হাতেগোনা আর কয়েকটা দিন পরেই দেব শিল্পী বিশ্বকর্মা দেবের পূজা অনুষ্ঠিত হবে । গোটা দেশজুড়ে পুজিত হবে বিশ্বকর্মা । এর সুবাদে গোটা রাজ্যের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে তেলিয়ামুড়া মহকুমা জুড়েও মানুষজন বিশ্বকর্মা পুজোয় মাতোয়ারা হয়ে উঠবেন । প্রতিটি ঘরে ঘরে এবং কারিগরি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান গুলিতে পুজিত হবেন দেব শিল্পী । তাই মূর্তি পাড়ার মৃৎশিল্পীরা কতটা ব্যস্ততার মধ্যে দিন গুজরাং করতে হচ্ছে সেটাই দেখার। তেলিয়ামুড়ার বিভিন্ন মূর্তিপারা গুলিতে গিয়ে প্রত্যক্ষ করা গেল মৃতশিল্পীরা ব্যস্ত প্রতিমা তৈরিতে । বিগত দুইটি বছর কোরোনা আবহাওয়ার কারণে দেব শিল্পীর পুজোর সংখ্যাটা যেমন কম ছিল তেমনি আনন্দের মুহূর্ত গুলি প্রত্যক্ষ করা যায়নি । কিন্তু এবছর একটু অন্যরকম । করুণার দাপাদাপি না থাকার কারণে দেব শিল্পীর পুজোর সংখ্যাটা ও বেড়েছে । স্বাভাবিকভাবেই মূর্তিপাড়ার মৃৎশিল্পীরা বেশ আনন্দিত এবং উৎসাহিত প্রতিমা তৈরিতে । কারণ এবছর দেদার ভাবে প্রতিমা তৈরীর অর্ডার ও পারছেন স্থানীয় মৃৎশিল্পীরা স্বাভাবিকভাবে আয় উপার্জনের পরিমাণ বাড়বে। প্রতিমা তৈরিতে মাটি সহ বিভিন্ন সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি পেলেও প্রতিমার মূল্য তেমনভাবে বৃদ্ধি পাবে না । তেলিয়ামুড়া এলাকার বিশিষ্ট এক মৃত শিল্পী নরেশ পাল কথা প্রসঙ্গে জানান,,,, বিগত দুই বছরের তুলনায় এ বছর এর প্রতিমার চাহিদা ও বেশি । তিনি এটাও জানালেন বিগত দুই বছর করুণার দাপাদাপিতে এলাকার মৃত শিল্পীরা প্রচন্ডভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল । এবছর করুণার দাপাদাপি না থাকার কারণে পুজোর সংখ্যাটা বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয় মৃতশিল্পীদের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে । তবে সে যাই হউক না কেন আগামী কয়েকটা দিন পরেই দেবশিল্পীর আরাধনা গোটা রাজ্যের সাথে তেলিয়ামুড়াতে ও আমজনতারও মেতে উঠবে । আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে উঠবে তেলিয়ামুড়া বাসী ।



