চিকিৎসা প্রদানের সময় নার্সদের অবশ্যই সদয় মনোভাব থাকতে হবে। চিকিৎসা দেওয়ার সময় তাদের অনেক ধৈর্য্য বহন করতে হবে। একজন মা যেমন পুরো পরিবারকে নিয়ন্ত্রণ করেন, তেমনি রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার ক্ষেত্রে নার্সরাও হাসপাতাল নিয়ন্ত্রণ করেন। তাই, প্রতিটি নার্সকে অবশ্যই সামাজিক কর্তব্যবোধের সাথে তাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে, মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক (ড.) মানিক সাহা আজ রবীন্দ্র ভবনে আয়োজিত আন্তর্জাতিক নার্সেস দিবসের অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করার পর মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। আধুনিক নার্সিং এর প্রতিষ্ঠাতা, ফ্লোরেন্স নাইটিংগেল। এ বছরের থিম: “আমাদের নার্স, আমাদের ভবিষ্যত।” মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অস্ত্রোপচারের সময় বা হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার সময় ডাক্তাররা নার্সদের উপর নির্ভর করে। নার্সদের ‘নার্স’ বলা হয় কারণ তারা মানবতার সেবায় ঝুঁকে পড়ে। তারা রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে বিশাল ভূমিকা পালন করে। রাজ্য সরকার তাদের পরিষেবার জন্য তাদের যথাযথ সম্মান দেওয়ার প্রতিও আন্তরিক। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের বিভিন্ন নার্সিং ইনস্টিটিউটে নার্সিং কাউন্সিলের নির্দেশিকা অনুসরণ করা গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, রাজ্যের তরুণ ছেলে-মেয়েরা রাজ্যেই এএনএম, জিএনএম ইত্যাদি পড়ার সুযোগ পাচ্ছে। আগে এই কোর্সগুলি রাজ্যের বাইরে থেকে করতে হত। মুখ্যমন্ত্রী নার্সিং শিক্ষার্থীদের ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেলের পদাঙ্ক অনুসরণ করার আহ্বান জানান যারা নার্সিং পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রে মানবিক মানদণ্ড স্থাপন করেছিলেন। সমাজকল্যাণ ও সমাজসেবা মন্ত্রী টিঙ্কু রায় বলেছেন, কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের সময় নার্সরা অক্লান্ত ও আন্তরিকতার সাথে তাদের দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমান সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া জরুরি। তাতে রাজ্যের মানুষ উপকৃত হবে। স্বাগত বক্তব্যে ত্রিপুরা স্বাস্থ্য পরিষেবার পরিচালক ডাঃ শুভাশীষ দেববর্মা বলেন, আজ সারা দেশে ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেলের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আন্তর্জাতিক নার্স দিবস পালিত হচ্ছে। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যসেবা দিতে বিভিন্ন মেডিকেল ইনস্টিটিউটে মোট ২১৩০ জন নার্স নিয়োগ করা হয়েছে। তারা তাদের দায়িত্ব পালনে আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। তাদের সেবাকে সম্মান দিতে এখন থেকে স্টাফ নার্সদের নার্সিং অফিসার বলা হবে। এর পাশাপাশি সরকার অন্যান্য নার্সদের সম্মান প্রদানে আন্তরিক প্রচেষ্টা গ্রহণ করেছে সেখানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য বিভাগের সচিব ডাঃ দেবাশীষ বসু, স্বাস্থ্য শিক্ষা পরিচালক অধ্যাপক (ডাঃ) হর প্রসাদ শর্মা, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের পরিচালক ডাঃ সুপ্রিয়া মল্লিক এবং ত্রিপুরা নার্সিং কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার রেবেকা ডার্লং এর ছাত্ররা। প্রোগ্রামে তাদের কৃতিত্বের জন্য বিভিন্ন নার্সিং ইনস্টিটিউটকে পুরস্কৃত করা হয়। এছাড়া রক্তদান পরিচালনার জন্য ৩টি নার্সিং ইনস্টিটিউটকে পুরস্কৃত করা হয়। পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী।



