আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে সিপিআইএমের প্রার্থী তালিকায় এবার নতুন মুখ দেখা যেতে পারে বহু কেন্দ্রে, কারণ ২০২৩ রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে সিপিআইএমের প্রায় হাফ ডরজন হেভি ওয়েট নেতা এবার প্রার্থী হচ্ছেন না বলে খবর । বার্ধক্য জনিত কারণে এবং শারীরিক অসুস্থতার জন্য প্রার্থী হচ্ছে না বিলুনিয়ার বর্তমান বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী বাদল চৌধুরী ,একইভাবে বয়সের কারণে প্রার্থী হচ্ছে না চন্ডিপুর কেন্দ্রের বিধায়ক প্রাক্তন মন্ত্রী তপন চক্রবর্তী ,দীর্ঘদিন রাজনীতি থেকে নাকি অবসরে যাচ্ছেন বক্সনগর কেন্দ্রের বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী সহিদ চৌধুরী।বিশালগড়ের বিধায়ক তথা প্রাক্ত মন্ত্রী ভানু লাল সাহাও এবার নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছে না । একইভাবে শহরের রামনগর কেন্দ্রের প্রাক্তন বিধায়ক তথা পশ্চিম জেলার সিপিআইএম নেতা রতন দাসও এবার প্রার্থী হচ্ছেন না বলে খবর। সিপিএম সূত্রে খবর কংগ্রেসের সাথে সিপিআইএমের জুটের কারণে কৈলাসহর কেন্দ্রের বর্তমান বিধায়ক মবস্বর আলি কে ও এবার টিকিট দিচ্ছে না দল। কারণ মবশ্বর আলী যে কেন্দ্রের বিধায়ক এই কেন্দ্রে সিপিআইএম তাদের জোটের শরিক কংগ্রেসকে ছেড়ে দিতে চলেছে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বিরজিৎ সিংহ এই কেন্দ্র থেকে দাঁড়ানোর জন্য দাবি রাখেন। কংগ্রেস সিপিএম জোটের প্রার্থী হিসেবে কৈলাশহরে লরবেন বিরুজিৎ সিংহ ।ফলে মবশ্বর আলীকে কৈলাশহর ছাড়তে হবে অর্থাৎ তিনি প্রার্থী হচ্ছেন না। জানা গেছে বহু কেন্দ্রে এবার নতুন মুখ আনতে চলেছে সিপিআইএম দল।বিলোনিয়া ঝষ্যমুখ কেন্দ্রে বাদল চৌধুরীর পরিবর্তে প্রার্থী হতে পারেন তাপস দত্ত।চন্ডিপুর কেন্দ্র নতুন মুখ আনছে পার্টি। এদিকে বিশালগড় কেন্দ্রটিকেও বিশালগড় ছেড়ে দেবে।কারণ প্রাক্তন মন্ত্রী ভানুরাল সাহা 2018 বিধানসভা নির্বাচনের পর বামেদের সংগঠন তেমন মজবুত করতে পারেনি বলে খবর , তাই এই কেন্দ্রটি ছেড়ে দেবে সিপিআইএম।এদিকে বক্সনগর এর বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী সহিদ চৌধুরীকেও টিকেট দিচ্ছে না বলে গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে।জানা গেছে জোট হওয়ার কারণে বামেদের এই শক্ত ঘাঁটি কংগ্রেসকে ছেড়ে দেওয়া হবে। এই কেন্দ্র থেকে দাঁড়াতে পারেন কংগ্রেসের প্রাক্তন মন্ত্রী বিলাল মিয়া। এলাকায় এবং কর্মী সমর্থকদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। অনেকেই দাবি করছেন বাম বিদায় সহিদ চৌধুরীর তার নিজ কেন্দ্রটি ২০১৮ বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই চসে বেড়াচ্ছেন।এই কেন্দ্রটি কেন কংগ্রেসের হাতে দেওয়া হবে সেটা নিয়ে চলছে জোর চর্চা। কারণ কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা সবাই 2018 বিধানসভা ভোটের সময় দলে দলে বিজেপির সাথে মিশে গেছেন।কংগ্রেসের ভোট ব্যাংক অনেকটাই সামান্য। এলাকার জনগণ দাবি করছেন কংগ্রেসকে কেন এই কেন্দ্রটি ছেড়ে দেওয়া হবে। যদি এই কেন্দ্রটি কংগ্রেসকে দেওয়া হয় তাহলে এই কেন্দ্র থেকে বিল্লাল মিয়া ফাস করতে পারবে কিনা সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। কারণ বিল্লাল মিয়া দীর্ঘ অনেক বছর ধরে কুড়ি বক্সনগর বিধানসভা কেন্দ্রে একের পর এক জঘন্যভাবে পরাজিত হয়ে আসছেন।এলাকার সূত্রের খবর অনেকেই দাবি করছেন সিপিআইএম দলের এমন দুঃসময়ে এই কেন্দ্রটি কংগ্রেসের হাতে ছেড়ে দেওয়াটা একপ্রকার বোকামি হবে বলে দাবি করছেন রাজনৈতিক মহল। তবে দলীয় সূত্রে খবর বক্সনগরে এখনো অটুট বিধায়ক সহিদ চৌধুরী।সহিদের বিকল্পে এখনো তৈরি হয়নি বক্সনগর বাম শিবিরে। প্রার্থীর দৌড়ে অনেকে থাকলেও রাজ্য কমিটির ভরসা সহিদই। রাজ্য কমিটির সদস্যরা জানে সহিদ ছাড়া বক্সনগর কেন্দ্র বর্তমান সময়ে শাসকের হাত থেকে ছিনিয়ে আনা অসম্ভব। তাই বক্সনগরে এখনো অটুট সহিদ চৌধুরী। তাই প্রার্থীর দৌড়ে অনেকে থাকলেও রাজ্য কমিটির ভরসা সহিদই। এখন দেখার বিষয় রাজ্য কমিটির সদস্যরা কাকে এ কেন্দ্র থেকে টিকিট দেয় সেদিকে তাকিয়ে আছে বক্সনগরবাসি।