অতিমারী করোনার কারণে ছাত্রছাত্রীরা স্বাভাবিক পঠন-পাঠন থেকে বঞ্চিত হয়েছে। যার ফলে বি.এড- ডি.এল.এড, আইটিআই, পলিটেকনিক, প্যারামেডিকেল, নার্সিং সহ সমস্ত বিভাগেই পড়ুয়াদের স্কিল কমেছে। ফলে তারা চাকরি পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এই সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের বিভিন্ন অনলাইন ও অফলাইন ক্লাস ও কোর্সের মাধ্যমে কর্ম উপযোগী সঠিক প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের স্কিল গড়ে তুলবার লক্ষ্যেই রবিবার সন্ধ্যায় আগরতলার মোটর স্ট্যান্ড রোডে “হাতে-কলমে শিক্ষা কেন্দ্র ত্রিপুরা”-র শুভ উদ্বোধন হল। উদ্বোধন করলেন ত্রিপুরা সরকারের সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান তাপস ভট্টাচার্য। “হাতে-কলমে শিক্ষা কেন্দ্র ত্রিপুরা”- কেন্দ্র থেকে পশ্চিমবঙ্গ সহ অন্যান্য রাজ্যের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ত্রিপুরার ছাত্র-ছাত্রীদের যথাযথ ধারণা দেওয়া ও কিভাবে সেখানে ভর্তি হওয়া যায় ও সেই কোর্স করলে কি কর্ম সংস্থান হতে পারে তা নিয়ে পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি এই কেন্দ্রে ত্রিপুরার ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষাদান কেন্দ্র বা টিউটোরিয়াল সেন্টার হিসেবে গড়ে তোলা হবে। এখানে অফলাইনের পাশাপাশি অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে বিভিন্ন কোর্স করা ও ডিজিটাল পদ্ধতিকে ব্যবহার করে ছাত্র-ছাত্রীদের স্বনির্ভর করে তোলার উপযোগী হিসাবে গড়ে তোলা সহ নানা অভিনব পদক্ষেপ গ্রহন করার বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জীবনমুখী ও পেশাগত শিক্ষাব্যবস্থার সার্বিক মানোন্নয়ন ও শিক্ষার্থীদের স্বনির্ভরতার লক্ষ্যেই এই সদর্থক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলেই জানালেন “হাতে-কলমে শিক্ষা কেন্দ্র ত্রিপুরা” – এম ডি মলয় পীট। এদিন তিনি আরো জানান, শিক্ষার সার্বিক মানের উন্নয়ন ও বর্তমান প্রজন্মকে দিশা দেবার জন্য সেইসঙ্গে কৃষি ক্ষেত্রের উন্নয়নের জন্য অদূর ভবিষ্যতে ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি তৈরি করতে চলেছি।তাছাড়া এদিন ত্রিপুরায় ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি গড়ে তোলার প্রস্তাবকে সাধুবাদ ও সবরকমের সাহায্যের আশ্বাস দেন ত্রিপুরা সরকারের সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান তাপস ভট্টাচার্য। তিনি নিজেও থ্রিডি ভার্চুয়াল মাধ্যমের শিক্ষাদান পদ্ধতি উৎসাহের সঙ্গে খতিয়ে দেখেন এবং এদিনের অনুষ্ঠানে বহু বিশিষ্টজন উপস্থিত ছিলেন।



