দীর্ঘ প্রায় একমাস পর ফের তেলিয়ামুড়া মহকুমায় বন্য দাঁতাল হাতির উন্মত্ত তান্ডব। কপালে চিন্তার ভাঁজ বনদপ্তরের হাতি তাড়ানোর কাজে নিযুক্ত এ.ডি.এস টিম সহ হাতি প্রবন এলাকা গুলিতে বসবাসকারী সাধারণ মানুষজনদের। উল্লেখ্য থাকে,, তেলিয়ামুড়া মহকুমায় হাতির সমস্যা নতুন কোন বিষয় নয়। এই হাতির সমস্যা দীর্ঘদিনের সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে তেলিয়ামুড়া মহকুমায়। কিছুদিন বন্ধ থাকার পর ফের শুরু বণ্য দাঁতাল হাতির উন্মত্ত তান্ডব। সোমবার রাতে তেলিয়ামুড়া বনদপ্তরের অধীনে উত্তর কৃষ্ণপুর এলাকায় আনুমানিক প্রায় ১০টি হাতি প্রবেশ করে। এতে কপালে চিন্তার ভাঁজ বনদপ্তরের হাতি তাড়ানোর কাজে নিযুক্ত এ.ডি.এস টিমের ভলান্টিয়ার সহ উত্তর কৃষ্ণপুর এলাকার মানুষজন দের। মূলত, গভীর বনাঞ্চলগুলো চোরা শিকারি থেকে শুরু করে কাঠ পাচারকারীদের কারণে জঙ্গল ফাঁকা হচ্ছে, বনে খাদ্য সঙ্কট দেখা দিচ্ছে। আর সে কারণেই মূলত হাতির দল বারবার লোকালয়ে প্রবেশ করে ধ্বংসলীলা চালাচ্ছে।
সোমবার উত্তর কৃষ্ণপুর এলাকায় বন্য দাঁতাল হাতির দল প্রবেশ করে লোকালয়ে তান্ডব লীলা চালায়। কথা প্রসঙ্গে এ.ডি.এস টিমের ইনচার্জ রঞ্জিত বিশ্বাস জানিয়েছেন,, এই বন্য হাতির দলটি প্রায় এক মাস নমঞ্জয় বাড়ির গভীর জঙ্গলের দিকে থাকার দীর্ঘ একমাস পর হাতির দলটি উত্তর কৃষ্ণপুর এলাকায় সোমবার রাতে প্রবেশ করেছে। এই হাতির দলটি চাকমা ঘাট, কপালি টিলা, চাম্পলাই এলাকা ঘুরে প্রায় এক সপ্তাহের মধ্যে ফের জঙ্গলমুখী হবে। তবে লোকালয়ে ফের বণ্য হাতির প্রবেশ’কে কেন্দ্র করে আতঙ্কগ্রস্ত হাতি প্রবন এলাকা গুলিতে বসবাসকারী সাধারণ মানুষজন। তবে বনদপ্তর সূত্রে খবর, কিছু ঠিকঠাক থাকলে নভেম্বরের শেষের দিকে তেলিয়ামুড়ার দুটি হাতির শরীরে জি.পি.এস লাগানো হবে। এতে হাতির গতিবিধি খুব সহজেই পর্যবেক্ষণ করতে পারবে বনকর্মীরা। জানা গেছে, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে কয়েক লক্ষ টাকা ব্যায় করে অত্যাধুনিক সুবিধা যুক্ত জি.পি.এস নিয়ে আসা হয়েছে হাতির শরীরে লাগানোর জন্য। এতে হয়তো’বা বন্য-হাতির সমস্যা নিরসনে কিছুটা হলেও সমাধানের মুখ দেখতে পারবে বনদপ্তর। তবে হাতিপ্রবন এলাকাগুলিতে বসবাসকারী সাধারণ মানুষজন চাইছে হাতের সমস্যা নিরসনে যেন স্থায়ী উদ্যোগ গ্রহণ করে বনদপ্তর।



