করোনা মহামারির কারণে বিপর্যস্ত রাজ্যের পর্যটন শিল্পের পুনরুজ্জীবনকে ত্বরান্বিত করার লক্ষ্য নিয়ে সোমবার রাজধানী আগরতলার গীতাঞ্জলি স্টেট টুরিস্ট গেস্ট হাউসে বিভিন্ন ট্যুর অপারেটর ও হোটেল, রিসোর্ট ব্যবসার সাথে জড়িত বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তা ও প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। এদিন তিনি বলেন দেশ-বিদেশের মানুষের কাছে আমাদের ত্রিপুরা রাজ্যের আকর্ষণীয় পর্যটন স্থানগুলোকে কীভাবে তুলে ধরা যায়, বা আরও আকর্ষিত করে তোলা যায় সবকিছু নিয়েই আলোচনা করা হয় বলে। তাছাড়া ত্রিপুরা রাজ্যের সম্ভাবনাময় পর্যটনশিল্পের বিকাশের জন্য প্রয়োজন নির্দিষ্ট পরিকল্পনা ও সেই পরিকল্পনা কী হতে পারে, কীভাবে রাজ্যের কোণায় কোণায় পর্যটকরা পৌঁছে যেতে পারবেন সবকিছুই ছিল আজকের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু বলে জানান তিনি । পাশাপাশি তিনি আরো বলেন আমাদের সকলের উদ্দেশ্য একটাই, ত্রিপুরা রাজ্যের পর্যটন শিল্পের বিকাশ। কারণ, এই শিল্পের বিকাশের সঙ্গে জড়িয়ে আছে কর্মসংস্থান, জীবন, জীবিকা সব কিছু। কেননা আমাদের ত্রিপুরা রাজ্যের পর্যটন ক্ষেত্র একটি সম্ভাবনাময় শিল্প। বর্তমানে আমাদের ত্রিপুরা রাজ্যে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ট্যুর অপারেটররা অন্তর্মুখী ও বিদেশগামী ট্যুর পরিচালনা করে থাকেন। এ সব ট্যুর অপারেটরদের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য পর্যটন দপ্তরের সাথে সমন্বয় রেখে সঠিক পরিষেবা প্রদানের জন্য বৈঠকে উপস্থিত পর্যটন দপ্তরের আধিকারিকদের নির্দেশ প্রদান করেন। বিভিন্ন ট্যুর অপারেটরদের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য সঠিক মনিটরিং না থাকলে অনেক সময় পর্যটকরা তাদের কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হন। যেটা কোনভাবেই কাম্য নয়। রাজ্যে পর্যটন শিল্প বিকাশের লক্ষ্যে এবং পর্যটকদের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য ট্যুর অপারেটর ও ট্যুর গাইড সহ হোটেল, রিসোর্ট ব্যবসার সাথে জড়িত সংশ্লিষ্ট সকলকে রাজ্যের পর্যটন দপ্তরের সাথে সমন্বয় রেখে আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যেতে হবে। এদিন তিনি আরো জানান আমাদের রাজ্যে বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করার পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ পর্যটনকেও গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে৷ এর জন্য আমরা নানা উদ্যোগ নিচ্ছি৷ তাই রাজ্যে আগত পর্যটকদের স্থানীয়ভাবে আরো কম দামের পরিষেবা প্রদানের লক্ষ্য গ্রহণ করতে হবে। আর তার জন্য প্রয়োজনীয় সকল ধরনের উদ্যোগ আমাদের পর্যটনদপ্তর গ্রহণ করছে৷ পর্যটকরা যদি প্রথমে বিমান বন্দর- রেল স্টেশন- চেকপোষ্টে নেমেই নেতিবাচক অভিজ্ঞতার মুখোমুকি হন, তাহলে কিভাবে হবে? এর জন্য প্রয়োজন সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিকতা। পর্যটন শিল্পকে উন্নত করতে প্রয়োজন যাতায়াতের সুব্যবস্থা, আতিথেয়তার সুবন্দোবস্ত, পর্যটকদের বিভিন্ন জায়গায় থাকার জন্য অনুমতি পাওয়ার সহজলভ্য ব্যবস্থা।
সবকিছুরই উপযুক্ত প্রচারের প্রয়োজন। কোন পথে এগোলে আরও বেশি সুন্দর করে তোলা যায় এই পর্যটন শিল্পকে সেই দিকগুলো নিয়েও আলোচনা হয় আজকের বৈঠকে। আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পর্যটন দপ্তরের সচিব উত্তম কুমার চাকমা, পর্যটন দপ্তরের অধিকর্তা তপন কুমার দাস সহ বিভিন্ন ট্যুর অপারেটর,হোটেল, রিসোর্ট ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তা ও প্রতিনিধিরা।।



