Thursday, December 4, 2025
বাড়িখবরশীর্ষ সংবাদরাজ্যের যুবক বহিরাজ্যে অপহরণ করে পাঁচ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ হিসাবে দাবি

রাজ্যের যুবক বহিরাজ্যে অপহরণ করে পাঁচ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ হিসাবে দাবি

রাজ্যে থেমে নেই খুন, সন্ত্রাস, নারী নির্যাতন অপহরণের মতো বহু ঘটনা।এমনই একটি অপহরণের ঘটে সোনামুড়া মহকুমার কলমচৌড়া থানাধিন ভেলোয়ারচর এলাকার আবুল হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে গত ২২ দিন আগে কাজের লোভ দেখিয়ে অপহরণ করে বিহার রাজ্যে নিয়ে যায় একই এলাকার রিপন মিয়া নামে এক গাঁজা ব্যাবসায়ী।সেখানে নিয়ে গিয়ে ১৫ দিন পরেও কোন কাজের সন্ধান দিতে পারেনি রিপন।রিপন মিয়া বিহারের কিছু লোকদের কাছে তাকে আমানত হিসাবে রেখে বাড়িতে চলে আসেন বলে খবর।দীর্ঘ ১৫ দিন চলে যাওয়ার পরে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া আবুল হোসেনের ওপর চলে অত্যাচার। অপহরণকারীরা আবুল হোসেনের ওপর দাবি করে ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ হিসেবে।৫ লক্ষ টাকা দিতে না পারলে তাকে বিহার রাজ্যের কোন একটি স্থানে মেরে ফেলে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেওয়া হয় অপহরণকারীরা। এদিকে ভেলোয়ারের এলাকার কুখ্যাত গাঁজা ব্যবসায়ী রিপন মিয়ার কোন হদিস মেলেনি।তাকে ফোনের পর ফোন করেও কোন সন্ধান মেলেনি।অপহরণকারীরা বিহার রাজ্য থেকে আবুলকে প্রচণ্ড মারধোর করে ভিডিও ফোন দিয়ে তার মা-বাবাকে দেখায়।এই মারার ভিডিও দেখে তার পিতা-মাতাও তাকে বাড়িতে নিয়ে আসতে অস্থির হয়ে ওঠেন। তার বাবা পেশা একজন দিনমজুর। মা বক্সনগর হসপিটাল চৌমোনিতে চা বিক্রি করেন।আর এইদিকে অপহরণকারীরা তার পিতা-মাতার কাছে ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ হিসেবে দাবি করেন। যদি কয়েক ঘন্টার মধ্যেই ৫লক্ষ টাকা না দিতে পারে তাহলে তাকে মেরে ফেলে দেওয়া হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়। তখন তার মা-বাবা তড়িঘড়ি কোনরকমে টাকা যোগাড় করে বক্সনগর চৌমুনির সুমন দাস নামে এক দোকান থেকে অপহরণকারীদের একাউন্টে টাকা পাঠায়। তবু আবুল হোসেনকে ছাড়েনি অপহরণকারীরা।কারণ তারা দাবি করে আরও তিন লক্ষ টাকা দিলেই আবুল হোসেনকে ছেড়ে দেওয়া হবে।এদিকে তার পিতা-মাতা নিরুপায়।কারণ তার পিতামাতা দিন আনে দিন খায়। এত টাকা জোগাড় করে অপহরণকারীরা দেওয়া তাদের পক্ষে মুশকিল।তখন তারা মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছয় ঘটিকার সময় কলমচৌড়া থানার পুলিশের নিকট দ্বারস্থ হয়। অপহরণ হওয়ার পিতা-মাতা এ ঘটনার বিস্তারিত জানিয়ে কলমচৌড়া থানায় রিপন মিয়ার নামে একটি লিখিত অভিযোগ করেন।পুলিশ রিপন মিয়ার বাড়িতে গিয়ে তল্লাশি চালায়।কথা বলা হয় রিপন মিয়ার স্ত্রীর সাথে।কিন্তু কেউ বলতে পারেনি রিপন মিয়া কোথায়। তার মোবাইল ফোনও সুইচ অফ। গোপন খবরে জানা যায় গাঁজা ব্যবসায়ী রিপন মিয়া বিহারের কিছু গাঁজা ব্যাবসায়ির কাছে গাঁজা দেওয়ার নাম করে আবুল হোসেনকে বন্দক রেখে প্রচুর টাকা তাদের কাছ থেকে নিয়ে আসে। কিন্তু ১৫ দিন কেটে গেলেও রিপন মিয়া তাদের গাঁজা আর দেয়নি। হয়তো এই কারণেই বিহারের গাজা ব্যবসায়ীরা আবুল হোসেনকে আটক করে মারধর করছে মুক্তিপণ হিসেবে টাকা দাবি করছে। এই ঘটনার জেরে পুলিশ বুধবার সকাল ১১ ঘটিকার সময় রিপন মিয়ার বাড়িতে ঘটনার তদন্ত করতে গেলে পুঠিয়া এলাকার মোশারফ হোসেন ও বাপন নামের দুই যুবককে তাদের বাড়িতে দেখতে পেয়ে ওসি বিষ্ণুপদ ভূমিক তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে।তারা রিপনের সাথে জড়িত রয়েছে কিনা পুলিশ তদন্ত করছেন।এদিকে অপহৃত যুবকের পিতা-মাতা তাদের সন্তানের জন্য পাগলের মত রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছেন। পুলিশ যদি রিপনের পরিবারকে বিশেষভাবে চাপ দেয় তাহলে আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে।এখন দেখার বিষয় পুলিশ তাদের কতটুকু সহযোগিতা করতে পারে।


RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

twenty − 3 =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য