Sunday, September 8, 2024
বাড়িখবররাজ্যপড়াশুনার সাথে সাথে ছাত্রছাত্রীদের খেলাধুলা সহ সৃজনমূলক কাজেও যুক্ত হতে হবে :...

পড়াশুনার সাথে সাথে ছাত্রছাত্রীদের খেলাধুলা সহ সৃজনমূলক কাজেও যুক্ত হতে হবে : মুখ্যমন্ত্রী

পড়াশুনার সাথে সাথে ছাত্রছাত্রীদের খেলাধূলা সহ বিদ্যালয়ের বিভিন্ন সৃজনমূলক কাজেও যুক্ত হতে হবে। পাশাপাশি সময়ের প্রতি মূল্য দিয়ে সময়ের কাজ সময়ের মধ্যেই সম্পন্ন করার অভ্যাসও গড়ে তুলতে হবে। তবেই ছাত্রছাত্রীরা নিজেদেরকে সমাজে একজন প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হবে। আজ রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ পরিচালিত ২০২২ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বিশেষ সাফল্যের জন্য ছাত্রছাত্রীদের ‘চিফ মিনিস্টারস অ্যানুয়েল স্টেট অ্যাওয়ার্ড ফর অ্যাকাডেমিক এক্সিলেন্স’ প্রদান অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডাঃ) মানিক সাহা একথা বলেন। মুখ্যমন্ত্রী অনুষ্ঠানে বলেন, ২০১৮ সাল থেকে শিক্ষা দপ্তর ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ পরিচালিত মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় বিশেষ সাফল্যের স্বীকৃতি স্বরূপ ছাত্রছাত্রীদের এই পুরস্কার প্রদান করছে। পুরস্কার প্রদানের মূল উদ্দেশ্য হল ছাত্রছাত্রীদের প্রতিযোগিতামূলক শিক্ষায় উৎসাহিত করা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান রাজ্য সরকার ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে গুণগত শিক্ষা প্রদানের উপর গুরুত্ব দিয়েছে। ফলস্বরূপ গত কয়েক বছরে ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ পরিচালিত মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশের হারও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। মুখ্যমন্ত্রী তথ্য সহ বলেন, ২০১৮ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশের হার যেখানে ছিল ৫২.২৫ শতাংশ তা ২০২২ সালে বেড়ে হয়েছিল ৯১.০২ শতাংশ। মাধ্যমিক পরীক্ষায় অন্যান্য ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে জনজাতি অংশের ছাত্রছাত্রীদের পাশের হারও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। ২০১৮ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষায় জনজাতি অংশের ছাত্রছাত্রীদের পাশের হার ছিল ৩৭.৩০ শতাংশ, যা ২০২২ সালে বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৮৬.৫৫ শতাংশ। এছাড়া ২০১৮ সালের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশের হার ছিল যেখানে ৭০.৫৮ শতাংশ তা ২০২২ সালে বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৯৭.৪৫ শতাংশ। ২০১৮ সালের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় জনজাতি অংশের ছাত্রছাত্রীদের পাশের হার ছিল ৬৪ ১৮ শতাংশ যা 2022 সালে বেড়ে হয়েছে ৯৬.৫৩ শতাংশ। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীকেই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। এক্ষেত্রে বিদ্যালয়ের পাঠাগারে গিয়ে দেশের বরেন্য মনিষীদের জীবনী পাঠ করার উপর গুরুত্ব দিতে হবে। তবেই সে একজন ভালো মনের মানুষ হয়ে উঠতে পারবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের ছেলেমেয়েরা যাতে রাজ্য থেকেই উচ্চশিক্ষার সুযোগ লাভ করতে পারে তারজন্য পরিকাঠামোও গড়ে তোলা হয়েছে। বর্তমানে উচ্চশিক্ষার জন্য রাজ্যে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, রাজ্য সরকার নিয়ন্ত্রনাধীন বিশ্ববিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয়, আইন কলেজ, ফরেন্সিক বিশ্ববিদ্যালয়, ডেন্টাল কলেজ, ইঞ্জিনীয়ারিং কলেজ, ২টি মেডিক্যাল কলেজ, ফার্মাসি কলেজ ইত্যাদি রয়েছে।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

two × one =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য