Government Scheme: সরকারি বিনিয়োগের স্কিম থেকেও হতে পারেন কোটিপতি। ভাল রিটার্নের পাশাপাশি সুরক্ষিত থাকবে অর্থ। সরকারের এমনই একটি স্কিম হল পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড (Public Provident Fund)। আপনি পোস্ট অফিস (Post Office) বা সরকারি ব্যাঙ্ক থেকে এই স্কিম নিতে পারেন।
Public Provident Fund: ৫০০ টাকায় বিনিয়োগ
আপনি মাত্র ৫০০ টাকা দিয়ে পিপিএফ-এ বিনিয়োগ শুরু করতে পারেন। এই অ্যাকাউন্টে এক বছরে সর্বাধিক ১,৫ লক্ষ টাকা ও প্রতি মাসে সর্বাধিক ১২,৫০০ টাকা বিনিয়োগ করতে পারেন৷ এতে আপনি ভালো রিটার্ন পাবেন। সুদের হারও ভাল। PPF-এর মেয়াদ ১৫ বছর। তবে আপনি এটি ৫ বছর করে বাড়াতে পারেন।
Public Provident Fund
সরকারি এই যোজনায় টাকা রাখেন বহু মানুষ। ঝুঁকিহীন বিনিয়োগের পাশাপাশি আর্থিক সুরক্ষা দেয় এই স্কিম। যাতে ভালো সুদের সঙ্গে রয়েছে আয়কর ছাড়ের সুবিধা। যদিও বহু ক্ষেত্রেই এই স্কিমের সর্বোচ্চ সুবিধা নিতে পারেন না বিনিয়োগকারীরা। গতানুগতিকভাবে ইনভেস্ট করায় খুব একটা লাভের মুখ দেখতে পারেন না তাঁরা।
Public Provident Fund-এর সুদের হার
পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ডে সুদের হার কমিয়ে দিয়েছে সরকার। স্মল সেভিংস স্কিমের জন্য যা এক বড় ধাক্কা হয়ে দাঁড়িয়েছে।এই স্কিমে সুদের হার কমিয়ে ৭.১ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তা সত্ত্বেও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের তুলনায় এখনও বেশি সুদ দিচ্ছে PPF।এই স্কিমে সরকার মার্চের পর সুদ দেয়। আপনি নিজের নামে বা নাবালকের অভিভাবক হিসাবে একটি পিপিএফ অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন।
PPF Tax Benefits: কর ছাড়ের সুবিধা
এই স্কিমে বিনিয়োগকারীরাও আয়কর ছাড়ের সুবিধা পান। আপনি ধারা ৮০সি এর অধীনে কর ছাড়ের সুবিধা নিতে পারেন।
কীভাবে PPF থেকে ১ কোটি টাকা পেতে পারেন ?
নিয়ম অনুসারে এক বছরে সর্বোচ্চ ১.৫ লক্ষ টাকা এই স্কিমে বিনিয়োগ করতে পারেন গ্রাহক। ধরুন, প্রতি মাসে পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ডে ১২,৫০০ টাকা জমা করেন আপনি। এই ভাবে ১৫ বছর টাকা রাখার পর ৫ বছর করে স্কিমের মেয়াদ বাড়াতে পারেন। এই স্কিম থেকে যদি এক কোটি টাকা পেতে চান, তাহলে বিনিয়োগের সময়কাল ২৫ বছর করতে হবে। ততক্ষণে ১.৫ লক্ষ টাকার বার্ষিক আমানতের ভিত্তিতে ৩৭,৫০,০০০ টাকা জমা হয়ে যেত। যার ওপর বার্ষিক ৭.১ শতাংশ হারে ৬৫,৫৮,০১২ টাকা সুদ পাওয়া যাবে। একই সময়ে মেয়াদকাল পূর্ণ হওয়ায় পরিমাণ ততক্ষণে দাঁড়াবে ১,০৩,০৮,০১২ টাকা। মনে রাখবেন, পিপিএফ অ্যাকাউন্টের মেয়াদ ১৫ বছর। যদি এই অ্যাকাউন্টটি ১৫ বছরের পর বাড়ানো হয়, তবে এই অ্যাকাউন্টটি পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য বাড়ানো যেতে পারে।২৫ বছর থেকে শুরু করতে পারেন বিনিয়োগ।যত তাড়াতাড়ি এই সরকারি স্কিমে আপনি টাকা রাখবেন তত ভাল সুবিধা পাবেন। প্রতি বছর এই অ্যাকাউন্টে ১.৫ লক্ষ টাকা করে রাখলে ৫৫ বছরে আপনি কোটিপতি হয়ে যাবেন। মানে অবসর জীবনের ৫ বছর আগেই এই অর্থ পেয়ে যাবেন আপনি।