হিন্দু শাস্ত্রে গণেশ পুজোর গুরুত্ব রয়েছে বিস্তর। যে কোনও দেব-দেবীর পুজোর আগে গণেশের পুজো করা হয়। যে কোনও শুভ কাজ শুরুর আগে গণেশের সংকল্প করা হয়। এমনকী, শুভ কাজে যাওয়ার আগে গণেশ মন্ত্র উচ্চারণের কথা উল্লেখ আছে শাস্ত্রে। পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে একবার স্বর্গে দেব-দেবতাদের সভা বসেছিল। সেই সভায় কে শ্রেষ্ঠ দেবতা সেই নিয়ে আলোচনা হয়। দেবতারা নিজেদের নিজেদের মত পোষণ করেন। কিন্তু, কোনও সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছানো বেশ কঠিন ছিল। এমন সময় ভগবান শিব দেব-দেবতাদের পরীক্ষা করেন। ঠিক হয়, যিনি সবার আগে মহাবিশ্বের চারদিক ঘুরে শিবের কাছে আগে এসে পৌঁছাবেন, তাঁকেই শ্রেষ্ঠ দেবতা নির্বাচন করা হবে। ভগবান শিবের এই নির্দেশ শুনে সকল দেব-দেবতারা তাঁদের বাহন নিয়ে মহাবিশ্ব পরিক্রমে বেরিয়ে পড়েন। এমন সময় ভগবান গণেশ মহাদেব ও দেবী পার্বতীর চারিদিক পরিক্রম করেন। তিনি বলেন, ত্রিলোকের সকল সুখ তাঁর মাতা-পিতার মধ্যে বিরাজমান। তাঁদের চরণেই আছে গোটা বিশ্ব। আর এই কারণেই তিনি ত্রিভুবন পরিক্রম না তাঁর মাতা-পিতাকে পরিক্রম করেন। এরপরই থেকেই সব পুজোর আগে গণেশ পুজোর রীতি প্রচলিত হয়। তাছাড়া ভগবান গনেশকে সংকটমোচন দেবতা হিসেবেও জানা যায় প্রতি বুধবার গণেশ পুজো করলে মুক্তি পাওয়া যায় সব ধরনের পীড়া থাকে তাই সারা দেশে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা মেতে উঠে গণেশ পূজায় এবং কামনা করেন তাদের সব পীড়া যেন দূর হয়ে যায়, এখন সারা দেশের সাথে আমাদের রাজ্যে ও জাঁকজমকভাবে পূজিত হন দেবতা গণেশ। এই গনেশ পূজা কে কেন্দ্র করে, মৃৎশিল্পীরা গণেশ ঠাকুর বানাতে ব্যস্ত। আগামী 31 শে আগস্ট গণেশ পুজো। এদিন সংবাদ মাধ্যমকে এক মৃৎশীল্পি জানান আগের চেয়ে অনেকটা অর্ডার অনেক বেশি এবং এ বছর মূর্তির চাহিদাও অনেক বেশি, তাছাড়া জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া হলেও ক্রেতাদের কথা মাথায় রেখে দাম বাড়ানো হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি। বিগত কয়েক বছর মহামারী করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে ভক্তবৃন্দরা গণেশ বন্দনায় মেতে উঠতে পারিনি, কিন্তু এ বছর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় গণেশ বন্দনায় মেতে উঠতে কোন প্রকার খামতি রাখবে না ভক্তবৃন্দরা তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।