রাজ্যের সমস্ত শ্রমক্ষেত্রে মূল্যসূচক অনুযায়ী মজুরি বৃদ্ধি করতে হবে । ৬ মাস অন্তর ভি – ডি – এ প্রদান করতে হবে । আসন্ন দুর্গোৎসবের এক মাস আগে শ্রমিকদের পূজা বোনাস, এক্সগ্রেসিয়া দিতে হবে । শ্রমকোডে শ্রমিক স্বার্থবিরোধী সমস্ত ধারা ও বিধি বাতিল করতে হবে । শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২১,০০০ / – টাকা করতে হবে । চা শ্রমিকদের জন্য ঘোষিত মজুরি অবিলম্বে সমস্ত বাগানে কার্যকরী করতে হবে ও বকেয়া বর্ধিত মজুরি প্রদান করতে হবে । রেগা ও টুয়েপে বছরে ২০০ দিনের কাজ ও ৩৪০ টাকা মজুরি দিতে হবে । পেট্রোল , ডিজেল , সি এন জি গ্যাস ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিষের মূল্যবৃদ্ধি রোধ করতে হবে । ছাঁটাই শ্রমিকদের পুনর্বহাল ও রাজ্য সরকারের অধিগৃহীত সংস্থাসমূহকে বন্ধ করা চলবে না । ঐ সমস্ত সংস্থাসমূহ চালু রাখার জন্য আর্থিক বরাদ্দ বাড়াতে হবে । সি আই টি ইউ সহ সমস্ত গণআন্দোলনের জবরদখলকৃত অফিসগুলি ফেরত দিতে হবে । বাস্তুহীন সকল শ্রমিকদের বাস্তুভিটা ও আবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে এবং ঘরের জন্য সরকারি অনুদান ন্যূনতম ৩ লক্ষ টাকা করতে হবে । শ্রমজীবীসহ সমস্ত অংশের জনগণের উপর দমন – পীড়ন ও সন্ত্রাস বন্ধ করতে হবে এই সমস্ত ১১ দাফা দাবি নিয়ে সোমবার আগরতলার মেলারমাঠের শ্রমকমিশনার এর নিকট সি আই টি ইউ ডেপুটেশন প্রদান করেন। এই দিনের ডেপুটেশন এ নেতৃত্ব দেন সি আই টি ইউ রাজ্য সভাপতি মানিক দে তিনি সংবাদমাধ্যম এর মুখোমুখি হয়ে বলেন সি আই টি ইউ রাজ্য সম্মেলনে গৃহীত সমাজবিদের সমস্যা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য। রাজ্যে যে সমস্ত শ্রমিকরা আছে দীর্ঘদিন যাবত তাদের মজুরি বৃদ্ধি করছেন না মজুরি কমিয়ে দিচ্ছেন মজুরি বাড়াতে হবে।৬ মাসে একবার বামফ্রন্ট সরকারের আমলে মজুরি বৃদ্ধি করা হত কিন্তু বর্তমান সরকারের আমলে তা করছেন না বলে জানান তিনি।