কোন পরিবারের গৃহকর্তা ও গৃহকর্তি ওই যখন একই সাথে অসুস্থ হয়ে পড়ে চিকিৎসার জন্য একজন হাসপাতালে অন্যজন বাড়ির বিছানায় যন্ত্রণায় কাতরান তার ওপর যখন আবার নিঃসন্তান হন সেই পরিবারের উপর কি দুর্গতি নেমে আসে তা স্বচক্ষে না দেখলে বোঝা যায় না। তেমনি এক ঘটনা ঘটলো খোয়াই মধ্য শিঙিছড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। জানা যায় পক্ষাঘাত ও ক্যান্সারে আক্রান্ত দম্পতির জীবন যুদ্ধে সরকারি সাহায্য সহায়তা নেই এই সংবাদের জেরে মধ্য সিঙ্গিছড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার হতদরিদ্র রমেন্দ্র ভট্টাচার্যের পাশে দাঁড়ালো বিশ্ব হিন্দু পরিষদখোয়াই জেলা প্রভারি অভিজিৎ দত্ত ভৌমিক। অভিজিৎ দত্ত ভৌমিক রবিবার সন্ধ্যার পর হতদরিদ্র রমেন্দ্র ভট্টাচার্যের বাড়িতে যান সেখানে গিয়ে পক্ষাঘাতে আক্রান্ত উনার সাথে কথা বলেন। উনি বলেন তার পরিবারে স্ত্রী সীতা ভট্টাচার্য আগরতলা জিবি হাসপাতালের ট্রমা সেন্টারের তিনতলায় ৯৮ নাম্বার শয্যায় অভিভাবকহীন অবস্থায় পড়ে আছেন তিনি ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে । উনারা দুজনেই নিঃসন্তান দম্পতি তাদের দেখার মত পরিবারে কেউ নেই । এমত অবস্থায় রমেন্দ্র ভটচার্জ বর্তমানে বিছানায় সজ্জাশায়ী অবস্থায়, কাজকর্ম কিছু করতে পারছে না। বিপিএল রেশন কার্ড থাকলেও চাল আনার মত টাকাও নেই তার কাছে। পাড়া-প্রতিবেশী তাকে দুবেলা দুটো অন্যের সংস্থান করে দেন। কিন্তু চিকিৎসা করার মতো কোনো টাকা পয়সা নেই ওনার কাছে। শেষে এই খবর পেয়ে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের খোয়াই জেলার প্রভারী অভিজিৎ দত্ত ভূমিক সেই ব্যক্তির পাশে এসে দাঁড়ান এবং উনাকে কিছুটা আর্থিক সাহায্য এবং খাবার সামগ্রি তুলে দেন। অভিজিৎদত্ত ভৌমিক বলেন আগামী দিনেও উনার পাশে থাকবেন , স্ত্রীর চিকিৎসার ব্যাপারেও সাহায্য সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বাস দেন। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফ থেকে এরকম মানবিক সক্রিয়ভাবে উদ্যোগ গ্রহণকে অত্র এলাকার জনসাধারণ স্বাগত জানিয়েছেন। এদিন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের খোয়াই জেলা প্রভারি অভিজিৎ দত্ত ভৌমিক ছাড়াও হতদরিদ্র পরিবারটির পাশে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ খোয়াই জেলার সম্পাদক বিজয় গোপ, বজরং দল ত্রিপুরা উপক্রান্তের সহ সংযোজক সত্যজিৎ রায় সহ অন্যান্য বিশ্ব হিন্দু পরিষদের বিশিষ্ট নেতৃত্বরা।



