চোখ মানুষের শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পৃথিবীর সবকিছুই মানুষ চোখের মাধ্যমে প্রত্যক্ষ করতে পারে। তাই চোখকে সুরক্ষিত রাখা আবশ্যিক। রাজ্য সরকারও চক্ষুরোগীদের কল্যাণে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করে কাজ করে যাচ্ছে। আজ হাঁপানিয়াস্থিত ত্রিপুরা মেডিক্যাল কলেজ ও ডঃ বি আর আম্বেদকর টিচিং হাসপাতালে নতুন চক্ষু অপারেশন থিয়েটার কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডাঃ) মানিক সাহা একথা বলেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ২০০৫ সালে এই মেডিক্যাল কলেজ চালু হলেও এখানে চক্ষু অপারেশনের জন্য পৃথক কোনো থিয়েটার ছিলনা। হাসপাতালে জায়গার অভাবের কারণে ইএনটি এবং চক্ষু অপারেশন থিয়েটার একই সঙ্গে ছিল। পরবর্তীতে হাসপাতালের নতুন ভবন নির্মাণ করার পর এখানে পৃথক চক্ষু অপারেশন থিয়েটার চালুর প্রচেষ্টা নেওয়া হয়। যা আজ বাস্তবে রূপ পেল। উল্লেখ্য, ত্রিপুরা মেডিক্যাল কলেজ ও আম্বেদকর টিচিং হাসপাতালের প্রথমতলায় ২৮০০ বর্গফুট আয়তনের নতুন চক্ষু অপারেশন থিয়েটার কমপ্লেক্সটি নির্মাণ করা হয়েছে। তাতে ব্যয় হয়েছে • ১৮ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা। এই কমপ্লেক্সে চক্ষু অপারেশনের জন্য দু’টি অপারেশন থিয়েটার রয়েছে। একটিতে সংক্রমিত চোখের এবং অন্যটিতে অসংক্রমিত চোখের অপারেশন করা হবে। এছাড়াও চক্ষু সার্জন, নার্স, টেকনিশিয়ানদের জন্য পৃথক কক্ষ রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, চোখের রোগীদের ক্ষেত্রে চক্ষু অপারেশন থিয়েটার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ত্রিপুরা মেডিক্যাল কলেজে আজ যে চক্ষু অপারেশন থিয়েটার চালু করা হয়েছে তাতে অত্যাধুনিক ব্যবস্থা রয়েছে। আগামীদিনে এই অপারেশন থিয়েটারকে আরও উন্নতিকরণ করা হবে। এই অপারেশন থিয়েটারকে সেন্টার অব এক্সেলেন্স হিসেবে গড়ে তোলারও উদ্যোগ নিতে হবে। আগামীদিনে চিকিৎসক, নার্স সহ সকলস্তরের স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রচেষ্টায় এই চক্ষু অপারেশন থিয়েটার ত্রিপুরা মেডিক্যাল কলেজের জন্য বেঞ্চমার্ক হিসেবে গণ্য হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী আশা ব্যক্ত করেন। আগামীদিনে এই অপারেশন থিয়েটারকে আরও উন্নতিকরণ করা হবে। এই অপারেশন থিয়েটারকে সেন্টার অব এক্সেলেন্স হিসেবে গড়ে তোলারও উদ্যোগ নিতে হবে। আগামীদিনে চিকিৎসক, নার্স সহ সকলস্তরের স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রচেষ্টায় এই চক্ষু অপারেশন থিয়েটার ত্রিপুরা মেডিক্যাল কলেজের জন্য বেঞ্চমার্ক হিসেবে গণ্য হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী আশা ব্যক্ত করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, চক্ষু রোগীদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের প্রচুর প্রকল্প রয়েছে। সেই সমস্ত প্রকল্পগুলিকে ত্রিপুরা মেডিক্যাল কলেজেও কার্যকর করার প্রয়াস নিতে হবে। তবেই গরিব অংশের জনগণ উপকৃত হতে পারবেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান রাজ্য সরকার কথায় নয়, কাজে বিশ্বাসী। কাজের মাধ্যমেই জনগণকে সর্বোত্তম পরিষেবা প্রদানে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। এই কলেজের চক্ষু বিভাগে চিকিৎসা পরিষেবা প্রদানে চিকিৎসকসহ সকল স্তরের স্বাস্থ্যকর্মীদের আরও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান। মুখ্যমন্ত্রী। চক্ষু অপারেশন থিয়েটার কমপ্লেক্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এছাড়াও টি এম সি সোসাইটির চেয়ারম্যান ডা: প্রমথেশ রায়, সি ই ও স্বপন সাহা, বিশিষ্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা: আকাশ কুমার চাকমা এবং মেডিক্যাল সুপারিনটেনডেন্ট ডাঃ জয়ন্ত কুমার পোদ্দার উপস্থিত ছিলেন।