১৫০ নং ব্যাটেলিয়ান বিএসএফ ও কলমচৌড়া থানার পুলিশ গাঁজা বিরোধী অভিযান অব্যাহত।পর্দার আড়ালে থাকা গাঁজা মাফিয়াদের আস্ফালনে গাঁজার সাম্রাজ্যে পরিণত সোনামুড়া মহকুমায়।আর এই গাঁজার সাম্রাজ্য ধ্বংস করতে একেবারে ময়দানে আশাবাড়ী ডিউপির বিএসএফ,কলমচৌড়া থানার পুলিশ,বক্সনগর বন্ধপ্তর,পর পর কয়েকবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গাঁজা বিরোধী অভিযানে নেমে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে গজিয়ে ওঠা গাঁজা বাগান ধ্বংস করে চলেছে বিএসএফ এবং পুলিশ।শনিবার সকাল ৯ ঘটিকার সময় আশাবাড়ি বিউপি কোম্পানি কমান্ডার অকিলেশ যাদব,কলমচৌড়া থানার ওসি প্রশান্ত কুমার দে, এবং কামথানা বিউপির কোম্পানি কমান্ডার, কলমচৌড়া থানা এলাকার গাঁজা বাগান চিহ্নিত করে গাঁজা বিরোধী অভিযানে নামে।কলমচৌড়া থানাধীন আশাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত দুপুরিয়াবান্দ এ বি আই পাট্টা সংঘ এলাকার জঙ্গলে এই গাঁজা বিরোধী অভিযান চালায়।এই অভিযান সকাল ৯ ঘটিকায় থেকে শুরু করে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলে।এই অভিযানের টিলাভূমিতে আলাদা আলাদা ১৩টি ফ্লটে গজিয়ে উঠা প্রায় ৮০ হাজারেরও বেশি গাঁজা গাছ কেটে ধ্বংস করে ভস্মীভূত এবং আগুন লাগিয়ে দেয় ১৫০ নং বিএসএফ ও কলমচৌড়া থানার পুলিশ।সব মিলিয়ে ২০ লক্ষ টাকার গাঁজা গাছ ধ্বংস করলো।শনিবার সকাল ৯ ঘটিকা থেকে কলমচৌড়া থানার ওসি প্রশান্ত কুমার দে ও বিএসএফ এর কাছে গোপন সূত্র মারফত একটি খবর আসে কলমচৌড়া থানাধীন দুপুরিয়াবান্দ গভীর জঙ্গলের টিলাভূমিতে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে কয়েকটি জায়গায় গাঁজার অবাধ বিচরণ হচ্ছে।আর সেই খবরের ভিত্তিতেই কলমচৌড়া থানার পুলিশ ও আশাবাড়ী বিওপির বিএসএফ বাহিনী গভীর জঙ্গলের টিলাভূমিতে দফায় দফায় হানাদারি চালায়।শনিবারে এই অভিযানে ছিলেন কলমচৌড়া থানার ওসি প্রশান্ত কুমার দে এবং ১৫০ নং ব্যাটেলিয়ান বিএসএফ আশাবাড়ি বিওপির পোস কোম্পানি কমান্ডার অকিলেশ যাদব ও কাম ছাড়া বিএনপির কোম্পানি কমান্ডার বিশাল বিএসএফ ও পুলিশ কর্মীরা।আর তাতেই আসে ব্যাপক সাফল্য।অভিযানে উদ্ধার হয় বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে গজিয়ে ওঠা গাঁজা বাগানের সাম্রাজ্য।সঙ্গে সঙ্গেই আরক্ষা বাহিনী গাঁজা গাছ কেটে আগুন জ্বালিয়ে বাগান ধ্বংস করে দেয়।যদিও এখনো পর্যন্ত তেমন কোন কিছুই জানা যায়নি যে এই বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে গজিয়ে ওঠা গাঁজা চাষের সঙ্গে জড়িত, তবে গোপন সূত্রের খবর গাঁজা চাষিরা জানিয়েছে কলমচৌড়া থানা এবং বক্সনগর বনদপ্তরের নাম ভাঙ্গিয়ে গাঁজা বাগান থেকে টাকা তুলছে মানিকনগর গ্রাম পঞ্চায়েত নয়নজলা এলাকার কুখ্যাত গাঁজা মাফিয়া ইমান হোসেন উতপ্রোতভাবে জড়িত রয়েছে।তবে প্রাথমিকভাবে জানা যায় মূল পান্ডাকে আটক করার জন্য তদন্ত চলছে।এই দিকে পুলিশ জানান মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের স্বপ্ন’নেশামুক্ত ত্রিপুরা’ গড়তে ও বর্তমানে নেশার তীব্র কবল থেকে বর্তমান যুব সমাজকে রক্ষা করতে ও সুস্থ সমাজ গঠনে পুলিশের এই নেশা বিরোধী অভিযান আগামী দিনেও জারি থাকবে।তবে এই দিকে পর পর কয়েকবার কলমচৌড়া থানার পুলিশ এই গাঁজা-বিরোধী অভিযানের ব্যাপক সাফল্যে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে চলেছেন শুভবুদ্ধি সম্পন্ন সচেতন ও তথ্যবিজ্ঞ মহল জুড়ে।তবে দেখা গেছে অন্যান্য বছরের তুলনায় এই বছরে সোনামুড়া মহাকুমার বিভিন্ন থানা এলাকায় গুলিতে ব্যাপক হারে গাঁজা বিরোধী অভিযান চালায় পুলিশ।বড় ধরনের কোনো অভিযান না হলেও ছোট ছোট অভিযান চলে ব্যাপক হারে। কলমচৌড়া থানার ওসি জানিয়েছেন এই ধরনের কেন খবর পেলে পুলিশ ও বিএসএফকে খবর দেওয়ার জন্য,