বিদ্যালয় চত্বরে বাউন্ডারি ওয়াল না থাকার কারণে রাতের অন্ধকারে বিভিন্ন অসামাজিক কাজের মুক্তাঞ্চল হয়ে উঠে বিদ্যালয় চত্বর। বিদ্যালয়ে এসে ছাত্র শিক্ষক’কে একত্রে মিলে পরিষ্কার করতে হয় বিভিন্ন নেশা সামগ্রী। এমনই এক ঘটনার বাস্তবচিত্র পাওয়া গেল তেলিয়ামুড়ার বাইশঘড়িয়া স্থিত নঈতালিম উচ্চ বিদ্যালয়ে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায় ,তেলিয়ামুড়া শহরের বাইশঘড়িয়া এলাকাটি মূলত মিশ্র জনবসতি। এই এলাকায় হিন্দু-মুসলিম একত্রে বসবাস করে। আর তাদের সন্তান অর্থাৎ কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের পঠন পাঠনের জন্য একমাত্র বিদ্যালয় বলতে এই নঈতালিম উচ্চ বিদ্যালয়। এই বিদ্যালয়টির জন্মলগ্ন থেকেই বাউন্ডারি ওয়াল নেই। ফলে বিদ্যালয়ের মাঠটিতে এলাকার গবাদি পশুর বিচরণভূমি পাশাপাশি রাতের আঁধারে বিভিন্ন রকম অসামাজিক কাজের মুক্তাঞ্চল হয়ে উঠে বিদ্যালয়ের মাঠ’টি। এ বিষয় নিয়ে বিদ্যালয়ে কর্তৃপক্ষ বহুবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত এবং মৌখিকভাবে জানালেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ফলে বর্তমানে বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং ছাত্র-ছাত্রীরা প্রতিদিন বিদ্যালয়ে এসে বিভিন্ন রকম নেশা সামগ্রী পরিষ্কার করতে হয়। এ প্রসঙ্গে এক ছাত্রী জানিয়েছে,, বিদ্যালয়ে বাউন্ডারি ওয়াল না থাকার কারণে আশপাশের গবাদি পশু প্রবেশ করে এবং মাঠ নোংরা করে দেয়। অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনেকটা আক্ষেপের সুরে জানিয়েছেন,,, প্রত্যেকদিন বিদ্যালয়ের চত্বর থেকে বিভিন্ন রকমের নেশা সামগ্রীর বজ্র পদার্থ পরিষ্কার করতে হয়। তাছাড়া বিদ্যালয়ের ডাইনিং রুমের দরজা ভেঙ্গে বা কাহারা প্রবেশ করে এবং তাণ্ডব চালায়। এ বিষয়ে অনেকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত এবং মৌখিক আকারে জানানো হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এখন দেখার বিষয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর কবে নাগাদ এই বিদ্যালয়ের বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে সংশ্লিষ্ট দপ্তর।



