ভোট আসে ভোট যায় কিন্তু রাজ্যের পাহাড়ি এলাকার উন্নতিকল্পে কোন কালেই, কোন সরকার তৎপরতা দেখায়নি। ১৮ মুড়া পাহাড়ের বসবাসকারী জুমিয়ারা বর্তমানে নানাহ কায়ক্লেশের মধ্য দিয়েই জুম চাষ করছে। কোন কোন সময় ওইসব জুমিয়ারা জুমের ফসল বাজার জাত করে, আবার কোন কোন সময় বাজার জাত করতে গিয়ে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাদের। তবে প্রতিবারই যতই সরকার আসুক না কেন তাদের ভাগ্যের চাকা আর ঘুরে না। কথা হচ্ছে তেলিয়ামুড়া মহকুমার মুঙ্গিয়াকামী আর.ডি ব্লকের অধীন কাঁকড়াছড়া ও নুনাছড়া এডিসি ভিলেজের বিভিন্ন এলাকা নিয়ে। ভোট আসে ভোট যায়! শুধুমাত্র নেতা থেকে মন্ত্রীদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন ছাড়া আর কিছুই হয় না। থাকে নানা প্রতিশ্রুতির বন্যা। কিন্তু ভোট ফুরিয়ে গেলে প্রতিশ্রুতির বেলুন ফটোস। তবে ঐ সকল জুমিয়া পরিবারগুলি একপ্রকার বুঝে গিয়েছে ভোটের প্রতিশ্রুতি যে প্রতিশ্রুতি থেকে যায় তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তেলিয়ামুড়া মহকুমার মুঙ্গিয়াকামি ব্লকের অধীন কাঁকড়াছড়া, নুনাছড়া এ.ডি.সি ভিলেজের অন্তর্গত বিভিন্ন এলাকা রয়েছে। প্রায় প্রত্যেকটি পরিবারে জুম চাষের উপর আস্থা রেখে আদিকাল থেকে এক প্রান্তর থেকে অন্য প্রান্তে জুম চাষ করে আসছে। অনেক সময় জুম চাষ করতে করতে জঙ্গলের ভেতরে বহু দূর থেকে বহু দূরে চলে যেতে হয় জুমিয়া পরিবার গুলিকে। আর এই জুম চাষের উপর নির্ভর করে প্রত্যেকটি জুমিয়া পরিবার সংসারের যাবতীয় ভরণপোষণ অনাদিকাল থেকে করে আসছে। তবে এবছর জুম খেতে ফলানো রামাইস, খাকলো, মিষ্টি কুমড়ো সহ নানান সবজি চাষ করেছে জুমিয়ারা। সবজির ফলন তুলনামূলক ভালো হলেও বাজারজাত করতে পারছে না যাতায়াতের একমাত্র রাস্তার বেহাল ভগ্নদশা হওয়ার কারণে। কারণ, চাকমাঘাট থেকে কিছুটা রাস্তা ভালো থাকলেও বাকি লম্বা রাস্তাটি ভগ্নদশা পরিণত রয়েছে। ফলে গাড়ির চালকরা গাড়ি নিয়ে এই ভগ্না দশার পথ ধরে যেতে অনীহা প্রকাশ করে প্রায় সময়। আর যদি চলাচল করে তবে দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করছে বলে অভিযোগ। আর তার ফলে জুমিয়া পরিবার গুলি জুমে ফলানো সবজি বাজারজাত করতে পারছে না। জুম খেতে নষ্ট হচ্ছে জুমে ফলানো ফসল। এদিকে বাজারজাত করেও সবজির সঠিক মূল্য পাচ্ছে নাএক জুমিয়া চাষি চরণ জয় রিয়াং জানান,,,, ত্রিপুরা রাজ্যের মধ্যে রিয়াং সম্প্রদায় হাজার হাজার বছর ধরে জুম চাষ করে আসছে। আরে জুম চাষ করতে করতে এক প্রান্তর থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে যেতে হয় ভালো জমির আশায়। তিনি আরো জানান,,,ফসল বিগত বছরগুলি তুলনায় এই বছর এক প্রকার ভালো হয়েছে। কিন্তু রাস্তাটি ভগ্নদশা রূপ নেওয়াতে জুমের ফসল বাজারজাত করতে পারছে না। হাজার হাজার টাকা ব্যয় করে এবং পরিবারের সদস্যদের শ্রমে ফলানো সবজি বাজারের না বিক্রি করতে পেরে জুমের মধ্যেই সবজি পচন ধরেছে। তিনি আরো জানান,,, রাস্তা সংস্কারের জন্য বারবার তাদের পক্ষ থেকে ভিলেজ কমিটি কাছে বারবার দাবি জানিয়ে আসলেও, কাজের কাজ অশ্ব ডিম্ব!
এদিকে নুনাছড়া এবং কাঁকড়াছড়া এডিসি ভিলেজে বসবাসকারী জনজাতি অংশের মানুষদের দাবি অতিদ্রুত যেন রাস্তাটি সংস্কার করে দেওয়া হয়। তবে এখন দেখার বিষয় সংশ্লিষ্ট দপ্তর ওই সকল জুমিয়া পরিবারদের উন্নয়নের কথা মাথায় রেখে রাস্তা সংস্কারের জন্য কি ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।।



