বাঙালির ১২ মাসে ১৩ পারবেন , এর মধ্যে অন্যতম হল শারদীয়া দুর্গোৎসব , বাঙালিদের প্রাণের উৎসব শারদীয়া দুর্গাপূজা মাঝে আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে আগরতলা শহর থেকে রাজ্যে সর্বত্র শারদীয়া উৎসবের প্রস্তুতি। বিশেষ করে বিগ বাজেটের ক্লাবগুলিতে উৎসবের প্রস্তুতি যেন চলছে অনেকটা জোর গতিতেই।বিগত দিনের মতো এবারও রাজধানী আগরতলার অধিকাংশ ক্লাব নিত্য নতুন থিম নিয়ে পুজোর আয়োজন করতে চলেছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো সেন্ট্রাল রোড যুব সংস্থা। প্রতি বছরই এই সংস্থা পুজোর দিনগুলিতে দর্শনার্থীদের মন জয় করতে আকর্ষণীয় প্যান্ডেল থেকে শুরু করে প্রতিমা ও আলোকসজ্জা নির্মাণ করে থাকে। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। এবছর গুজরাটের নীলকন্ঠ মন্দিরের অনুকরণে তৈরি করা হবে পুজোর প্যান্ডেল। প্রতিমাতেও রয়েছে নতুনত্ব। নবরূপে নব দুর্গার অনুকরণে ইতিমধ্যেই প্রতিমা তৈরীর কাজ শুরু করে দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের শিল্পী রমেন পাল। গেল বছর এই ক্লাব সেরার সেরা শিরোপা অর্জন করেছিল। এবছরও ক্লাব কর্মকর্তাদের লক্ষ্য এই শিরোপা ধরে রাখা। এছাড়া প্রতিবছরের শারদীয়া উৎসব উপলক্ষে ক্লাব আয়োজন করে নানা সামাজিক কর্মকান্ড। এবছর ক্লাব সিদ্ধান্ত নিয়েছে বৃদ্ধাশ্রমের ৫১ জন মায়েদের নিয়ে লক্ষ্মীপূজোর দুদিন পর কামাখ্যা দর্শন। সব মিলিয়ে এবারও শারদীয় উৎসবে এলাহী আয়োজন সেন্ট্রাল রোড যুব সংস্থার। বৃহস্পতিবার খুঁটি পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হল ক্লাবের প্যান্ডেল নির্মাণের কাজ। ধর্মীয় রীতিনীতি মেনেই এদিন অনুষ্ঠিত হয় খুঁটিপূজা। আর এই খুঁটিপূজাকে ঘিরে ক্লাব সভ্যদের মধ্যে লক্ষ্য করা গেল উৎসবের আমেজ।