Friday, December 5, 2025
বাড়িখবররাজ্য৫৭ মাস পর লাল পতাকা উড়িয়ে খোয়াই চেবরি স্থিত সিপিএমের কার্যালয় টি...

৫৭ মাস পর লাল পতাকা উড়িয়ে খোয়াই চেবরি স্থিত সিপিএমের কার্যালয় টি পুনরায় চালু হলো

খোয়াই জেলার অন্তর্গত কল্যাণপুর প্রমোদনগর বিধানসভা কেন্দ্রের চেবরি বাজার এর দীর্ঘ পুরনো সিপিআইএম কার্যালয় টি পুনরায় চালু করা হলো।সাড়ে চার বছর পর চেবরি এলাকায় মিছিল করে এসে দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে সিপিআইএম চেবরী অঞ্চল কার্যালয়টি খোলা হলো শুক্রবার দুপুর একটা নাগাদ। এদিন সিপিআইএম দলের কার্যালয়টি খোলার আগে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক প্রাক্তন সংসদ জিতেন্দ্র চৌধুরীর নেতৃত্বে এক মিছিল চেবরী এলাকা পরিক্রমা করে এসে অঞ্চল কার্যালয়টি খোলা হয়। পরবর্তীতে সিপিআইএম অঞ্চল কার্যালয়ের সামনে দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী। এর ঠিক পরেই সরু হয় এক সভা। এদিন এই সভায় উপস্থিত ছিলেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী, সিপিআইএম নেতৃত্ব রঞ্জিত দেববর্মা, সিপিআইএম খোয়াই মহকুমা সম্পাদক পদ্ম কুমার দেববর্মা, সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক তথা সিপিআইএম খোয়াই বিধানসভা কেন্দ্রের মাননীয় বিধায়ক নির্মল বিশ্বাস সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা । এদিন প্রথমেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে সিপিআইএম খোয়াই বিধানসভা কেন্দ্রের মাননীয় বিধায়ক নির্মল বিশ্বাস বলেন, পূর্বতন বামফ্রন্ট সরকারের আমলে চেবরী এলাকায় পঞ্চায়াত ভোটে বামপন্থীরা পরাজিত হয়েছিল, সেই সময় এই পঞ্চায়াত এলাকায় মানুষ আমাদের গ্রহণ করেনি, মানুষের রায় আমরা মাথা পেতে নিয়েছিলাম, সেই সময় পঞ্চায়াত সুন্দর ভাবে পরিচালনা করেছিল বাম বিরোধী দল গুলি, কখনো কেউ বলতে পারবেনা গায়ের জোরে ক্ষমতা দেখিয়ে আমরা কখনো পঞ্চায়েত দখল করার চেষ্টা করেছি বা পঞ্চায়েত ভেঙে দিয়েছি, কিন্তু বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে চেবরি এলাকার জনগণ আক্ষেপের সঙ্গে বলে আগে পঞ্চায়েত ভোট উৎসবের মেজাজে হত, আর এখন তো পঞ্চায়েতের ভোটই হয়না। এটা শুধু চেবরীতে না সারা ত্রিপুরা রাজ্যে বিজেপি রেকর্ড করেছে; ৯৬ শতাংশ আসনে শাসক দল বিজেপি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় জয়ী হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ত্রিপুরাতে যে সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে সেটি বিজেপির নেতৃত্বে কোন সরকার হবে না। এদিন এই সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী বলেন, বিজেপির আমলে সারা ত্রিপুরা রাজ্যে কিছু মুষ্টিমেয় লোক আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়েছে। গত সাড়ে চার বছরে রাজ্যে উন্নয়নের গতি স্তব্ধ হয়ে পড়েছে। সেই মুষ্টিমেয় লোকের অনৈতিক সম্পত্তি গুলি পাহারা দেওয়ার জন্য রাজ্যের একটা অংশের যুবকদের চাকুরীর প্রলোভন দিয়ে তাদেরকে বাইক বাহিনীতে পরিণত করেছে। সমাজের চোখের সামনে সেই সমস্ত যুবকদের সমাজ বিরোধী বানিয়েছে এই দলটা। নিষ্পাপ, সুন্দর, ভদ্র যুবকদের নেশার সাথে যুক্ত করছে, একদিন বাইক বাহিনীর যুবসমাজ তাদেরকে ছেড়ে কথা বলবে না। জিতেন চৌধুরী বক্তব্যে রাখা কালীন একটি প্রশ্ন করেন রাজ্য বিজেপি দলের কাছে যে ওরা প্রচার করছে বর্তমানে ত্রিপুরা মডেল রাজ্য। যদি তাই হয়ে থাকে তাহলে মডেল রাজ্যে প্রধানমন্ত্রীকে সরকারি খরচে জনসভা করতে হয় কেন এই প্রশ্নটিই ছুড়ে দেন। শেষে তিনি এও বলেন বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে খোয়াইয়ের রাজনৈতিক দলগুলি আদা জল খেয়ে মাঠে ময়দানে পড়ে আছে বুঝা যাচ্ছে সামনের বিধানসভা নির্বাচনে সমস্ত রাজনৈতিক দল গুলি এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে যে নারাজ সেটা বুঝতে কোন অসুবিধা হচ্ছে না। যদিও ভোটের রাজনীতিতে গণদেবতাই শেষ কথা বলবে। এখন দেখার বিষয় যে শেষ হাসিটা কোন রাজনৈতিক দল হাসেন।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

nine + six =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য