চিনের (China America) মুখের ওপর জবাব দিল আমেরিকা। তাদেরই কৌশলে। চিনগামী ৪৪ টি যাত্রীবাহী বিমান বাতিল করে দিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার। করোনা-বিধির (Covid19) দোহাই দিয়ে কড়া মনোভাব দেখিয়ে আসছে চিন। বিধিনিষেধের নামে আমেরিকা থেকে আগত যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে যচ্ছিল চিনে। করোনার কারণ দেখিয়ে বিমান বাতিল করতেও পিছপা হয়নি বেজিং। কখনও-বা করা হচ্ছে ‘সার্কিট ব্রেক’। যার ফলে যারপরনাই ক্ষুব্ধ সাধারণ যাত্রী থেকে শুরু করে মার্কিন প্রশাসন। বিমানে ওঠার সময় কোভিড টেস্ট করানো হয় যাত্রীদের। রিপোর্ট নেগেটিভ হলে উড়ানে যাওয়ার অনুমতি দেয় বেজিং। গন্তব্যে পৌঁছানোর আরও একবার করা হয় টেস্ট। তখন রিপোর্ট পজিটিভ হলে ‘সার্কিট ব্রেক’ করার নিয়ম চালু করেছে শি জিন পিং- এর সরকার। যার কোপে পড়েছে আমেরিকান, ডেল্টা এবং ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের বিমান। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে শুক্রবার জানানো হয়েছিল, ‘আমেরিকার বিমানে যে সকল যাত্রীরা সফর করছেন তাঁরা চীনা সরকার প্রদত্ত সকল নিয়ম মেনে বিমানে যাত্রা করবেন। গন্তব্যে পৌঁছনোর পর যাত্রীর কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ এলে তাঁকে জরিমানা করা যাবে না।’ বাতিল হওয়া ৪৪ টি বিমানের মধ্যে ছিল এয়ার চায়না, চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্স, চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইন্স, জিয়ামেন এয়ারলাইন্স। জানুয়ারি ৩০ থেকে মার্চের ২৯ তারিখে বিমানগুলির টেক-অফ করার কথা ছিল।