সপ্তমীর সকাল যেন নিরানন্দ বয়ে নিয়ে এনেছে শহর দক্ষিণাংশের মানুষের কাছে। পুজোর প্রথম দিনই একটু বেলা হাতে না হতেই সড়ক অবরোধের মুখে পড়তে হয়েছে রাজ্যের রাজধানী শহর আগরতলার মানুষকে। যানবাহনের জ্বালানী গ্যাস সড়ক অবরোধ শুরু করে। বেলা ১২টার আগে থেকেই শুরু হয় এই অবরোধ। ধীরে ধীরে এর তীব্রতা বাড়তে থাকে। অটো সহ বিভিন্ন যান বাহনের চালক ও মালিকরা গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সামিল হয় সড়ক অবরোধে। ফলে শহর দক্ষিণাংশের সিদ্ধি আশ্রম পর্যন্ত তীব্র যানজটের সৃষ্টি কারীদের উপর প্রাণঘাতী হামলা করে দুইজনকে রক্তাক্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে কতিপয় ব্যক্তির সহ সাধারণ মানুষকে। মাটি হয়ে চাঞ্চল্য ও উত্তেজনা আরও বেড়েছে। অন্য দিকে যানবাহনের চালক এবং পড়েছে অনেকের পুজোর আনন্দ। এর সৃষ্টি হয়েছে আতঙ্ক। পুরো ঘটনা ঘিরে মালিকদের বক্তব্য সড়ক অবরোধ করা মধ্যে আবার সড়ক অবরোধকারী চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে যানবাহনের ছাড়া অন্য কোন উপায়ে প্রতিবাদ চালক ও মালিকদের উপর হামলে চালক ও মালিকদের মধ্যে। একই সঙ্গে জানানো কার্যত অসম্ভব। প্রশাসনের পড়ার অভিযোগ উঠেছে। অবরোধ ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে নিত্য যাত্রীদের নজরে নেওয়ার লক্ষ্যে জনদুর্ভোগের মধ্যেও। নিত্য যাত্রীদের বক্তব্য যেকোন কথা মাথায় রেখেও তারা বাধ্য হয়ে কিছুর প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করা সড়ক অবরোধে সামিল হচ্ছে বলে যানবাহনের চালক ও মালিকরা উপস্থিত সংবাদ মাধ্যমকে জানায়। জানা যায় শনিবার ষষ্ঠীর মধ্য রাত ১২টা থেকে ত্রিপুরা সহ সারা দেশে পাইপ লাইনের গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি হয়েছে। প্রতি বছর ১লা এপ্রিল ও ১লা অক্টোবর নিয়ম করে কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে পাইপ লাইন গ্যাসের মূল্য পর্যালোচনা করা হয়। এর ভিত্তিতে গত কয়েক বছর ধরে যানবাহনের জ্বালানী গ্যাস তথা সিএনজি এবং বাড়ী ঘর, কলকারখানা সহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ব্যবহৃত জ্বালানী গ্যাস তথা পিএনজির টানা দাম বেড়ে আসছে। ১লা অক্টোবর কেন্দ্রীয় সরকারের পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের তরফে পাইপ লাইন গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির কথা ঘোষণা করা হয়। বর্ধিত মূল্য কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে কার্যকর করা হয় শুক্রবার ৩০ সেপ্টেম্বর মধ্যরাত তথা ১লা অক্টোবর থেকে। এর ভিত্তিতে শনিবার মধ্যরাত তথা ২রা অক্টোবর থেকে রাজ্যের পশ্চিম জেলা সহ সর্বত্র সিএনজির দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে প্রতি কিলোগ্রাম ৯ টাকা ৩০ পয়সা করে। প্রায় ১৪ শতাংশ মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আজ রবিবার সকাল থেকেই সড়ক অবরোধ শুরু করে যানবাহনের চালক ও মালিকরা।



