২০১৪ সালে এই দেশে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের পথ চলা শুরু হওয়ার পর থেকে নতুন উদ্যমে, নতুন উৎসাহে গোটা দেশের আর্থসামাজিক ক্ষেত্রের বিকাশ চলছে। শিক্ষা থেকে শুরু করে সভ্যতা সহায়ক সমস্ত উপকরণগুলোর প্রকৃত বিকাশের মাধ্যমেই দেশ এক নতুন গতিতে চলছে। বিশেষ করে নরেন্দ্র মোদির প্রত্যুৎ পন্নমতিতায় ভর করে এবং দূরদৃষ্টিসম্পন্ন চেতনার উপর ভর করে আমাদের দেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে। বর্তমান পারিপার্শ্বিক অবস্থার উপর ভিত্তি করে আশা করা যায় ২০৪৭ সাল আসতে আসতে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ দেশে পরিগণিত হবে আমাদের ভারতবর্ষ। দীর্ঘদিনের কংগ্রেস শাসনের ফলে গোটা উত্তর-পূর্বাঞ্চল একসময় পিছিয়ে পড়েছিল কিন্তু বর্তমানে নরেন্দ্র মোদির মদান্যতায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলটাকে নতুন দেশ গড়ার ইঞ্জিন হিসেবে পরিগণিত করা হচ্ছে। খোয়াই জেলার ২৪ রামচন্দ্র ঘাট বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত দারিকাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দারিকাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবনির্মিত দ্বিতল ভবনের দ্বারদঘাটন করতে এসে প্রধান অতিথির ভাষণে কথাগুলো বলছিলেন দেশের কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ডক্টর রাজকুমার রঞ্জন সিংহ। শ্রী সিংহ এই দারুদঘাটন পর্বে আলোচনা করতে গিয়ে আজকের দিনটাকে একদিকে যেমন গোটা খোয়াই জেলার পরিপ্রেক্ষিতে ঐতিহাসিক দিন হিসেবে আখ্যায়িত করেন ঠিক তেমনি আশা প্রকাশ করেন আগামী দিনে গোটা ভারতবর্ষের সাথে সাথে ত্রিপুরা রাজ্যের উন্নয়নের ধারাও অব্যাহত থাকবে। সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের ত্রিপুরা রাজ্যে কেন্দ্রীয় বিভিন্ন স্তরের মন্ত্রীরা প্রায় নিয়মিত আসা-যাওয়া করছেন। এই বিষয়ে বলতে গিয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর দাবি হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্দেশে আদতে উন্নয়নের কাজগুলো কিভাবে চলছে, মানুষ কি চাইছে , আগামী দিনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কি কি পরিকল্পনা প্রয়োজন সেই বিষয়গুলা সম্পর্কে তৃণমূল স্তর থেকে ধারণা নেওয়ার লক্ষ্য নিয়েই দেশের বিভিন্ন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা বিভিন্ন প্রদেশে আসা-যাওয়া করছেন। দারিকাপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত দারুদঘাটন শীর্ষক আজকের অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন ২৭ কল্যাণপুর প্রমোদনগর বিধানসভার বিধায়ক পিনাকী দাস চৌধুরী, ২৪ রামচন্দ্রঘাট বিধানসভার বিধায়ক প্রশান্ত দেববর্মা, খোয়াই জেলার জেলার সমাহর্তা ডি কে চাকমা, প্রাথমিক শিক্ষার যুগ্ম অধিকর্তা বিপুল দাস, জেলা শিক্ষা আধিকারিক মিহির দেবনাথ প্রমূখরা।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত ভাষণ রাখেন জেলা শিক্ষা আধিকারিক মিহির দেবনাথ। শ্রী দেবনাথ এই সময়ের মধ্যে গোটা জেলার শিক্ষা ব্যবস্থার ইতিবাচক উন্নতি হয়েছে বলে দাবি করেন, পাশাপাশি গোটা জেলার শিক্ষা ব্যবস্থার বিভিন্ন চিত্র তথ্যভিত্তিক হারে পরিবেশন করেন শ্রী দেবনাথ। শ্রী দেবনাথ দাবি করেন ২০২১-২২ অর্থবছরে সর্বশিক্ষা অভিযান প্রকল্পের বিশেষ ব্যবস্থাপনায় ১ কোটি ২৬ লক্ষ টাকা ব্যয় বরাদ্দ ধরে এই কাজ শুরু হয়ে অতিঅল্প সময়েই কাজটা সম্পন্ন হয়েছে।
অনুষ্ঠানে আলোচনা করতে গিয়ে কল্যাণপুর প্রমোদনগর কেন্দ্রের বিধায়ক পিনাকী দাস চৌধুরী বলেন,,,, এই দারুদঘাটনের মাধ্যমে গোটা এলাকার সাধারণ মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হয়েছে । পাশাপাশি বিধায়ক শ্রী দাস চৌধুরী দাবি করেন দীর্ঘ বাম জমানায় শুধুমাত্র রাজনীতি করতে গিয়ে এই এলাকার অতি প্রয়োজনীয় এই শিক্ষালয়টির মান উন্নয়ন করতে ভুলে গেছিলেন তদানীন্তন প্রশাসকেরা, এই দারুদঘাটন পর্বে বিগত সরকারকে কটাক্ষ করতে গিয়ে বিধায়ক পিনাকী দাস চৌধুরী বলেন একসময় এই বিদ্যালয়ের জন্য জমি কেনার লক্ষ্য নিয়ে স্থানীয় সিপিআইএম দলের নেতারা এলাকাবাসীদের কাছ থেকে চাঁদা তুলে, সেই চাঁদা দিয়ে স্কুলের জমি কেনার বদলে টাকা হাফিজ করে নিয়েছে। রামচন্দ্রঘাট বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক প্রশান্ত দেববর্মা নিজ আলোচনায় অংশ নিয়ে দাবি করেন এই সময়ের মধ্যে দরিকাপুর সহ গোটা রামচন্দ্র ঘাট এলাকায় বর্তমান সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে আর্থসামাজিক ব্যবস্থার মান উন্নয়নে ব্যাপক কাজ করে চলেছেন। গোটা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কল্যাণপুর আর ডি ব্লকের চেয়ারম্যান সোমেন গোপ।
একেবারে অনুষ্ঠানের শুরুতে আজকের এই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সহ অন্যান্য অতিথিরা যেমন সম্মিলিতভাবে বিদ্যালয় চত্বরে বৃক্ষরোপনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন, ঠিক তেমনি শেষ লগ্নে ফিতা কেটে নবনির্মিত ভবনের দারুদঘাটন পর্ব সম্পন্ন করে নতুন ভবনের সবগুলো শ্রেণীকক্ষ ঘুরে ঘুরে দেখেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসহ অন্যান্যরা। দুর্গাপুর উচ্চ বিদ্যালয় -এর নবনির্মিত দিতল ভবনের এই উদ্বোধন পর্ব ঘিরে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে এক অনাবিল উৎসাহের বাতাবরণ পরিলক্ষিত হয়।।



