রাজ্যসভার উপনির্বাচনে ত্রিপুরা রাজ্যের মনোনীত প্রার্থী রাজ্যের সদ্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব মনোনয়নপত্র জমা দিলেন সোমবার। এতদিন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি রাজ্যের মা বোন এবং ভাইদের প্রতি যে দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে এসেছেন এবং আগামী দিনে সাংসদ হিসেবে ত্রিপুরা রাজ্যের উন্নয়নের স্বার্থে কাজ করবেন বলে আশাবাদী রাজ্যবাসী। বলা চলে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি রাজ্যের মানুষের জন্য যে সমস্ত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছেন তা বিগত সরকারের আমলে ছিল শুধুমাত্র কাল্পনিক রূপে। এদিন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর রাজ্যের সদ্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, দল বিশ্বাস করে আমাকে যে দায়িত্বভার দিয়েছে সেটার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আজ মনোনয়নপত্র জমা দিলাম, তাছাড়া রাজ্যসভার সাংসদদের পাশাপাশি আরো একটি রাজ্য হরিয়ানার প্রভারি হিসেবে আমাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তা আমি যথাযথভাবে পালন করব এবং দুটি রাজ্যেই আমি ১৫ দিন করে সময় দেব ও ত্রিপুরা রাজ্যের প্রতি আমার যে দায়িত্ব মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে এতদিন পালন করেছি এখন তা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা এবং রাজ্য সভাপতি রাজিব ভট্টাচার্যকে সঙ্গে নিয়ে পালন করে যাব। আমি আশাবাদী যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মার্গ দর্শনে ত্রিপুরাকে শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা বানানোর যে মিশন তা যথাযথভাবে পালন করবেন বলে। তাছাড়া এদিন তিনি রাজ্যের আপামর ভারতীয় জনতা পার্টির কার্যকর্তাদের কাছে আহ্বান রাখেন যে ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনকে লক্ষ্যমাত্রা করে ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়ার এবং ২০৪৭ অবধি রাজ্য সরকার যে ভীশণ তৈরি করেছে তা বাস্তবে সার্থক রুপ দেওয়ার জন্য। সুতরাং বলা চলে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে যিনি রাজ্যের মানুষের কল্যাণে নানাবিধ পরিকল্পনা বাস্তবে রূপ দিয়েছেন সেটা সাংসদ হিসেবে এর চাইতেও বেশি করবেন যে সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এদিন অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী রতন লাল নাথ, তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা, চা নিগমের চেয়ারম্যান সন্তোষ সাহা, আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা।



