সোনামুড়ার বিভিন্ন অঞ্চলে সোমবার বামপন্থীরা শহীদ স্মৃতিচারণ করে।শুধু তাই নয়,মহকুমা ভিত্তিক সোনামুড়াতে হলসভাও অনুষ্ঠিত করে।এই কর্মসূচি ঘিরে বামপন্থী বিভিন্ন গণসংগঠনসমূহের নেতা কর্মীদের মধ্যে সংগ্রামী চেতনা মাত্রাতিরক্ত সংগ্রামী মেজাস উঠে আসে।যেমন,১৯ ৪৮ সালের ৯ অক্টোবর( ২৩) আশ্বিন মহাজনের শোষণ বঞ্চনার বিরুদ্ধে গোলাঘাটি ভক্ত ঠাকুর পাড়ার ঘাটে কৃষকরা ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করতে গেলে পুলিশ গুলি চালায়। নিহত হয় একাধিক কৃষক শ্রমিক।এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয় সুনামুরা শহর অঞ্চল কমিটির উদ্যোগে, কুলু বাড়ি অঞ্চল কমিটির উদ্যোগে,মোহনভোগ অঞ্চল কমিটির উদ্যোগে ও রবীন্দ্রনগর অঞ্চল কমিটির উদ্যোগ।দুপুরের পর মহকুমা ভিত্তিক সোনামুড়াতে হয় একটি হলসভা।সভায় আলোচনা করেন,সারা ভারত কৃষক সবার রাজ্য কমিটির তথা সোনামুড়া মহকুমা কমিটি সম্পাদক শামসুল হক,বিধায়ক শ্যামল চক্রবর্তী এবং সোনামুড়া সিপিআইএম অঞ্চল সম্পাদক অধীর ভৌমিক। বক্তারা,বামপন্থী নেতাকর্মীদের সংগ্রামী চেতনায় উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন ত্রিপুরার মাটিতে বহু আগেও মানুষের মৌলিক সমস্যা নিয়ে আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রত করা হয়েছিল।তাদের স্মৃতিচারণের পাশাপাশি শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখলে হবে না।বর্তমান রাজ্যের যে পরিস্থিতি চলছে অত্যন্ত ভয়ানক।তাকে যেকোনো মূল্যে প্রতিহত করার জন্য সমাজের সমস্ত চোরের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে আন্দোলনের ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য আহ্বান রাখেন নেতৃত্বরা।এছাড়া আজকের কর্মসূচিতে বিভিন্ন গণসংগঠনের নেতাদের মধ্যে ছিলেন, নারায়ণ চক্রবর্তী, সি আই টি ইউর রাজ্য সম্পাদক অহিদুর রহমান, শোভা মিয়া,মিজান মিয়া সহ আরো অনেকেই।



