সীমান্তে রাতের বেলায় হাই পাওয়ার বিদ্যুৎ বোল্টেজের কারণে কৃষি জমির ধানের ফসল হচ্ছে না।যে কারণে,বর্গা চাষী,প্রান্তিক চাষী সহ অন্যান্য কৃষকদেরও একই অবস্থায় কোন কসল ফলানো সম্ভব হচ্ছে না বিগত কয়েক বছর ধরে।দিনের বেলায় প্রকৃতির দেওয়া সূর্যের আলো অপরদিকে রাতের বেলায় বিদ্যুতের আলোর তাপমাত্রার ফলে সীমান্ত এলাকায় কোন ফসল করাই সম্ভব না। যেমন,সোনামুড়া মহকুমার অন্তর্গত কাঠালিয়া ব্লগ এলাকার সীমান্ত কাঁটাতারের সংলগ্ন যে সমস্ত বিদ্যুতের পোস্টগুলি রয়েছে প্রতিটা পোস্টের মাথায় হাই পাওয়ারের বিদ্যুতের আলো নিচের দিকে ধাবিত হওয়ার হলে সেই আলো সরাসরি ধানের ক্ষেতে অথবা সবজির খেতে রাতভর সেই উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন লাইটের আলো সরাসরি ফসলের উপর পড়ারাতে কোন ফসলেই হয় না। বিশেষ করে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ধানের ফসল। অথচ,এই নিয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার কৃষকরা সীমান্ত বাহিনীর জোয়ানদের সাথে সমস্যা নিয়ে যথেষ্ট আলোচনা করেছেন।কিন্তু কোন কাজের কাজ কিছুই হলো না।বিএসএফ আধিকারিকরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন এটা তাদের কিছু করার নয়,ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে কৃষকদেরকে।সৌভাগ্যের বিষয়,কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী মাননীয়া শ্রীমতি প্রতিমা ভৌমিকের নিজ বাসভবন ধনপুরের বড় নারায়ন।তিনি কৃষকের এই সমস্যাগুলি নিজেও প্রত্যক্ষ করে দুঃখ প্রকাশ করেছে।
শুধু তাই না,তিনি কৃষকদের এই সমস্ত সমস্যা নিয়ে একটা সময় দিল্লির পার্লামেন্টে আলোচনাও করেছেন। জানা গেছে,শ্রীমতি প্রতিমা ভৌমিকের এই প্রস্তাব নিয়ে পার্লামেন্টে আলোচনাও হয়েছেছিল।কিন্তু,বাস্তবে এখনো পর্যন্ত সীমান্ত এলাকার কৃষি ও কৃষকের জন্য সদর্থক ভূমিকা হয়নি,যে কারণে দক্ষিণ পাহাড়পুর থেকে সরাসরি পশ্চিমের সীমান্ত এলাকার ( মাছিমা)কৃষকদের ধানের ফসল কাটা সম্ভব হচ্ছে না এই মরশুমে।শত শত কানি কৃষি জমির ফসল হয়নি।দিনে সূর্যের আলো অপরদিকে রাতের বেলায় হাই পাওয়ারের বিদ্যুতের আলোর কারণে আমন ধানের ছড়া বের হয়নি। একেকজন কৃষক ধার দেনা করে আমন ফসল করেছিল। প্রতি কানি জমিতে ৮ হাজারের উপর টাকা-পয়সা বের হয়েছে কৃষকদের।কিন্তু সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও ফসল আসার আগেই ধান গাছগুলি মরে গিয়ে লালসা রঙের ভাব ধরে আছে।কৃষকের মাথায় হাত, এই মৌসুমও সোনালী ফসল নিমাই দেবনাথ, জগদীশ গোস্বামী,এছাক মিয়া,আবু তাহের, হরমুজ মিয়া সহ বহু কৃষক চূড়ান্ত অসহায় এখন।
শুক্রবার সকালে সংবাদ কর্মীকে কাছে পেয়ে জানান, আমাদের তো আর অন্য কোন কর্মসংস্থান নেই। কৃষি কাজ করে পরিবার রক্ষা করতে হয়।দেখুন,সমস্ত ধান গাছগুলি বড় হয়ে লাল হয়ে মরে যাচ্ছে। সোনালী ফসল তো আর ঘরে নেওয়া সম্ভব না, কি খেয়ে পরিবার বাঁচাবো।মানুষের দেনা টাকা কিভাবে পরিশোধ করব।সীমান্ত এলাকায় জমি থাকার পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের এই জমিতে কোন ফসল ফলানো সম্ভব হচ্ছে না। চাষিরা বেশ কয়েকজন একত্রিত হয়ে সংবাদকর্মী হিসেবে অনুরোধ জানান,তাদের এই সমস্যা রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য যেন খবরের আলোতে নিয়ে যাওয়া হয়।এখন প্রশ্ন হচ্ছে,মানুষ মানুষের জন্য’এই প্রবাদকে বাস্তবের রূপ দেওয়ার জন্যই তো সরকারের দায়িত্ব এবং কর্তব্য। এখন দেখার বিষয় কেন্দ্রীয় সরকার বা রাজ্য সরকার অসহায় সীমান্ত কৃষকের পাশে এগিয়ে এসে এই সমস্যা কতটুকু নিরসন করেন।সেই শুভ উদ্যোগের জন্যই অপেক্ষায় প্রহর গুনবেন বর্গা চাষী ও প্রান্তিক চাষীরা সীমান্ত এলাকার।



