সচেতন জনতার সজাগ দৃষ্টিতে পাচার হতে গিয়ে আটক বিপুল পরিমাণে রড সহ বুলেরো পিকআপ গাড়ী। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা কল্যাণপুর থানাধীন খোয়াই তেলিয়ামুড়া সড়কের গোপালনগর এলাকাতে। ঘটনার বিবরণে জানা যায় আজ অর্থাৎ পাঁচই সেপ্টেম্বর বিকাল আনুমানিক চারটার কিছু পরে কল্যাণপুর ব্লক কার্যালয় থেকে বোলেরো পিকআপ গাড়িতে করে কিছু রড বোঝাই হয়ে কোন একটা জায়গায় পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা চলছিল। অভিযোগ রড বোঝাই গাড়িটি ব্লক সদর থেকে বেরিয়ে গেলেও একবার তেলিয়ামুড়ার দিকে যাচ্ছিল , আরেকবার গতিপথ পাল্টে খোয়াই এর দিকে যাওয়ার পথে স্থানীয় কিছু যুবকের সন্দেহ হলে গোপালনগর এলাকাতে গাড়ীটিকে আটক করে গাড়ীর চালককে এই ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করলে চালক অসংলগ্ন কথা বলতে থাকে। তখন এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় সাংবাদিকরা। সাংবাদিকদের তরফ থেকে বারবার রড গুলা কোথা থেকে কার নির্দেশে বা কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সেই ব্যাপারে যেমন প্রশ্ন করা হয়, ঠিক তেমনি এই রড নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজনীয় সরকারি কাগজপত্র দেখতে চাওয়া হয়, তখন সংশ্লিষ্ট গাড়ির চালক এ ব্যাপারে কোন পরিষ্কার উত্তর দিতে পারেনি। এরপর স্থানীয়রা সংশ্লিষ্ট গাড়ি চালককে ব্লকে নিয়ে যায় ঘটনা কি আছে দেখার জন্য। আশ্চর্যজনকভাবে ব্লক কার্যালয়ে পৌঁছে চরক গাছ হয়ে যায় সাংবাদিক সহ সকলের। ঘটনার আপাত তদন্ত করে দেখা যায় ব্লকের দায়িত্বপ্রাপ্ত স্টোর কিপার সুখেন্দু সাহা কোন প্রকারের বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই গাড়িটিকে ব্লক কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ছাড়পত্র দেন। আরেকটু গভীরে গিয়ে দেখা যায় গাড়ি ব্লক থেকে রড নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য স্টোর কিপার সুখেন্দু বাবু যে ছাড়পত্র লিখে রেখেছেন অফিসে তার সাথে গাড়ির নাম্বারের কোন মিল নেই অর্থাৎ গাড়িটার নাম্বার TR 01 AG 1554 হলেও যে ছাড়পত্র রয়েছে তাতে উল্লেখ করা আছে গাড়ির নাম্বার টি আর 01 1601। এই ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট স্টোর কিপারকে জিজ্ঞেস করা হলে উনি সটান বলে দেন আসলে আমি গাড়ি না দেখেই নাম্বার লিখেছি, অর্থাৎ এই বিষয়টাতে পরিষ্কার কল্যাণপুর ব্লকের স্টোর কিপার খামখেয়ালী করেই কাজ করছেন, অথবা এর পেছনে রয়েছে বড় কোন রহস্য ।
ইতিমধ্যে ঘটনার খবর পেয়ে কল্যাণপুর ব্লকে ছুটে আসেন স্থানীয় বিধায়ক পিনাকি দাস চৌধুরী।শ্রী চৌধুরী ঘটনাটির বৃত্তান্ত শোনেই ব্লক প্রশাসককে কড়া নির্দেশ দেন ঘটনার প্রকৃত তদন্ত করতে এবং সেই সাথে দোষী যদি কেউ থাকে তাহলে যাতে কোনোভাবেই ছাড় না পান সেই বিষয়টাতেও জোড় দেন বিধায়ক সাহেব। এই ঘটনা সম্পর্কে ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক তরুন সরকারকে জিজ্ঞেস করা হলে উনি সরাসরি বলেন এই বিষয়টা কাম্য নয়, সেই সাথে সাথে তিনি এই বিষয়টাও বললেন পরিষ্কার করে ব্লকের স্টোর কিপারকে নির্দেশ দেওয়া আছে কোনভাবেই যাতে বিকাল তিনটার পর কোন প্রকারের মাল ব্লক থেকে না যায়। এরপরেও ব্লক প্রশাসকের নির্দেশ কেন অমান্য করা হয়েছে সেই বিষয়টা তদন্ত করে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন বিডিও সাহেব, এর পাশাপাশি তিনি এই ঘটনার প্রকৃত তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।
অবৈধভাবে নিয়ে যাওয়ার সময় গাড়ি বোঝাই রড আটক এর খবর মুহূর্তের মধ্যেই ছড়িয়ে পড়তে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গোটা কল্যাণপুরে। বিশ্বস্ত সূত্রের খবর এই ঘটনার পেছনে রয়েছে বড়সড় একটা চক্র, এখন দেখার বিষয় এই ঘটনার তদন্ত কোন পথে পরিচালিত হয়।



