ভুয়া লগ্নীকরণ অ্যাপসের ফাঁদে না পড়ার জন্য সচেতন করার লক্ষ্যে রাজধানী আগরতলা প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলন করেন ১ ব্যবসায়ী। এদিন সংবাদমাধ্যমের সামনে ভুয়া এপসের ফাঁদে পা দিয়ে প্রতারিত হওয়ার নিজের ঘটনা তুলে ধরে তিনি বলেন আমার বুক ফাটা যন্ত্রণা ও আমার সাথে ঘটে যাওয়া প্রতারণা আমি সবাইকে জানাতে চাই। আমি আফরিন, আমি একজন প্রবাসী বাঙালি, আমার পেশা ব্যবসা। ব্যবসাসূত্রে পরিচয় হয় “” POSCO TRADE & NRBCIP COIN, কোম্পানির কর্ণধর মহেন্দ্র কুমার ও তার পার্টনার ইরশাদ আলী মন্ডল ওরফে মোহাম্মদ শাহিন(প্রিন্স সামির ছদ্মনাম),এবং উত্তম গায়েন ওরফে জুয়েল মাহমুদ এই তিন ব্যক্তির সাথে।বহু ছদ্মনামে ছদ্মবেশে নানা জায়গা থেকে ছোট মাঝারি ব্যবসায়ীদের , লগ্নি করার লোভ দেখিয়ে প্রতারণার ফাঁদ পাতেন তারা। বানিয়েছেন ভুয়া কোম্পানি, ভুয়া অ্যাপ নাম (POSCO TRADE, NRBCIP COIN) যার মধ্যে দিয়ে মাঝারি ব্যবসায়ীদের প্রতারণার জাল ছড়ান এবং বিভিন্ন রাজ্যের বিভিন্ন দেশের মানুষদের প্রতারিত করেন। এদের সঙ্গে কিছু পাসপোর্ট পাওয়া গেছে। সে রকমই একজন প্রতারণা জালে ফেঁসে গেছেন, এক প্রবাসী বাঙালি লগ্নি করতে শুরু করে,তার কিছুদিন দিন বাদেই, তার কিছু লাভের অংশ চাইতে যাওয়াতে অপমানজনক হতে হয় সেই তিন বহুরূপী মানুষ অস্বীকার করেন, তার পর তিনি প্রশাসনের দ্বারস্থ হন, বাংলাদেশ হাই কমিশনের উচ্চ অধিকারিক কে জানানো হয়, তিনি তড়িঘড়ি করে পশ্চিমবাংলার জয়েন্ট সিপি ক্রাইম ব্রাঞ্চ এর আধিকারিক মিস্টার মুরলী ধরের নজরে আনেন ভুয়া কম্পানি ভুয়া কয়েনের বিজনেসের, বাংলার প্রশাসনিক এর সাহায্যে, মহেন্দ্র কুমার কৌশলে ধরে নিয়ে আসা হল,তাকে চৌদ্দ দিনের পুলিশ হেপাজাতে নেয়া হয় জিগসাবাদের জন্য। আরেক জন বহুরুপি এরশাদ আলি ওরফে মোঃশাহিন (প্রিন্স সামির) এবং জুয়েল মাহমুদ এখনো পলাতক,পুলিশ সুত্রে জানা গেছে তারা নেপালে গা ঢাকা দিয়ে আছে, আর জানা জায় প্রায় বাংলাদেশের অর্থ অনুযায়ী ১ কোটি ৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করে, তাই অন্য কোনো মানুষ যেন প্রতরনায় না পরেন, তাই তাদের ছবিগুলো চিনে রাখার আর যারা এই ভুয়া আ্যাপের ফাদে পরেছেন তাদেরকে মুলত সতর্ক করার পরামর্শ দেন।



