শারদীয়া উৎসব দাঁড় গোড়ায় এসে কড়া নাড়লেও তাদের মধ্যে কোন আনন্দের জোয়ার নেই । কচিকাঁচা শিশুদের জন্য বস্ত্র কেনাকাটার ধুম নেই তাদের মধ্যে । কেননা তারা অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল । জুমের কৃষিজ ফসল জাতীয় সড়কের পাশে বসে বিক্রি করার অর্থ দিয়েই তাদের সংসারের দ্বীনাতিপাত করতে হয় । কথা হচ্ছিল প্রত্যন্ত এলাকার জুমিয়াদের জুমের কৃষিজ ফসল বিক্রি করা প্রসঙ্গ নিয়ে এক জুমিয়ার সাথে । ঘটনা মুঙ্গিয়াকামী আর. ডি ব্লকের ৩৬ মাইল এলাকায় । উক্ত এলাকায় গিয়ে প্রত্যক্ষ করা গেল জুমিয়ারা তাদের কৃষিজ ফসল জাতীয় সড়কের পাশে নিয়ে বসে আছে খদ্দেরের আশায় । তাদের উদ্দেশ্য ছিল কৃষিজ ফসল গুলি খদ্দেরের কাছে বিক্রি করে আয় উপার্জন করা । কিন্তু কৃষিজ ফসল গুলি নিয়ে বসে থাকলেও তেমন বিক্রি হচ্ছে না বলে জানান জুমিয়া নীল কুমার দেববর্মা । তবে আগরতলা সহ বিভিন্ন দূর-দূরান্ত থেকে সবজি পাইকাররা এই এলাকায় এসে জুমের ফসল ক্রয় করে নিয়ে যান বলে জানান ওই জুমিয়া । অন্যদিকে শারদীয়া পূজোর মরশুম কালে তাদের সন্তান সন্তিদের জন্য নতুন পোশাক পরিচ্ছদ কেনাকাটার ব্যাপারে তিনি জানান,, অর্থের অভাবে সবাই কেনাকাটা করতে পারছে না কারণ জুমিয়ারা জুম এর কৃষিজ ফসলগুলি সম্পূর্ণভাবে ঘরে যেমন তুলতে পারেনি তেমনি বাজারজাত করতে পারছে না । এদিকে ত্রিপুরা স্বাসিত জেলা পরিষদের ক্ষমতায় তিপ্রামথা আঞ্চলিক দল । স্বশাসিত জেলা পরিষদের প্রশাসন প্রত্যন্ত এলাকাবাসীদের অর্থনৈতিক মান উন্নয়নের জন্য স্বউদ্যোগী হয়ে উঠছেন না বলে অভিযোগ। জুমিয়া নীল কুমার দেববর্মা কথা প্রসঙ্গে এটাও জানালেন জুমের টিলাভূমিতে তারা খাকরুল, বিভিন্ন রকমের ধান এবং রকমারি সবজি চাষাবাদ করেছিলেন । জুম এর ফসল গুলি পরিপক্ক হওয়ার পর বর্তমানে তারা ঘরে তোলার জন্য ব্যস্ত এবং রাস্তার পাশে বসে বিক্রি করতে হচ্ছে বিভিন্ন রকমের সবজি ।



