কিছু দিন পূর্বে ছিত্রাঙ্গের দাপটে কালীপূজার অনুষ্ঠান থমকে পরে ও সীমান্তে বিএসএফের পরা ডিউটি থাকার কারণে বাংলাদেশের পাচার হতে পারেনি এই অবৈধ শব্দবাজি গুলি। আর এই কারণে হয়তো এই বাজিগুলি উত্তর কলমচৌড়া প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীর বিভিন্ন গোডাউন গুলিতে এত পরিমান শব্দবাজি গুলি মজুদ করা রয়েছে। বিএসএফের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার সকাল ১১ ঘটিকার সময় কলমচৌড়া থানাধীন বক্সনগর উত্তর কলমচৌড়া বাজারের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী বিপ্লব সরকারের দোকান সহ পাঁচটি গোডাউনে বিএসএফ,পুলিশের যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমান শব্দ বাজি উদ্ধার করা হয়। এই অভিযান সকাল ১১ ঘটিকা থেকে দুপুর ২ ঘটিকা পর্যন্ত চলে।এই দিনের অভিযানে মোট ৫০লক্ষ টাকার শব্দ বাজি ও বিলিতি মদ ও বিহার উদ্ধার করা হয়।১৫০ ব্যাটেলিয়ান বিএসএফের আধিকারিকরা দীর্ঘ সময় ধরে তার দোকান সহ আশপাশ এলাকার গোডাউন গুলিতে তল্লাশি চালায়।এ দিনের অভিযানে ছিলেন ১৫০ ব্যাটেলিয়ান বিএসএফ জিব্রাঞ্চ, ডিসিজি,বক্সনগর বিউপির কোম্পানি কমান্ডার বিনোদ দেবরানী,বাতাদোলা বিওপির কোম্পানি কমান্ডার অশোক মেডিওয়াল, সিপাহীজলা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাব্বির আহমেদ,কলমচৌড়া থানার ওসি বিষ্ণুপদ ভৌমিক,এস আই ডেভিড ডারলনং সহ পুলিশ,,বিএসএফ জোয়ানরা। ঐ দিন জোয়ানরা তার দোকানে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ৪৭ টি বাজির বড় বড় কার্টুন ও ১৫২টি বিলিতি মদ,১০০টি বিহার উদ্ধার করা হয়। এই শব্দ বাজি ও নেশাদ্রব্য উদ্ধারের পাশাপাশি দোকানের জৈনিক কর্মচারীকে প্রশাসনের আধিকারিক আটক করে থানায় নিয়ে আসে।পরে থানা থেকে তাকে বেইল করে নিয়ে যায়। ঐদিনের উদ্ধারকৃত বাজি ও নেশাদ্রব্যের বাজার মূল্য প্রায় ৫০লক্ষ টাকা।এই শব্দবাজি ও নেশা দ্রব্য গুলি দোকানের গোডাউনের মধ্যে মজুদ করা ছিল।উদ্ধারকৃত বাজীগুলি জোয়ানরা প্রথমে কলমচৌড়া থানায় নিয়ে কাউন্টিং করে কাস্টমকে সিজার দিয়ে দেওয়া হয়।জানা গেছে গোডাউনের মালিক কলমচৌড়া বাজারের একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী।তিনি দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছেন।গোডাউনের বিশাল সংখ্যক বাজি মজুদ টাকার পেছনে কি কারন লুকিয়ে আছে তা এখনো স্পষ্ট নয়।প্রশ্ন উঠছে তিনি সেই বাজি অবৈধভাবে বাংলাদেশে পাচার করার সাথে জড়িত নন তো।তবে রাতারাতি যেভাবে কোটিপতি হয়ে গেছেন তা দেখে সবাই অবাক।উত্তর কলমচৌড়া বাজারের আশপাশ এলাকায় তার কয়েকটি গোডাউন রয়েছে বলে জানা যায়।সেগুলোতে অবৈধ সামগ্রী কিংবা বাজি মজুদ আছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠচ্ছে।উদ্ধারকৃত বাজি কেনার বৈধ নথিপত্র আছে কিনা তাও জানা যায়নি।যেহেতু বিএসএফ জোয়ানরা উদ্ধারকৃত বাজি বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে গেছে তাই সবাই মনে করছেন হয়তো বাজি কেনার কোন বৈধ নথি দেখাতে পারিনি বাজির মালিক।বক্সনগর আদমপুর, কলসিমুড়া সীমান্ত দিয়ে শব্দ বাজি সহ বিভিন্ন সামগ্রী বাংলাদেশে পাচার করা হয়ে থাকে রাতের অন্ধকারে।জানা যায় এই শব্দ বাজিগুলি আগরতলা গোলবাজার থেকে নিয়ে এসে বক্সনগর উত্তর কলমচৌড়া বাজারের বিভিন্ন গোডাউন মজুদ করা হয়।



