বৃহস্পতিবার আগরতলা রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের সামনে প্রদেশ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এক জনসভার আয়োজন করা হয়। এদিনের সভায় করমছড়ার প্রাক্তন বিধায়ক দিবাচন্দ্র রাঙ্খলের হাতে পুষ্পস্তবক তুলে দিয়ে দলে স্বাগত জানান প্রদেশ কংগ্রেসের ইনচার্জ ড. অজয় কুমার, বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিৎ সিনহা, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সমীর বর্মন, কংগ্রেস নেতা আশীষ কুমার সাহা সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। এদিনের আয়োজিত সভায় বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন বক্তব্য রেখে বলেন, কংগ্রেস বাইক বাহিনী নয়, হেলমেট বাহিনী নয় এবং মানুষকে ভয় দেখিয়ে নয়। কংগ্রেস মানুষকে ভালবাসতে জানে। এটা কংগ্রেসের পুঁজি। আগামী দিনে ত্রিপুরা কংগ্রেস কিছু করে দেখাতে চায়। কিন্তু বিজেপির কিছু করে দেখানোর ইচ্ছে নেই। কংগ্রেস চায় এই রাজ্যের উন্নয়ন, জাতি জনজাতির সকল অংশের মানুষের মুখের হাসি। তাই কংগ্রেসকে পাঁচ বছরের জন্য ত্রিপুরার মানুষের কাছে সুযোগ দেওয়ার কথা বলছে। এমনটাই জানান সুদীপ রায় বর্মন। এদিন তিনি আরও বলেন, প্রতিশ্রুতি পালনে সম্পূর্ণভাবে ঠকবাজ হয়েছে এই বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকার। কেননা সরকারে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগে বলেছিল ৫০ হাজার শূন্যপদ পূরণ করা হবে। কিন্তু মিথ্যাচার সরকার কোন শূন্য পদ পূরণ করেনি। পাশাপাশি সপ্তম সপ্তম বেতন কমিশনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি, কিন্তু পাঁচ বছরে সপ্তম বেতন কমিশন দিতে না পারায় ব্যর্থ হয়েছে সরকার। এমনকি অনিয়মিত কর্মচারীদের নিয়মিত করার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সেটাও পালন করতে পারেনি। তাছাড়া যারা আজকে রাষ্ট্রবাদী পার্টি বলে দাবি করছে তাদের ইতিহাসের পাতা উল্টে দেখা দরকার। তারা ব্রিটিশদের কাছে ক্ষমা চাইত। যাতে জেলে যাওয়া থেকে বাঁচতে পারে। কিন্তু একমাত্র কংগ্রেসের রয়েছে যারা ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াই করে জেলে গেছে। দেশকে ব্রিটিশদের থেকে মুক্তির স্বাদ দিয়েছে। বিজেপির মতো বিভাজনের রাজনীতি করেনি, দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ করার কাজ করেছে কংগ্রেস বলে দাবি সুদীপ রায় বর্মনের। এই দিনের সভায় কংগ্রেস কর্মী সমর্থকদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়।