শনিবার আগরতলার দক্ষিণ প্রান্তের হাপানিয়া স্থিত আন্তর্জাতিক মেলা প্রাঙ্গণ ও প্রদর্শনী কেন্দ্রে আয়োজিত এই চিন্তন বৈঠকে জাতীয় এবং প্রদেশ স্তরের নেতৃত্ব অংশ নিয়েছেন । বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বি এল সন্তোষ , উত্তর পূর্বাঞ্চলের সমন্বয় সাধক ডঃ সম্বিত পাত্রা এবং প্রদেশ বিজেপির পর্যবেক্ষত তথা সাংসদ ডাঃ মহেশ শর্মা প্রমুখ অংশ নিয়েছেন দলের জাতীয় স্তরের নেতৃত্বের তরফে । প্রদেশ নেতৃত্বের তরফে সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য , রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা , উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মণ , তথ্য সংস্কৃতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী , প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্য সভার সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব প্রমুখ অংশ নেন । দিনের বৈঠকে ২০২৩ সালের নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে নির্বাচনী রণকৌশল তৈরীর উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে । বিধান সভা নির্বাচনে শাসক দল বিজেপির নিশ্চিত জয়ের প্রশ্নে সম্ভাব্য সব ধরণের বিকল্প নিয়ে আলাপ আলোচনা এবং বিশ্লেষণ করা হয়েছে বৈঠকে । বৈঠকে উল্লেখিত নেতৃত্ব ছাড়াও পূর্ব ত্রিপুরা লোকসভা আসনের সাংসদ রেবতি ত্রিপুরা রাজ্য মন্ত্রীসভার বিভিন্ন সদস্য সহ শাসক দল বিজেপির সাংগঠনিক পদাধিকারী , অন্যান্যরা অংশ নিয়েছেন । বৈঠক সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গেছে দলের বিভিন্ন শাখা সংগঠন তথা মোর্চার প্রতিনিধিরা সহ সর্বস্তরের নেতৃত্ব খোলামেলা আলোচনা করেছেন । জাতীয় নেতৃত্বের তরফে বিজেপির প্রদেশ পদাধিকারী এবং অন্যান্যদের কাছ থেকে খোলা মেলা বিশ্লেষণ আহ্বান করা হয়েছে বৈঠকে । আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে অনেকেই আসন্ন ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন ত্রুটি বিচ্যুতি তুলে ধরে তা দূর করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন । কেন না আসন্ন ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচন শাসক দল বিজেপির কাছে কঠিন লড়াই হতে চলেছে বলে দলের একাংশ মনে করেন । তারা আসন্ন নির্বাচনকে অ্যাসিড টেষ্ট হিসাবে চিহ্নিত করে যাবতীয় ত্রুটি বিচ্যুতি দূর করে সম্ভাব্য সব ধরণের বিকল্পের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন । এই প্রসঙ্গে বিভিন্ন দলের সঙ্গে জোট করা সহ বিজেপির পক্ষে ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোট যেকোন মূল্যে ধরে রাখার উপর অনেকেই বাড়তি গুরুত্ব দিয়েছেন । বৈঠকে অংশ নিয়ে তারা জানিয়েছেন ২০১৮ সালে বিধানসভা নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোট ধরে রাখার স্বার্থে প্রয়োজনে বিভিন্ন বিকল্প গ্রহণ করতে হবে । কাজে লাগাতে হবে দলের তৃণমূল স্তরের নেতৃত্ব , কর্মী ও সমর্থকদের সম্মিলিত শক্তিকে । মর্যাদা দিতে হবে পৃষ্ঠাপ্রমুখ সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মহলকে । তাদের যথাযথ মর্যাদা দেওয়া সম্ভব হলেই ২০২৩ সালের আসন্ন নির্বাচনে।



