রেশনিং ব্যবস্থায় ইন্টারনেট সার্ভার বিকলের অজুহাত দেখানোর ফলে অক্টোবর মাসের শেষদিন রেশন সামগ্রী সংগ্রহ করতে পারিনি খোয়াই মহকুমার সবকটি রেশনের কয়েক হাজার ভোক্তাগণ। সরকারের নিয়ম অনুযায়ী প্রতিমাসে রেশন দোকান থেকে রেশন সামগ্রী সংগ্রহ করার কথা ভোক্তাদের। এখানে নিয়ম অনুযায়ী বিভিন্ন রেশনের দোকান গুলি সপ্তাহের নির্দিষ্ট একটি দিনে একদিন বন্ধ থাকে যেটা গ্রাহকরা সবাই জানে। কিন্তু খোয়াই মহকুমার বেশ কিছু ডিলাররা নিজেদের বদ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার লক্ষ্যে সাধারণ ভোক্তাদের ঠকিয়ে আসছেন দিনের পর দিন এমনও অভিযোগ আছে। উল্লেখ্য অক্টোবর মাসের শেষ দিন মহকুমা প্রতিটি রেশন সোপে গিয়ে রেশন সামগ্রী সংগ্রহ করতে পারেনি গরিব অংশের জনগন। সাধারণ ভোক্তাদের বক্তব্য হাতে পয়সা আসার পরই তারা রেশন সামগ্রি ক্রয় করতে যান। কিন্তু ৩১ শে অক্টোবর সোমবার মাসের শেষ দিনে ঐদিন সন্ধ্যার পর গ্রাহকরা রেশন সামগ্রী নিতে গেলে রেশন ডিলাররা তাদেরকে বলে দেয় সার্ভার না থাকার দরুণ চাল চিনি সহ অন্যান্য সামগ্রী প্রদান করা যাবে না। রেশন ডিলারের মুখে এহেন কথা শুনে দৈনিক হাজিরায় কাজ করা গরিব মানুষদের মাথায় বাজ পড়ে। সাধারণ ভোক্তাদের প্রশ্ন তাদের জন্য বরাদ্দকৃত সামগ্রী কেন পাবে না, সেই চালসহ অন্যান্য সামগ্রী গুলি চোরা কারবারিদের হাত ধরে কি খোলা বাজারে বিক্রি হয়ে যাবে। মাসের শেষে রেশন সামগ্রী তুলতে না পেরে ভোক্তারা এমনিতে ক্ষিপ্ত হয়ে রয়েছে। আর এই বিষয়ে খোয়াই মহকুমা শাসক বিজয় সিনহার সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এক অদ্ভুত কারণ দর্শান। তিনি বলেন প্রতিমাসে ২৮ তারিখের পর সফটওয়্যার আপডেট এর কারনে সমস্যা তৈরি হয়। যদি সফটওয়্যার আপডেট ই হয়ে থাকে তাহলে তো এই সমস্যা হবার কথা নয় এছাড়া মাছের শেষেই বা কেন সফটওয়্যার আপডেট দিতে হয় এখান থেকেই একটি চুরির গন্ধ পাওয়া যায়। মাসের প্রথম দিকে দিলে এই সমস্যাটা হত না। কারণ মাসের প্রথমে খুব কম সংখ্যক ভোক্তারাই রেশন সামগ্রী তুলে আনেন। এই সমস্যার কারণে সমস্ত ভোক্তাদের প্রতিমাসের ২৮ তারিখের পূর্বে রেশন সামগ্রী সংগ্রহ করার জন্য নির্দেশ দেন খুদ মহকুমা শাসক। অথচ মহকুমা শাসকের এই নির্দেশ মৌখিকভাবে রেশন ডিলারদের জানানো হয় বলে রেশন ডিলাররা বলেন। কিন্তু মহকুমা শাসক যদি সততার সাথে থেকে একটি নির্দেশিকা জারি করে প্রত্যেক রেশন ডিলারের হাতে পৌঁছে দিতেন তাহলে রেশন ডিলাররা ভোক্তাদেরকে আগেই এই বিষয়ে অবগত করাতে পারতেন। কিন্তু মহকুমা শাসক সেই বিষয়ে কোন চিন্তা করেননি রেশন ডিলারদের স্বার্থে। তাই এখানে বলা যায় গরিব মানুষরা রেশন সামগ্রী পেল কিনা পলো না তাতে মহাকুমা শাসকের কিছু যায় আসে না কারণ তিনি একজন সরকারের বেতনধারী কর্মচারী সময় মতো পয়সা ঠিকই পেয়ে যান। কিন্তু গরিবরা পয়সা রোজগার করেই তাদের রেশন আনতে হয় সেই বিষয়টা মাথায় রাখা উচিত ছিল মহকুমা শাসকের। উনার দেওয়া এই নির্দেশ রাজ্য সরকারের নাকি ওনার ব্যক্তিগত নির্দেশ এর প্রত্যুত্তরে তিনি বলেন এই ধরনের নির্দেশ সরকারের হয় না। এই ধরনের নির্দেশ জারি করে মহাকুমা শাসক মূলত দুর্নীতিবাজ ডিলারদের প্রচ্ছন্নভাবে মদত যুগিয়ে যাচ্ছেন বলে মহকুমার সাধারণ রেশন ভোক্তাদের এমনটাই মনে করছেন বলে মন্তব্য করেন। যদি তাই হয়ে থাকে তাহলে অক্টোবর মাসের প্রচুর রেসন সামগ্রী খোলা বাজারে বিক্রি হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মহকুমা বাসি। তা যদি না হয় তাহলে কি অক্টোবর মাসের রেশন ফিরে পাবে গরিব মেহনতী মানুষরা সেই বিষয়ে প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন খাদ্য মন্ত্রীর দিকে।



