আজ রাজধানী সংলগ্ন পূর্ব যোগেন্দ্রনগর ইউ পি এস সি-র উদ্যোগে বনকুমারীস্থিত সমর স্মৃতি ভবনে রাজ্য ও জেলা ভিত্তিক ইনটেন্সিফায়েড মিশন ইন্দ্রধনুষ ৪.০ কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। তাছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক রেবতী মোহন দাসসহ স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা। প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবসহ অন্যান্য অতিথিরা। এদিন উদ্বোধকের বক্তব্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্য সরকার টিকাকরণ ১০০ শতাংশ নিশ্চিত করার জন্য সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচী হাতে নিয়েছে। এখন রাজ্যে ওপেন হার্ট সার্জারি, বাইপাস সার্জারি , নিউরো সার্জারি হচ্ছে। সেই সাথে অন্তীম ব্যক্তি পর্যন্ত সরকারী পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। আগে রেশনশপে সাধারণ ভোক্তাদের নিম্ন মানের চাল দেওয়া হত। এখন সেই পরিস্থিতি নেই। স্থানীয় কৃষকদের থেকে কেনা ধানই রেশনশপের মাধ্যমে মানুষের হাতে দেওয়া হয়। বাকীটা দেয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকার। এই পরিবর্তন করে দেখিয়েছে বর্তমান সরকার। সব জায়গাতেই ওয়ান কার্ড ওয়ান রেশন ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এতে যে কোন প্রান্ত থেকে মানুষ রেশনের সুবিধা পাচ্ছেন। এদিনের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, স্বাস্থ্য কর্মী ও আশা কর্মীরাও যথাসাধ্য পরিশ্রম করছেন। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তারা মানুষের সঙ্গে থাকেন। আগরতলা এমবিবি বিমানবন্দর থেকে ৬ কিলোমিটার চার লেনের রাস্তা তৈরি হচ্ছে। আগামী জুন – জুলাই মাসের মধ্যে সেই রাস্তা নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে। আর সেটা নিয়ে অহংকার করবে রাজ্যের মানুষই। এখন প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এক নতুন দিশা দেওয়ার মানসিকতা তৈরি হয়েছে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। এই প্রকল্প ফেব্রুয়ারী, মার্চ , এপ্রিল পর্যন্ত চলবে এই কর্মসূচী। মহাকরন থেকে শুরু করে উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং স্বাস্থ্য সচিব থেকে শুরু করে আশা কর্মীদের মাধ্যমে প্রকল্প রূপায়িত হচ্ছে।এদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক রেবতী মোহন দাস, ডেপুটি মেয়র মনিকা দাস দত্ত, স্বাস্থ্য দপ্তরের সচিব জে কে সিনহা সহ অন্যান্যরা। তাছাড়া এদিনের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী গর্ভবতী মহিলা ও শিশুদের মধ্যে পুষ্টিকর খাবার তুলে দেন।