রাজ্যের মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে । মানুষের রোজগার আগের তুলনায় বেড়েছে । কেন্দ্রীয় সরকারের পিরিয়ডিক লেবার ফোর্স সার্ভে ( পিএলএফএস ) জুলাই , ২০১৭ থেকে জুন , ২০১৮ অনুযায়ী রাজ্যে বেকারত্বের হার ছিল ৬.৮ শতাংশ । একই সংস্থার সার্ভে অনুযায়ী জুলাই , ২০২০ থেকে জুন , ২০২১ পর্যন্ত রাজ্যে বেকারত্বের হার কমে দাঁড়িয়েছে ৩.৬ শতাংশ । এর থেকে বোঝা যায় রাজ্যে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়ে চলছে । আজ বিধানসভায় বিধায়ক সুধন দাসের জনস্বার্থে আনীত বেসরকারি প্রস্তাব ‘ কর্মক্ষম – কর্মপ্রার্থী বেকার ছেলে – মেয়েদের দ্রুত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার জন্য ত্রিপুরা সরকারের নিকট এই বিধানসভা দাবী করছে ’ শীর্ষক প্রস্তাবের উপর আলোচনা করতে গিয়ে একথা বলেন শ্রমমন্ত্রী ভগবান চন্দ্র দাস । বিধানসভায় আলোচনাকালে তিনি আরও বলেন , উত্তর পূর্বাঞ্চলের মধ্যে রাজ্যে প্রথম ডাটা সেন্টার পলিসি , ২০২১ চালু করা হয়েছে । লক্ষ্য একটাই তথ্য ও প্রযুক্তি এবং এই সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলিতে বিনিয়োগ বাড়িয়ে প্রচুর কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করা । রাজ্য সরকার তথ্য ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে স্টার্ট – আপ স্কিম চালু করেছে । ইতিমধ্যেই এই ধরনের ৮ টি প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে । বিগত সাড়ে চার বছরে রাজ্যে প্রচুর সংখ্যক সরকারি চাকরির ব্যবস্থা করা হয়েছে । চলতি অর্থবছরে বিভিন্ন দপ্তরে সরকারি চাকরি দেওয়ার প্রক্রিয়া চালু রয়েছে । টিপিএসসি , জেআরবিটি , টেটে প্রচুর কর্মসংস্থান হবে আগামী কিছুদিনে । তিনি আরও জানান , ন্যাশনাল ক্যারিয়ার সার্ভিস প্রজেক্টের আওতায় আগরতলা , ধর্মনগর ও কৈলাসহরে মডেল ক্যারিয়ার সেন্টার গড়ে তোলা হয়েছে । আগামীদিনে বাকি জেলাগুলিতে এই ধরনের ক্যারিয়ার সেন্টার গড়ে তোলা হবে । রাজ্যে কর্মসংস্থানের জন্য ২০১৮-১৯ অর্থবছর থেকে এখন পর্যন্ত ৪৯ টি চাকরি মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে । যার মাধ্যমে এখন পর্যন্ত ১৩০৮ জন যুবক যুবতীর কর্মসংস্থান হয়েছে । রাজ্যে স্কিল ডেভেলপমেন্ট দপ্তরের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দিয়ে ১০,৬২৮ জনের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে । ত্রিপুরা আজীবিকা মিশন ( গ্রামীণ ও শহুরি ) -র মাধ্যমে যথাক্রমে ২,২৬৮ ও ৬৯৪ জনের কর্মসংস্থান হয়েছে । রাজ্যে বর্তমানে মহিলা স্বশক্তিকরণকে মাথায় রেখে স্বসহায়ক দল গঠনের উপর সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে । এরফলে বর্তমান সরকারের কার্যকালে নতুন ৩২,৮২০ টি স্বসহায়ক দল , ১,৪৬২ টি ভিলেজ ফেডারেশন এবং ৩৭ টি ক্লাস্টার লেভেল ফেডারেশন গঠনের মাধ্যমে রাজ্যে প্রায় ৩ লক্ষ গ্রামীণ মহিলাকে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়া হয়েছে । ত্রিপুরা রুরাল লাইভলিহুড মিশন থেকে ২০১৮-১৯ সালে ৪ , ১৪২ টি স্বসহায়ক দলকে ২৭ কোটি ৯১ লক্ষ টাকা , ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৭,৯৭৮ টি স্বসহায়ক দলকে ৮২ কোটি ২১ লক্ষ টাকা , ২০২০-২১ অর্থবছরে ৮,৮৪৬ টি স্বসহায়ক দলকে ১০৯ কোটি ৬ লক্ষ টাকা , ২০২১-২২ অর্থবছরে ১৫,৯৬২ টি স্বসহায়ক দলকে ২১৪ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরে এখন পর্যন্ত ৪,৬২২ টি স্বসহায়ক দলকে ৮৬ কোটি ৯২ লক্ষ টাকা ব্যাঙ্ক ঋণ প্রদান করা হয়েছে । পিএম – স্বনিধি প্রকল্পে এখন পর্যন্ত যোগ্য হকারদের ৪ কোটি ৪ লক্ষ টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে । তাছাড়াও প্রস্তাবের উপর বিধানসভায় আলোচনায় অংশ নেন শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ , বিধায়ক ভানুলাল সাহা , বিধায়ক বিপ্লব ঘোষ , বিধায়ক সুধাংশু দাস । পরে প্রস্তাবটি সভা কর্তৃক বাতিল হয়ে যায় ।



