Thursday, February 6, 2025
বাড়িখবররাজ্যকৃষকদের আধুনিক কৃষিকাজে পারদর্শী করে তুলতে সরকার অগ্রাধিকার দিয়েছে

কৃষকদের আধুনিক কৃষিকাজে পারদর্শী করে তুলতে সরকার অগ্রাধিকার দিয়েছে

কৃষিমন্ত্রী ভারতবর্ষ কৃষি প্রধান দেশ । দেশের অর্থনীতির বিকাশে কৃষকের আয় বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার কাজ করছে । কৃষির বিকাশ ও কৃষকদের কল্যাণে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির ব্যবহার ও কৃষকদের আধুনিক কৃষিকাজে পারদর্শী করে তুলতে সরকার অগ্রাধিকার দিয়েছে । এই লক্ষ্যেই রাজ্যের বর্তমান সরকার প্রতিটি কৃষি মহকুমায় কৃষি জ্ঞানার্জন কেন্দ্র স্থাপন করছে । আজ করবুকে কৃষি জ্ঞানার্জন কেন্দ্রের উদ্বোধন করে একথা বলেন কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহরায় । তিনি বলেন , কৃষকদের কৃষিকাজের সাহায্যার্থে কেন্দ্রীয় সরকার পিএম কিষাণ যোজনায় বছরে ৬ হাজার টাকা করে সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রদান করছে । রাজ্যের আড়াই লক্ষের বেশি কৃষক এই সুবিধা পেয়েছেন । করবুক মহকুমায় ১০ হাজার ৫৭৫ জন প্রান্তিক কৃষক এই আর্থিক সহায়তা পেয়ে উপকৃত হয়েছেন । বিশেষ করে এবছর যারা সব্জি চাষ করেছেন এবং অকাল বর্ষণের জন্য ক্ষতি হয়েছেন তারাও উপকৃত হয়েছেন । অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন , মুখ্যমন্ত্রীর সদিচ্ছায় রাজ্য সরকার বর্গাদার কৃষকদের কৃষি কাজে আর্থিক সহায়তার লক্ষ্যে ঋণের ব্যবস্থাও করেছেন । তিনি বলেন , কৃষকদের জমিতে কি কি ফসল কোন কোন সময় ফলানো প্রয়োজন তারজন্য দপ্তরের তরফ থেকে মাটি পরীক্ষা করানো হচ্ছে । আগে কখনও তা হয়নি । এমএসপিতে সরকার সারা রাজ্যের বিভিন্ন স্থান থেকে কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় করছে । কৃষকরা উৎসবের মেজাজে ধান বিক্রি করছেন যা এক বলিষ্ট পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের । প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে ফসল নষ্ট হয়ে গেলে , আর্থিক ক্ষতি থেকে উত্তরণের জন্য ফসল বীমা যোজনা চালু করেছে সরকার । তিনি বলেন , কৃষি এবং পশুপালন যেহেতু গ্রামীণ অর্থনীতি বিকাশে প্রধান সহায়ক তাই কৃষিকে এখন থেকে পশুপালনের সাথেও যুক্ত করা হয়েছে । জমিতে কৃষি কাজের পাশাপাশি পুকুরে মাছ চাষ ও প্রাণী পালনের মাধ্যমে রাজ্যের আর্থিক বিকাশের দিকে জোর দিয়েছে বর্তমান সরকার । কৃষিমন্ত্রী বলেন , আগামীদিনে কৃষি কাজে আধুনিক যন্ত্রপাতির অঙ্গ হিসেবে ড্রোন ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষি কাজের সময় ও খরচ কিভাবে বাঁচানো যায় সেদিকে লক্ষ্য রেখে সরকার কাজ করছে । ২ – র পাতায় কৃষিমন্ত্রী বলেন , করবুক মহকুমার কৃষকগণ আদা , কাঁচালঙ্কা ও তরমুজ চাষ করে মহকুমাকে বিশেষ পরিচিতি এনে দিয়েছেন । তারজন্য তিনি উপস্থিত সকল কৃষকদের ধন্যবাদ জানান । এছাড়াও তিনি কৃষকদের কৃষিকাজের পাশাপাশি দিনের একটা সময় কৃষক জ্ঞানার্জন কেন্দ্রে এসে কৃষক ও অধিকারিকদের সাথে মতবিনিময় করার জন্য আবেদন রাখেন । রাজ্যের ৩৭ টি কৃষি মহকুমায় এই ধরনের কৃষক জ্ঞানার্জন কেন্দ্র খোলার পাশাপাশি প্রতিটি ব্লক এলাকায় একটি করে এই ধরনের সেন্টার খোলার পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্য সরকারের । অনুষ্ঠানে বিধায়ক রঞ্জিত দাস বলেন , কৃষকদের দুয়ারে সুযোগ পৌঁছে দেওয়ার জন্য কাজ করছে রাজ্য সরকার । সঠিক জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে আত্মনির্ভরতার লক্ষ্যে ও কৃষিতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিকরণ এবং উৎপাদন খরচ হ্রাস করার উদ্যেশ্যে এই নলেজ সেন্টার । যেখান থেকে কৃষকরা জ্ঞান অর্জন করে তাদের নিজস্ব জমিতে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কৃষিকাজ করবেন এবং রোজগার আরও বৃদ্ধি করতে পারবেন । অনুষ্ঠা স্বাগত বক্তব্য রাখেন গোমতী জেলার কৃষি উপঅধিকর্তা জয়ন্ত সরকার । অনুষ্ঠান উপস্থিত ছিলেন কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের যুগ্ম অধিকর্তা রাজীব দেববর্মা , জেল উদ্যান পালন কার্যালয়ের উপঅধিকর্তা দীপঙ্কর দেব , সমাজসেবী অতীন্দ্র রিয়াং ও ধর্মরায় ত্রিপুরা প্রমুখ । অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন করবুক ব্লক উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান অসীম ত্রিপুরা । প্রসঙ্গত উল্লেখ্য , মূল অনুষ্ঠান শেষে মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহরায় কৃষক জ্ঞানার্জন কেন্দ্রটির ফলক উন্মোচন করে সমস্ত ব্যবস্থাপনা ঘুরে দেখেন ।: কৃষিমন্ত্রী ভারতবর্ষ কৃষি প্রধান দেশ । দেশের অর্থনীতির বিকাশে কৃষকের আয় বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার কাজ করছে । কৃষির বিকাশ ও কৃষকদের কল্যাণে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির ব্যবহার ও কৃষকদের আধুনিক কৃষিকাজে পারদর্শী করে তুলতে সরকার অগ্রাধিকার দিয়েছে । এই লক্ষ্যেই রাজ্যের বর্তমান সরকার প্রতিটি কৃষি মহকুমায় কৃষি জ্ঞানার্জন কেন্দ্র স্থাপন করছে । আজ করবুকে কৃষি জ্ঞানার্জন কেন্দ্রের উদ্বোধন করে একথা বলেন কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহরায় । তিনি বলেন , কৃষকদের কৃষিকাজের সাহায্যার্থে কেন্দ্রীয় সরকার পিএম কিষাণ যোজনায় বছরে ৬ হাজার টাকা করে সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রদান করছে । রাজ্যের আড়াই লক্ষের বেশি কৃষক এই সুবিধা পেয়েছেন । করবুক মহকুমায় ১০ হাজার ৫৭৫ জন প্রান্তিক কৃষক এই আর্থিক সহায়তা পেয়ে উপকৃত হয়েছেন । বিশেষ করে এবছর যারা সব্জি চাষ করেছেন এবং অকাল বর্ষণের জন্য ক্ষতি হয়েছেন তারাও উপকৃত হয়েছেন । অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন , মুখ্যমন্ত্রীর সদিচ্ছায় রাজ্য সরকার বর্গাদার কৃষকদের কৃষি কাজে আর্থিক সহায়তার লক্ষ্যে ঋণের ব্যবস্থাও করেছেন । তিনি বলেন , কৃষকদের জমিতে কি কি ফসল কোন কোন সময় ফলানো প্রয়োজন তারজন্য দপ্তরের তরফ থেকে মাটি পরীক্ষা করানো হচ্ছে । আগে কখনও তা হয়নি । এমএসপিতে সরকার সারা রাজ্যের বিভিন্ন স্থান থেকে কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় করছে । কৃষকরা উৎসবের মেজাজে ধান বিক্রি করছেন যা এক বলিষ্ট পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের । প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে ফসল নষ্ট হয়ে গেলে , আর্থিক ক্ষতি থেকে উত্তরণের জন্য ফসল বীমা যোজনা চালু করেছে সরকার । তিনি বলেন , কৃষি এবং পশুপালন যেহেতু গ্রামীণ অর্থনীতি বিকাশে প্রধান সহায়ক তাই কৃষিকে এখন থেকে পশুপালনের সাথেও যুক্ত করা হয়েছে । জমিতে কৃষি কাজের পাশাপাশি পুকুরে মাছ চাষ ও প্রাণী পালনের মাধ্যমে রাজ্যের আর্থিক বিকাশের দিকে জোর দিয়েছে বর্তমান সরকার । কৃষিমন্ত্রী বলেন , আগামীদিনে কৃষি কাজে আধুনিক যন্ত্রপাতির অঙ্গ হিসেবে ড্রোন ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষি কাজের সময় ও খরচ কিভাবে বাঁচানো যায় সেদিকে লক্ষ্য রেখে সরকার কাজ করছে । ২ – র পাতায় কৃষিমন্ত্রী বলেন , করবুক মহকুমার কৃষকগণ আদা , কাঁচালঙ্কা ও তরমুজ চাষ করে মহকুমাকে বিশেষ পরিচিতি এনে দিয়েছেন । তারজন্য তিনি উপস্থিত সকল কৃষকদের ধন্যবাদ জানান । এছাড়াও তিনি কৃষকদের কৃষিকাজের পাশাপাশি দিনের একটা সময় কৃষক জ্ঞানার্জন কেন্দ্রে এসে কৃষক ও অধিকারিকদের সাথে মতবিনিময় করার জন্য আবেদন রাখেন । রাজ্যের ৩৭ টি কৃষি মহকুমায় এই ধরনের কৃষক জ্ঞানার্জন কেন্দ্র খোলার পাশাপাশি প্রতিটি ব্লক এলাকায় একটি করে এই ধরনের সেন্টার খোলার পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্য সরকারের । অনুষ্ঠানে বিধায়ক রঞ্জিত দাস বলেন , কৃষকদের দুয়ারে সুযোগ পৌঁছে দেওয়ার জন্য কাজ করছে রাজ্য সরকার । সঠিক জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে আত্মনির্ভরতার লক্ষ্যে ও কৃষিতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিকরণ এবং উৎপাদন খরচ হ্রাস করার উদ্যেশ্যে এই নলেজ সেন্টার । যেখান থেকে কৃষকরা জ্ঞান অর্জন করে তাদের নিজস্ব জমিতে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কৃষিকাজ করবেন এবং রোজগার আরও বৃদ্ধি করতে পারবেন । অনুষ্ঠা স্বাগত বক্তব্য রাখেন গোমতী জেলার কৃষি উপঅধিকর্তা জয়ন্ত সরকার । অনুষ্ঠান উপস্থিত ছিলেন কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের যুগ্ম অধিকর্তা রাজীব দেববর্মা , জেল উদ্যান পালন কার্যালয়ের উপঅধিকর্তা দীপঙ্কর দেব , সমাজসেবী অতীন্দ্র রিয়াং ও ধর্মরায় ত্রিপুরা প্রমুখ । অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন করবুক ব্লক উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান অসীম ত্রিপুরা । প্রসঙ্গত উল্লেখ্য , মূল অনুষ্ঠান শেষে মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহরায় কৃষক জ্ঞানার্জন কেন্দ্রটির ফলক উন্মোচন করে সমস্ত ব্যবস্থাপনা ঘুরে দেখেন ।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

3 × 5 =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য