বাম সরকারের চরম অব্যবস্থাপনার খেসারত দিতে হচ্ছে রঙ্গিয়াটিলা গুচ্ছগ্রামবাসীদের!! বিগত বাম সরকারের প্রশাসনিক ব্যবস্থায় তেলিয়ামুড়া মহকুমার বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকা গুলি থেকে বাম সরকারের প্রতিশ্রুতি মূলে জনজাতি মানুষজনেরা তেলিয়ামুড়া মহকুমার মুঙ্গিয়াকামি ব্লকের রঙ্গিয়াটিলা গুচ্ছগ্রাম এসেছিল বসবাস করার জন্য। কিন্তু এই রঙ্গিয়াটিলা গুচ্ছগ্রামটি নির্মাণ করার পূর্বে বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকা থেকে এখানে বসবাস করতে আশা জনজাতি অংশের মানুষজনদের বসবাস করার উপযোগী কোন ব্যবস্থাই করেনি তৎকালীন বাম সরকার। ফলে, আজও একাধিক সমস্যায় জর্জরিত এই রঙ্গিয়াটিলা গুচ্ছগ্রামটি। এর মধ্যে এই গুচ্ছগ্রামে বসবাসকারী মানুষজনদের নিত্যদিনের একটি সমস্যা হল সুখা মরসুম কিংবা বর্ষাকালে এলাকায় তীব্র পানীয় জলের সংকট। ওই এলাকায় তীব্র পানীয় জলের সংকট রয়েছে। সালটা ছিল ২০০৩ সাল। উগ্রবাদী সমস্যা কিছুটা কমতেই তেলিয়ামুড়া মহকুমা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রত্যন্ত এলাকায় বসবাসকারী পিছিয়ে পরা জনজাতি অংশের মানুষজনদের উন্নত করার লক্ষ্যে এবং সরকারি যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা প্রদান করার জন্য মুঙ্গিয়াকামি ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় তৈরি করা হয়েছিল একাধিক গুচ্ছগ্রাম। গুচ্ছগ্রামের সেই সুযোগ-সুবিধা গুলি অনায়াসে হাতের নাগালে পাওয়ার জন্য তিন শতাধিক প্রত্যন্ত এলাকায় বসবাসকারী জনজাতি গিরিবাসীরা ছুটে এসেছিল রঙ্গিয়াটিলা গুচ্ছগ্রামে। কিন্তু সরকারি সুযোগ-সুবিধা তো দূরের কথা তৎকালীন বাম সরকার গুচ্ছগ্রামে বসবাসকারী জনজাতি অংশের মানুষজনদের নিত্য প্রয়োজনীয় সমস্যা গুলিও সমাধান করার প্রয়োজন মনে করেনি। ওই গুচ্ছগ্রামে কোন কোন পরিবার এসেছিল তেলিয়ামুড়া মহকুমার প্রত্যন্ত এলাকা বলে পরিচিত কাকরাছড়া, নোনাছড়া, হলুদিয়া সহ বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকাগুলির মধ্য থেকে প্রায় তিন শতাধিক পরিবার এসে আশ্রয় নিয়েছিল এই গুচ্ছগ্রামটিতে। কারণ একটাই, তাদের দুঃখের দিনগুলি যেন কাটিয়ে উঠতে পারে। কিন্তু তাদের ভাগ্যের পরিহাসে তৎকালীন বাম সরকারের দ্বারা দেওয়া দেওয়া সরকারি প্রতিশ্রুতি অনুসারে সুযোগ-সুবিধা গুলির না পেয়ে অনেকেই পূর্বের ভিটেমাটিতে চলে যেতে বাধ্য হয়েছিল। আর যারা পূর্বের ভিটেমাটিতে না গিয়ে রঙ্গিয়াটিলা গুচ্ছগ্রামে রয়ে গিয়েছে তারা দৈনন্দিন জীবন যাপনের ক্ষেত্রে নানান সমস্যায় জর্জরিত। তবে অন্যান্য সমস্যা গুলির কথা তুলে না ধরলেও পানীয় জলের সংকট যে নিত্য সঙ্গী একথা গুচ্ছগ্রামে বসবাসকারী জনজাতি অংশের মানুষজনদের কন্ঠ থেকে এক নিমিষে ঝরে পড়ে। বর্তমানে ওই গুচ্ছগ্রামের একটা অংশ রয়েছে এমন, যেখানে কয়েকটি বসতি পূণ্য পাড়া রয়েছে, সেই এলাকা গুলিতে তীব্র পানীয় জলের সংকট। এই গুচ্ছগ্রামের পাশেই রয়েছে বৈরাগী ঢেপা এলাকা। ওই এলাকাগুলিতে গাড়ির মাধ্যমে জল না পৌঁছলে আজও তারা ‘ছড়া’ কিংবা ‘গর্তের’ জল উপর নির্ভরশীল থাকা ছাড়া বিকল্প কোনো ব্যবস্থা নেই তাদের।
ওই এলাকার এক জনজাতি মহিলা জানান,,,,, গাড়ির মাধ্যমে জল না পৌঁছলে ‘ছড়া’ কিংবা ‘গর্তের’ জলের উপর নির্ভর করে বেঁচে থাকছে প্রায় ১৯ বছর ধরে। বিগত পাঁচ দিন ধরে ওই এলাকায় গাড়ির মাধ্যমেও জল পৌঁছায় না। ফলে শতাধিক পরিবারের মধ্যে তীব্র পানীয় জলের সংকট রয়েছে। বর্তমানে পাহাড়ের নিচ থেকে অপরিশ্রুত জল সংগ্রহ করে পানীয় জল হিসাবে ব্যবহার করছে এবং দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় জলের চাহিদা মেটাচ্ছে। আর এই অপরিশ্রুত পানীয় জল পান করে জলবাহিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে ওই এলাকার বসবাসকারী জনজাতি অংশের মানুষেরা।
তবে ওই এলাকার পানীয় জলের সমস্যায় জর্জরিত এলাকাবাসীদের দাবি বর্তমান এ.ডি.সি প্রশাসন যেন পানীয় জলের সমস্যা দূরীকরণে এবং তাদের বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা করে দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করে। এখন দেখার বিষয় সংশ্লিষ্ট দপ্তর ওই এলাকার পানীয় জলের সমস্যা দূরীকরণে কি ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।।



