মা দুর্গা আসছেন। যেন হাজারো মন খারাপের মধ্যে একটা মন ভালো দেওয়া খবর। আরো একটা জাঁকজমক দুর্গাপুজোর অপেক্ষায় বাঙালি। আর এই অপেক্ষা শুধু পার্বত্য রাজ্য ত্রিপুরায় নয়, গোটা বিশ্বের বাঙালির। তাই বাঙালির সবচেয়ে বড় পূজোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। আকাশ জুড়ে এখন বর্ষামঙ্গল। বাদল বেলা শেষে আসবে শরৎ হেসে। ক্যালেন্ডার বলছে দুর্গাপুজো আর ঠিক আড়াই মাস বাকি। তাই উৎসব প্রেমীদের মনে এর মধ্যেই শুরু হয়ে গেছে চির শ্রেষ্ঠ উৎসবের কাউন্টডাউন। তারপরেই বেজে উঠবে বোধনের শঙ্খ। মঙ্গলময়ীর আরাধনার প্রস্তুতি ও উৎসবকে ফিরে পাওয়ার আনন্দে মশগুল আপামর বাঙালি। বছরের এই কটা দিনের দিকে তাকিয়েই তো সারা বছরে যাবতীয় উৎসাহ, পরিকল্পনা প্রস্তুতি। বাঙালির কাছে আবার ফিরছে সেই পুজোর আনন্দ।এবছর তিথি অনুযায়ী আগামী ২০ অক্টোবর মহাষষ্ঠী। এরপর একে একে মহা সপ্তমী, মহা অষ্টমী ও মহানবমীর শেষে ২৪ শে অক্টোবর বিজয়া দশমী। তাই তিথি মেনে এই দিনগুলিতে মণ্ডপে মন্ডপে পূজিত হবেন সপরিবারে মা দুর্গা। আসন্ন এই দুর্গাপূজাকে ঘিরে ইতিমধ্যেই বিগ বাজেটের ক্লাবগুলোর মধ্যে শুরু হয়ে গেছে, জোরদার প্রস্তুতি। পুজোর দিনগুলিতে দর্শনার্থীদের নিজেদের প্যান্ডেলে টেনে আনতে পূজোর প্যান্ডেল ও থিমের পরিকল্পনা যথারীতি হাতে নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছে বিগ বাজেটে ক্লাব গুলি। এবছরও আগরতলা শহরের বেশ কয়েকটি ক্লাব দর্শনার্থীদের মন জয় করতে তৈরি করতে চলেছেন আকর্ষণীয় প্যান্ডেল। শুরু হয়ে গেছে বিগ বাজেটে ক্লাবগুলিতে প্যান্ডেল নির্মাণের কাজ। একইভাবে ব্যস্ততা লক্ষ্য করা যাচ্ছে মৃৎশিল্পীদেরও। পুজোর দিন যত এগিয়ে আসছে ততই যেন চরম ব্যস্ততার মধ্যে এখন দিন কাটছে মৃৎশিল্পীদের। কেউ কুমোর পাড়াতে, আবার কেউ কেউ যথারীতি মণ্ডপে গিয়ে ক্লাবের দেওয়া থিম অনুযায়ী তৈরি করছেন প্রতিমা। সুতরাং বলাই বাহুল্য পুজো আরো প্রায় আড়াই মাস বাকি থাকলেও সর্বত্রই যেন চলছে এখন জোরদার প্রস্তুতি। বিশেষ করে মৃৎশিল্পীদের প্রস্তুতি যেন এখন জোরদার। তবে যেভাবে প্রতিমা তৈরীর সরঞ্জামের দাম অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে তাতে করে অনেকটা উদ্বিগ্ন মৃৎশিল্পীরা। এরপরেও এবছর ভালো পুজো হবে বলে প্রত্যাশা মৃৎশিল্পীদের।