নিজের সহকর্মীদের নিয়ে সেই পুরনো কাঁয়দায় আবারো ময়দান চষে বেড়াচ্ছেন মধ্য বক্সনগর এলাকার যুবক তথা প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সদস্য রোশন আলী। রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন বাকি আর মাত্র অল্প কিছুদিন। আর এই সময়ের মধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বাম, রাম,তিপ্রা মথা সবগুলো রাজনৈতিক দলই এখন মিছিল মিটিং সভা র্যালী ইত্যাদি বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে তাদের নিজেদের দলীয় প্রচারে ব্যস্ত থাকতে লক্ষ্য করা গেছে। তবে তার থেকে কিছুটা দেরিতে হলেও পিছিয়ে নেই কংগ্রেস দল। নিজেদের অর্জিত শক্তি নিয়ে মাঠে নেমেছেন দলের নেতাকর্মীরা। তবে গত বিধানসভায় গোটা রাজ্যে দল সম্পূর্ণরুপে ব্যাকফুটে থাকলেও এইবারের বিধানসভা নির্বাচনের প্রাককালে বর্মন বাহিনীর ছত্রছায়ার ফলে পূর্বের তোলনায় দলে অনেকটাই যেন তেজী ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সেই মতো করে বক্সনগর বিধানসভাতেও দল অনেকটাই সক্রিয় হতে চলছে। সুদিপ বর্মণের অনুগামী তথা দলের প্রদেশ কমিটির সদস্য রোশন আলীর নেতৃত্বে বক্সনগর ব্লক এলাকায় বাড়ি বাড়ি চলছে জন সংযোগ কর্মসূচি এবং সাধারণ মানুষকে বিজেপি দলের নানা প্রতিশ্রুতির খেলাপের কথা বলে বুঝানো হচ্ছে।এদিন সাধারণ মানুষের সাথে বোঝানো এবং কথা বলতে গিয়ে কংগ্রেস নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশের কথা শুনতে হল রোশন আলীকে।অনেকেই দাবি করছেন পাঁচ বছর পর পর বিধানসভা নির্বাচন হচ্ছে।কিন্তু বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার পর আমাদের কুড়ি বক্সনগর কেন্দ্রের কংগ্রেসের প্রার্থী বিল্লাল মিয়া কত বার তার নিজ কেন্দ্রে আসে। ২০১৮ বিধানসভা নির্বাচনের পর এলাকায় একটি বারের জন্যও নিজের চেহারাটুকু দেখানোর প্রয়োজন মনে করেনি।বিধানসভা নির্বাচন ভোটের প্রাক মুহূর্তে এসে চেহারাটুকু দেখানোর প্রয়োজন মনে করে।এলাকার সাধারণ মানুষ দাবি করছেন সামনে ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচন সব দলের নেতাকর্মীরা প্রতিনিয়ত দলের প্রচার করে বেড়াচ্ছেন।কিন্তু বিল্লাল মিয়া একদিন একটি প্রোগ্রাম করলে একমাস পরও তার কোনো খবর থাকে না।তারা আরো দাবি করেন বিল্লাল মিয়া কুড়ি বক্সনগর বিধানসভা কেন্দ্রে পরপর চারবার জঘন্যভাবে পরাজিত হয়েছেন।তিনি পরাজিত হলেও উনার কিছু যায় আসে না। কেন্দ্র থেকে কংগ্রেস প্রার্থীদের জন্য যে টাকা বরাদ্দ করা হয় সামান্য কিছু নিজ কেন্দ্রে খরচ করে আর বাকি টাকা নিজ পকেটেই রেখে দিচ্ছেন বলেই অভিযোগ তোলেন এলাকার সাধারণ জনগণ।তারা এও দাবি তুলছেন ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনে বিল্লাল মিয়াকে কংগ্রেসের প্রার্থী দিলে জঘন্য থেকে জঘন্য তম ভাবে হারবেন এটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। অনেকেই দাবি তুলছেন কুড়ি বাক্স নগর বিধানসভা কেন্দ্রে কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে রোশন আলীকে যদি প্রার্থী করা হয় তাহলে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এখন দেখার বিষয় দলের নেতৃত্বরা বক্সনগর বিধানসভা কেন্দ্রে কাকে টিকিট দেন সেদিকে তাকিয়ে আছে এলাকার জনগণ। এদিন জনসংযোগ কর্মসূচিতে রোশন আলীর সাথে উপস্থিত ছিলেন মধ্যবক্সনগর এলাকার আবুল কাশেম,ছায়েব আলী, তপাজ্জল হোসেন সহ আরো অনেক বিজেপি কর্মীদের।যারা নাকি গত বিধানসভা নির্বাচনের প্রাককালে রোশন আলীর সাথে বিজেপিতে গিয়ে ছিলেন। কিন্তু তারা আবার রোশন আলীর হাত ধরে নিজ ঘরে ফিরছেন। বেশ কয়েকদিন ধরেই, মধ্য বক্সনগর গ্রাম পঞ্চায়েত আশাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বাড়ি বাড়ি জন সম্পর্ক অভিযান কালে তার সাথে সেই পুরোনো কর্মীদেরও সামিল হতে দেখা গেছে।যার ফলে চিন্তার ভাঁজ স্থানীয় শাসক শিবিরে। যেখানে গত বিধানসভার প্রাককালে এলাকায় দাপটের সাথে বিজেপি দলের ঝান্ডা হাতে নিয়ে প্রতিটি ঘরে ঘরে তিনি চষে বেরিয়েছেন, সেখানে শাসক দলের প্রতি তার এমন মোহভঙ্গে দলের মধ্যে যে ব্যাপক প্রভাব পড়বে তা নিঃসন্দেহে বলা যায়।