মাত্র ১৪ বছর বয়সে মুম্বই ক্রিকেটের রথী মহারথী, নির্বাচকদের নজরে এসেছিলেন সচিন। স্কুল ক্রিকেটে অপরাজিত ৬৬৪ রানের পার্টনারশিপ গড়েছিলেন তিনি ও বিনোদ কাম্বলি। সারদাশ্রম বিদ্যামন্দিরের হয়ে খেলতে নেমে অপরাজিত ৩২৬ করেছিলেন সচিন, কাম্বলির ব্যাট থেকে এসেছিল অপরাজিত ৩৪৯।মাত্র ১৫ বছর বয়সে রঞ্জি অভিষেক। গুজরাতের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচেই সেঞ্চুরি। পরবর্তীতে ইরানি ও দলীপ ট্রফির প্রথম ম্যাচেও শতরান হাঁকিয়েছিলেন।১৯৮৯ সালে মাত্র ১৬ বছর বয়সে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টেস্টে অভিষেক। পাকিস্তানের হয়ে সেই সিরিজে অভিষেক হয়েছিল ওয়াকার ইউনিসেরও। ঠিক একমাস পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধেই ওয়ান ডে ক্রিকেটেও অভিষেক।২০১২ সালে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কেরিয়ারের ১০০ তম সেঞ্চুরি হাঁকান সচিন। আজও যা বিশ্ব ক্রিকেটে বিরল। এর পরের বছরই ওয়াংখেড়েতে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে কেরিয়ারের শেষ ম্যাচ। ২৪ বছরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন ক্রিকেটের ভগবান সচিনের কেরিয়ারের অন্যতম সেরা একটি ইনিংস ১৯৯৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে হাঁকানো ১৩১ বলে ১৪৩ রানের ইনিংসটি। সেই ম্যাচে টনি গ্রেগ কমেন্ট্রি বক্স থেকে বারবার বলছিলেন “কী অসাধারণ ক্রিকেটার”বিশ্বের প্রথম ব্যাটার হিসেবে ওয়ান ডে ক্রিকেটে এক ইনিংসে দ্বিশতরানের ইনিংস খেলেন সচিন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ২০১০ সালে এই কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন।ওয়ান ডে ক্রিকেটের সচিনের আরও একটি বিখ্যাত ইনিংস ২০০৩ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৭৫ বলে ৯৮ রানের ইনিংসটি। ওয়াসিম, ওয়াকার, শোয়েবের মতো বিশ্বমানের বোলিং লাইন আপের সামনে দুর্দান্ত এই ইনিংস২০১০ সালে প্রথম ভারতীয় ব্যাটার হিসেবে আইপিএলে কমলা টুপির মালিক হন সচিন। ফাইনালে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে হেরে গেলেও পুরো টুর্নামেন্টে ৬১৮ রান করেছিলেন মাস্টার ব্লাস্টার।কেরিয়ারের সবচেয়ে স্পেশাল মুহূর্ত অবশ্যই ২০১১ বিশ্বকাপ জয়। টুর্নামেন্টে ভারতীয় দলের সর্বাধিক রান সংগ্রাহক ছিলেন তিনি।



