রাজ্যে উৎপাদিত চায়ের কদর উত্তরোত্তর বেড়ে চলেছে। ত্রিপুরেশ্বরী ব্র্যান্ডের চা পাতা রাজ্যবাসী যেভাবে গ্রহণ করে চলেছে তাতে করে এর প্রসার আগামীদিন আরো বৃদ্ধি পাবে। তাই নর্থ ইস্ট কাউন্সিলের কাছে চা বাগান গুলি আধুনিকীকরণের জন্য ত্রিপুরা চা উন্নয়ন পর্ষদ যে প্রজেক্ট জমা দিয়েছিল, তাতে করে সিমনা ব্রহ্মকুণ্ড টি ফ্যাক্টরিটি আধুনিকীকরণ করার জন্য দুই পর্যায়ে প্রায় তিন কোটি টাকা পাওয়া গেছে। এই অর্থ দিয়ে সেখানে আধুনিকীকরণের কাজ শুরু করবে রাজ্য সরকারের গ্রাম উন্নয়ন দপ্তর। ইতিমধ্যেই হয়ে গেছে কাজের টেন্ডার। শুধু তাই নয়, রাজ্যের চা শিল্প উন্নয়নে মাছমারাতে নতুন করে মিনি টি ফ্যাক্টরি নির্মাণ করা হবে। নতুন টি ফ্যাক্টরির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের কাজ ইতিমধ্যেই সম্পন্ন। উপজাতি কল্যাণ দপ্তরের কাছ থেকে এই নির্মাণ কাজের জন্য এক কোটি টাকা পাওয়া যায়। খুব শীঘ্রই ত্রিপুরা শিল্প উন্নয়ন নিগম এই কাজের টেন্ডার ডাকবে। শুক্রবার আগরতলায় ত্রিপুরা চা উন্নয়ন নিগমের কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে একথা জানান নিগমের চেয়ারম্যান সন্তোষ সাহা। শ্রী সাহা এদিন আরো জানান, খাদ্য দপ্তরের সহায়তায় একসময় রেশনের মাধ্যমে শুধুমাত্র আগরতলা সদর এলাকায় ১০০ গ্রাম করে চা পাতা সরবরাহ করা হতো। এখন গোটা রাজ্যেই সব কয়টি রেশন শপে সরবরাহ করা হয় রাজ্যের উৎপাদিত ত্রিপুরেশ্বরী ব্র্যান্ডের চা পাতা। শুধু তাই নয় তিনি আরো জানান, এখন চাহিদা অনুযায়ী রেশনের মাধ্যমে ভোক্তাদের চা-পাতা সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে করে আর্থিক দিক দিয়ে অনেকটা সাবলম্বী হচ্ছে ত্রিপুরা।