প্রত্যেকটি মানুষের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনবোধে বিভিন্ন খাদ্য খেতে হয়। আর বর্তমান সময়ে প্রত্যেকটি খাদ্যতালিকার দ্রব্যগুনে রয়েছে ভেজাল জাতীয় জিনিস আর ওই জিনিসগুলো খেয়ে প্রতিনিয়ত মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। এই ভেজাল খাদ্য গুলি খাবার ফলে বর্তমান সময়ে প্রায় বেশিরভাগ মানুষই কিডনি জনিত সমস্যায় ভুগছেন। দেখাগেছে খোয়াই জেলা জুড়ে প্রচুর সংখ্যক কিডনির সমস্যাজনিত রোগী রয়েছে। তাদের বেঁচে থাকার জন্য প্রতিনিয়ত ডাইলোসিস করাতে হয়। ডাইলোসিস করার জন্য প্রতিনিয়ত রোগীদের ছুটে যেতে হতো আগরতলা আইজিএম হাসপাতালে অথবা কুলাই জেলা হাসপাতালে। এই বিষয়ে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর এই গুরুতর সমস্যা ও রোগীদের কথা চিন্তা করে খোয়াই জেলা হাসপাতালে ডাইলোসিস বিভাগ চালু করে গত কয়েক মাস আগে যদিও সরকারিভাবে আজ অব্দি ও উদ্বোধন হয়নি ডায়ালিসিস বিভাগটির। গত কয়েকমাস মাস ধরে খোয়াই জেলা হাসপাতালের একটি কক্ষে ডায়ালাইসিস পরিষেবা চালু রয়েছে দুটি আসন বিশিষ্ট। রাজ্যের আই জি এম হাসপাতালে যে সংস্থাটি ডায়ালোসিসের দায়িত্ব পালন করছে সেই সংস্থাটিই খোয়াইতেও তারা তাদের পরিষেবা দিচ্ছে বলে জানা যায়। খোয়াইতে ডাইলোসিস করাতে গিয়ে রোগী ও রোগীর আত্মীয়রা অভিযোগ তুলছেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা জটিল রোগীদের ক্ষেত্রেও প্রয়োজনীয় হিমোগ্লোবিন ইনজেকশান দিতে গরিমশি করছেন। এতে করে রোগীরা হিমোগ্লোবিনের অভাব বোধ করছেন বলেও অভিযোগ করেন। যা একটি বিপদজনক অবস্থা। প্রায় প্রতিদিনই এই সমস্যায় জর্জরিত হচ্ছে ডায়ালোসিস রোগীর আত্মীয় পরিজনেরা। তারা সংবাদমাধ্যমকে অভিযোগ করে বলেন যে এমনও দেখা গেছে প্রতি সপ্তাহে একজন রোগীকে তিনবার পর্যন্ত ডায়ালিসিস করতে হচ্ছে বেঁচে থাকার জন্য। দেখা গেছে এই ডায়ালিসিস করার পর রোগীর শরীরের রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে যাচ্ছে। চিকিৎসকরা প্রত্যেক রোগীকে তিনটি করে বিনামূল্যে হিমোগ্লোবিন ইনজেকশন প্রদানের কথা থাকলেও তারা তা দিচ্ছেন না বলেও অভিযোগ উঠছে। রোগীর আত্মীয়রা এও জানান আইজিএম হাসপাতালে ডাইলোসিস করাতে গিয়ে হিমোগ্লোবিনের ইনজেকশন নিয়ে কোনদিন সমস্যায় পড়তে হয়নি গত আড়াই থেকে তিন বছরের মধ্যে প্রত্যেকটি ডায়ালোসিসের পর একটি করে হিমোগ্লোবিনের ইনজেকশন পেত রোগীরা। দেখা গেছে খোয়াই জেলা হাসপাতালে পরিস্থিতি অনেক সময় এমন জায়গায় গিয়ে দাঁড়ায় যে ঝগড়া করে হিমোগ্লোবিন ইনজেকশান সংগ্রহ করতে হচ্ছে রোগীর আত্মীয়দের পাশাপাশি বিভিন্ন হয়রানিরও শিকার হতে হচ্ছে। রোগীর আত্মীয়দের অভিযোগ মূলে জানা যায় এই ডায়ালাইসিস সেন্টারের দায়িত্বে রয়েছেন ঔষধ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অর্ণব দেববর্মা। তিনিই কোনো কারণবশত এই সমস্যা জিয়িয়ে রেখে চলেছেন। রোগীর আত্মীয়রা অভিযোগ মুলে এও বলেন আগে আইজিএম হাসপাতালে ডায়ালোসিস করার সময় একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রোগীদের প্রতিনিয়ত দেখভাল করতেন কিন্তু খোয়াই জেলা হাসপাতালে এই ধরনের কোন সুযোগ সুবিধা নেই। জানা যায় ডাইলোসিস বিভাগের ইনচার্জ তথা কর্তব্যরত চিকিৎসক নাকি ছুটি নিয়ে বসে আছেন। এমন পরিস্থিতিতে যদি কোন ডাইলোসিস রোগীর কোন ধরনের শারীরিক সমস্যা হয় সেই বিষয়টি কে দেখবে এ নিয়োগ প্রশ্ন উঠছে। দেখা গেছে খোয়াই জেলা হাসপাতালে ডাইলোসিস রোগীদের একমাত্র ভরসা ডায়ালোসিস বিভাগের টেকনিশিয়ানরাই। কোন রোগীর যদি গুরুতর সমস্যা হয় সে জায়গায় চিকিৎসক না থাকলে ডায়ালোসিসের টেকনিশিয়ানরা রোগীদের প্রাণ বাঁচাতে কি পারবে এই প্রশ্নটাই ঘুরপাক খাচ্ছে রোগীর আত্মীয় পরিজনদের মনে।



