বিশ্বকর্মা জয়ন্তী উপলক্ষে রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নয়াদিল্লিতে যে “প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা প্রকল্প” চালু করেন সেই অনুষ্ঠানটি আগরতলার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে ভার্চুয়ালি সরাসরি দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়। স্থানীয় পণ্য, শিল্প এবং কারুশিল্পের মাধ্যমে প্রাচীন ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং বৈচিত্র্যময় ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখার এবং সমৃদ্ধ করার জন্যই এই প্রকল্প। এই প্রকল্প মৌলিক এবং উন্নত প্রশিক্ষণের সাথে দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ১৫০০০ টাকার টুলকিট ইনসেনটিভ, প্রথম ধাপে ১ লক্ষ টাকা, এবং দ্বিতীয় ধাপে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জামানত-মুক্ত ক্রেডিট সহায়তা প্রদান করা হবে। এদিন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক বলেন যারা অবহেলিত ছিল, যারা উপেক্ষিত ছিল , যারা তাদের পরিশ্রমের পরাকাস্টা দিয়ে সমাজকে নির্মাণ করেছে , সেই ছোট ছোট শিল্পকাররা যারা অবহেলিত ছিল, উপেক্ষিত ছিল, তাদের সকলকে অর্থাৎ ১৮ টি বিভাগকে সংগঠিত করে প্রধানমন্ত্রী দেশের জন্য তা সমর্পণ করেছেন। তিনি লালকেল্লাতে বলেছিলেন এবং আজ তা তিনি বাস্তবে কার্জে করে দেখিয়েছেন। তিনি এটা প্রমান করে দেখিয়ে দিয়েছেন যে প্রধানমন্ত্রী যা বলছেন তা করে দেখিয়ে দিয়েছেন। ১৩ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প তিনি দেশের জনগণের জন্য সমর্পণ করেছেন। অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক বলেন এই প্রকল্পে যে প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ১ লাখ এবং ২ লাখ টাকা প্রদান করা হবে এর জন্য কোন গেরান্টার লাগবে না। দেশের প্রধানমন্ত্রী হলেন সেই সব শিল্পীদের এর জন্য গেরান্টার। এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এই প্রকল্পের বিভিন্ন দিক নিয়েও জনসম্মুখে তুলে ধরেন এবং সকলের সহায়তায় এই প্রকল্পের সফলতা কামনা করেন। এই অনুষ্ঠানে এদিন বক্তব্য রাখেন রাজ্যের কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ। তিনি এদিন এ সম্পর্কে বলতে গিয়ে তুলে ধরেন দেশের প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন প্রকল্পের দিক। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, আয়ুষ্মান যোজনা, জনধন যোজনা, স্বচ্ছ ভারত প্রকল্প ইত্যাদির প্রসঙ্গ উত্থাপন করে তিনি বলেন প্রত্যেকটি প্রকল্প সফল ভাবে সাড়া দেশে রুপায়িত হয়েছে। এদিন তিনি আরও বলেন রাজ্যে বর্তমানে ৫০,৮৬০ টি সেল্প হেল্প গ্রুপ রয়েছে। যার সাথে যুক্ত রয়েছেন ৪ লাখ ৬২ হাজার, ৪০৯ জন দিদি। এর মধ্যে আবার ৮৩ হাজার ৪২৪ জন দিদি হলেন লাখপতি। যা চারটি খানা কথা নয়। এদিকটি উল্লেখ করে তিনি আত্ম নির্ভরতার দিকটি তুলে ধরেন এদিন। প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা প্রকল্প প্রসঙ্গের উল্লেখ করে এদিন তিনি এই প্রকল্পের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন এবং কি ভাবে ১৮ টি শ্রেণীর বিভিন্ন শিল্পীরা এই প্রকল্প থেকে সুযোগ সুবিধা পাবেন তা তুলে ধরে তিনি বলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী চাইছেন ঐতিহ্য এবং আধুনিকতার মিশেল ঘটিয়ে এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত বানাতে। তিনি শুধু প্রকল্প ঘোষণা করেই দেন নি। এই শিল্পিদের এই প্রকল্পের অধীনে রেসিডেনশিয়াল ট্রেনিং এর মাধ্যমে তৈরি করে দেয়া হবে। এর সাথে সার্টিফিকেট , টুলস, এবং বিনা গ্যারান্টিতে প্রথম পর্যায়ে ১ লাখ টাকা, এবং ২ য় পর্যায়ে ২ লাখ টাকা প্রদান করবে অর্থাৎ এর জন্য তিনি ১৩ হাজার কোটি টাকা রেখেছেন।এদিন এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মন্ত্রী শান্তনা চাকমাও। তিনি ও এই প্রকল্পের উপর আলোকপাত করেন।