পুলিশের ব্যর্থতার কারণেই সাত দিনের পুলিশ রিমান্ডে থাকার পর কোন স্বীকারোক্তি দেয় নি টমটম চালকের হত্যাকারী অনিমেষ মোদক। শেষে বৃহস্পতিবার পুলিশ আদালতের কাছে আরো পাঁচ দিনের পুলিশ রিমান্ডে চাইলে আদালত তা বাতিল করে অনিমেষ মোদককে 13 দিনের জেল হাজতে পাঠিয়ে দেয় আগামী 27 শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। পাশাপাশি এই মামলার তদন্তকারী অফিসার কে আদালত নির্দেশ দেয় দরকার হলে জেল কষ্টডিতে থাকা অবস্থায় অনিমেষ মোদককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। দেখা গেছে খোয়াই জাম্বুরার নিবাসী তথা টমটম চালক দ্বীজরাজ ঘোষ কে হত্যার অভিযোগে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল যার কেইস নাম্বার ছিল 72/22। এরপর এই মামলার আসামী অনিমেষ মোদককে গ্রেফতার করে 8 ই সেপ্টেম্বর আদালতে তোলা হলে আদালত অনিমেষ মোদককে সাত দিনের পুলিশ রিমান্ডে পাঠায়। এখানে খুবই পরিতাপের বিষয় যে পুলিশের কাছে সাতদিনের রিমান্ডে থাকা সত্বেও অনিমেষ মোদক এর কাছ থেকে একটি শব্দ বের করতে পারেনি পুলিশ টমটম চালকের খুনের বিষয়ে। এখান থেকেই বোঝা যাচ্ছে পুলিশের দুর্বলতা। পুলিশের তদন্তের সেই দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে টমটম চালকের হত্যাকারী অনিমেষ মোদকের মুখ খুলাতে পারেনি পুলিশ শুধুমাত্র দুর্বল জিজ্ঞাসাবাদের কারণে এই ঘটনাটি ঘটেছে। তাই আদালত ও বুঝতে পেরেছে যখন 7 দিনের পুলিশ রিমান্ডে থাকা সত্ত্বেও পুলিশ অনিমেষ মোদকের কাছ থেকে টমটম চালকের হত্যার কোনো রহস্য বের করতে পারেনি তখন আদালত অনিমেষ মোদককে 13 দিনের জেল কষ্টডিতে পাঠিয়ে দেয়। অন্যদিকে পুলিশ বারবার বলেছিল টমটম চালকের হত্যার পেছনে ওতপ্রোতভাবে জড়িত রয়েছে অনিমেষ মোদক এর জন্য পুলিশের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রমাণ রয়েছে বলে জানিয়েছিল। এখন বোঝা যাচ্ছে আদৌ কি পুলিশের কাছে কোন প্রমাণ ছিল কিনা যদি থাকতো তাহলে পুলিশের কাছে 7 দিনের রিমান্ডে থাকা সত্ত্বেও কেন পুলিশ অনিমেষ মোদকের মুখ দিয়ে কোন ধরনের স্বীকারোক্তি করাতে পারল না এর থেকেই পুলিশের ব্যর্থতা প্রকাশিত হচ্ছে। তাই আদালত মামলার তদন্তকারী অফিসারকে নির্দেশ দেয় দরকার হলে জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য। এখন বোঝা যাচ্ছে অনিমেষ মোদকের কাছ থেকে পুলিশ আর কোনো ধরনের রহস্য ভেদ করতে পারবেনা টমটম চালকের হত্যার। যদি তাই হয় তাহলে বেকসুর খালাস হয়ে যাবে অনিমেষ মোদক বলে ধারণা করছে খোয়াইয়ের বুদ্ধিজীবী মহল।



