২০১৮ সালের বিধানসভা ভোটে রাজ্যের মানুষ বামেদের ভরাডুবি করিয়ে জন বর্জিত করেছিল। বর্তমানে সিপিআইএম তেলিয়ামুড়া বিভাগীয় স্তরে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে সিপিআইএম দলের দলীয় টিকিট পাওয়া নিয়ে দলের মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দলের ঠান্ডা লড়াই শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই! ২০২৩ সালের রাজ্য বিধানসভার ভোট উৎসবের বিউগল বেজে উঠলো। সবকটি রাজনৈতিক দল সহ আঞ্চলিক দল গুলিও ভোট উৎসবের জন্য আগামভাবে শক্তির মহড়া দিয়ে যাচ্ছে। কোন রাজনৈতিক দলই বিনা যুদ্ধে বিন্দুমাত্র জমি ছাড়তে নারাজ। সবকটি রাজনৈতিক দলই ভোট উৎসবের মধ্য দিয়ে বিধানসভায় যেতে চাইছে। কিন্তু বাস্তবে তা কতটুকু সম্ভব (!) তা লাখ টাকার প্রশ্ন। রাজ্য সিপিআইএম দল তাদের দম্ভ এবং অহংকারের কারণে গত ২০১৮ সালের বিধানসভা ভোটে রাজ্যের মানুষজন তাদের জন বর্জিত করেছিল। বর্তমানে রাজ্যের ৬০ টি বিধানসভা কেন্দ্রে সিপিআইএম দলের দলীয় টিকিট পাওয়া নিয়ে গোষ্ঠী কোন্দলের ঠান্ডা লড়াই শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই। এমনটাই খবর মেলার মাঠের লাল বাড়ি সূত্রে। দলের একটি বিশেষ সূত্রে খবর,, ২৮ তেলিয়ামুড়া বিধানসভা কেন্দ্রে সিপিআইএম দলের টিকিটের দাবিদার প্রাক্তন বিধায়িকা গৌরী দাস, সিপিআইএম মহকুমা কমিটির সম্পাদক হেমন্ত কুমার জমাতিয়া, আইনজীবী ভাষ্কর দেব, বাম নেতা সুবীর সেন সহ এলাকার এক স্বনামধন্য গৃহশিক্ষক। ওই গৃহশিক্ষকের তেলিয়ামুড়া বিধানসভা এলাকায় বেশ সুনামও পরিচিত রয়েছে। এনিয়ে সূত্রটির মতে সিপিআইএম তেলিয়ামুড়া বিভাগীয় স্তরে গোষ্ঠী কোন্দলের ঠান্ডা লড়াই চলছে জোর কদমে। গোটা বিধানসভা এলাকায় সিপিআইএম সমর্থিত মানুষজনের মধ্যে বেশ কানাঘোষা চলছে। তেলিয়ামুড়া বিধানসভার রাজনৈতিক ময়দানে কান পাতলে গোষ্ঠী কোন্দলের কানাঘোষা শোনা যায়। যদিও সিপিআইএম দল এই গোষ্ঠী কোন্দলের বিষয়টি জনসমক্ষে স্বীকার করবে না। কারণ, এতে ভোটের মুখে দলের বদনাম হতে পারে। কিন্তু আদতে গোষ্ঠী কোন্দলে জর্জরিত সিপিআইএম দল। তবে তেলিয়ামুড়া বিধানসভা কেন্দ্রে সিপিআইএম দলের হয়ে বিধানসভা পদপ্রার্থীর টিকিট ওই পাঁচ জনের মধ্যে থেকে কে পাবেন, কার পাল্লা ভারী সেটা সময়ই বলবে। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে,, সিপিআইএম দলের টানা দুই দুই বারের বিধায়িকা তথা বাম নেত্রী গৌরী দাসের টিকিট পাওয়া নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ প্রকাশ করছেন দলেরই একাংশ। কারণ, ২০১৮ বিধানসভা নির্বাচনে তেলিয়ামুড়ার বর্তমান বিধায়িকা থেকে প্রায় ৭,৫০০ ভোটে হেরে যাওয়া পর থেকে তেমন স্বতঃস্ফূর্ততার সঙ্গে দলের বিভিন্ন দলীয় কর্মসূচিতে দেখা যায়নি প্রাক্তন বিধায়িকা গৌরী দাস’কে।।



