বিজেপির বাড়ি ঘরে হামলা সংস্কৃতি এবার আছড়ে পড়ল এক সাংবাদিকদের বাড়িতে। অথচ যারা এই নোংরামির সঙ্গে জড়িত তাদেরকে দল থেকে বহিষ্কার না করে উল্টো জামাই আদর করে চলছে বিজেপি দল। আর এ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ সাধারণ মানুষের মধ্যে। রবিবার রাতে খোয়াই বিধানসভার ২২ নং বুথের বিজেপি সভাপতি মিঠুন ঘোষের নেতৃত্বে হামলা সংগঠিত হয় দৈনিক সংবাদ এর সাংবাদিক আশীষ চক্রবর্তীর বাড়িতে। এই হামলায় মোট তিন দুস্কৃতির বিরুদ্ধে পুলিশ মামলা নেয়। দুষ্কৃতীরা হলো অফিসটিলা এন পি সি পাড়ার মিঠুন ঘোষ, জীবন গোপ, এবং বিপিসি পাড়ার অন্তু দে। দুষ্কৃতীরা সবাই শাসক দলের। এরমধ্যে মিঠুন ঘোষ বুথ সভাপতি। ঘটনার বিবরণে জানা যায় রবিবার রাত প্রায় সাড়ে এগারোটায় মদমও তিন শাসক দলীয় দুষ্কৃতী ওই সাংবাদিকের টিনের বাউন্ডারি দেওয়ার ভেঙে বাড়িতে প্রবেশ করে প্রচন্ড গালিগালাজ করতে করতে। দুষ্কৃতীরা ওই সাংবাদিককে ঘর থেকে বেরিয়ে আসার জন্য চিৎকার করতে থাকে। তাদের চিৎকারে ওই সাংবাদিকের পরিবার ঘর থেকে বেরিয়ে এলে এরা প্রচন্ড মারমুখি হয়ে ওঠে। সাংবাদিকের বাড়ির বারান্দার একটি দরজা লাথি দিয়ে এরা ভাঙ্গার চেষ্টা করে। পরিস্থিতি এতটাই ভয়ানক ছিল যে ওই সাংবাদিকের পরিবার এবং তার বূদ্ধা মা বাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে খবর দেওয়া হয় থানায়। রাত প্রায় বারোটার দিকে পুলিশ ওই সাংবাদিকদের বাড়িতে প্রবেশ করার আগেই দুষ্কৃতীরা বাইক নিয়ে পালিয়ে যায়। দুষ্কৃতীদের সবারই মুখ ছিল বাধা অবস্থায়। বিজেপি দলের এই দুষ্কৃতীরা কেন ওই সাংবাদিকের বাড়িতে হামলা করল সে বিষয়ে সাংবাদিক অশেষ চক্রবর্তী জানান রবিবার রাত এগারোটা নাগাদ এলাকার বুথ সভাপতি উনাকে ফোন করে জানান এখনই হাসপাতালে আসার জন্য। তিনি এত রাতে আসতে অস্বীকার করলে এরপরেই এই হামলাটি সংঘটিত হয়। আজ দুপুরে সাংবাদিকের বাড়িতে হামলার ঘটনা শুনে বিজেপি মন্ডল সভাপতি সুব্রত মজুমদার পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারপারসন তাপস কান্তি দাস সহ অন্যান্য নেতৃত্তরা উনার বাড়িতে আসেন এবং ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। এদিকে সাংবাদিকের বাড়িতে হামলার ঘটনা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ ব্যক্ত করলেন খোয়াইয়ের কর্মরত সাংবাদিকরা। অবিলম্বে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়। উল্লেখ্য ইতিপূর্বেও বিজেপি নামধারী দুষ্কৃতীরা স্থানীয় কর্মরত সাংবাদিকদের উপর একাধিকবার আক্রমণ সংঘটিত করেছিল।