রক্তদানের মতো মহৎ দান আর কিছুই নেই। সমাজের বিভিন্ন দানের মধ্যে রক্তদান সবার উর্দ্ধে। আজ আগরতলাস্থিত ২১ সেক্টর আসাম রাইফেলস ইউনিট হাসপাতালে আয়োজিত মেগা রক্তদান শিবিরের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডাঃ) মানিক সাহা একথা বলেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রক্ত ছাড়া মানুষ বাঁচতে পারে না। একজন ব্যক্তির রক্তদানের মাধ্যমে অন্ততপক্ষে ৩-৪ জন মানুষ উপকৃত হতে পারেন। মানব শরীরের বিভিন্ন কোষে ভিটামিন, অক্সিজেন ইত্যাদি সরবরাহে রক্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে থাকে। এছাড়াও রক্তাল্পতা রোগ দূরীকরণে এবং বিভিন্ন অস্ত্রোপচারের সময়ও রক্তের প্রয়োজন হয়। তাই হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কগুলোতে পর্যাপ্ত রক্তের ব্যবস্থা রাখা খুবই প্রয়োজন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, গত বিধানসভা নির্বাচনের সময় রাজ্যের ১২টি সরকারি ও ২টি বেসরকারি ব্লাড ব্যাঙ্কগুলোতে রক্তের সংকট দেখা দিয়েছিল। নির্বাচনের পর রক্তের এই সংকট দূর করার লক্ষ্যে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা সহ সমাজের প্রত্যেককেই স্বেচ্ছা রক্তদান কর্মসূচি আয়োজনের আহ্বান জানানো হয়েছিল। রাজ্য সরকারের এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে আসাম রাইফেলসও রক্তদান কর্মসূচি গ্রহণ করায় মুখ্যমন্ত্রী তাদের অভিনন্দন জানান। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আসাম রাইফেলস রাজ্যে সুরক্ষা প্রদানের পাশাপাশি রক্তদানের মতো মানবিক কাজেও নিজেদের যুক্ত রেখেছেন। এছাড়াও রাজ্য সরকার নেশামুক্ত ত্রিপুরা গঠনের যে আহ্বান রেখেছে তাতেও আসাম রাইফেলস সাড়া দিয়ে কাজ করছে। সেজন্য আসাম রাইফেলসকে ধন্যবাদ জানান মুখ্যমন্ত্রী। মেগা রক্তদান শিবিরে রক্তদাতাদের সার্টিফিকেট ও উপহার সামগ্রী প্রদানের মাধ্যমে উৎসাহ প্রদান করেন মুখ্যমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে আসাম রাইফেলস-এর ব্রিগেডিয়ার বিক্রম গুলেরিয়া বলেন, আসাম রাইফেলস ত্রিপুরায় ১৯৪৯ সাল থেকেই সুরক্ষা প্রদান সহ নানা ধরণের দুর্যোগ মোকাবিলায় কাজ করে আসছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়েই আজ এই মেগা রক্তদানের কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নেশামুক্ত ত্রিপুরা গঠনেও সরকারের পাশে থেকে আসাম রাইফেলস কাজ করে যাচ্ছে। অনুষ্ঠানে যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায় এবং আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।