে গান্ধীজীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আশীষ কুমার সাহা বলেন, সারা দেশব্যাপী একটা বিষময় পরিস্থিতি। গান্ধীজী দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে শুধু অগ্রণী ভূমিকা থেকে নেতৃত্ব দেননি, দেশের সমগ্র জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সব বংশের মানুষের কাছে তিনি ছিলেন অনুপ্রেরণার উৎস। গান্ধীজীর অনুপ্রেরণায় জাতীয় কংগ্রেস দেশব্যাপী ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে বিভেদের বিরুদ্ধে বিচ্ছিন্নতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ময়দানে আছে। যা আগামী দিনেও অব্যাহত থাকবে।